তুরস্কে খিলাফতে উসমানিয়ার বিলুপ্তি ঘটিয়ে (১৯২৪ খ্রি.) ইসলামি তাহযীব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্য সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের সর্বাত্মক প্রয়াস সত্ত্বেও কামাল (কথিত) আতাতুর্ক উসমানিয়ার খিলাফতের জাতীয় পতাকা ও প্রতীকে কোনো ধরনের হাত দেননি। খিলাফতে উসমানিয়ার আমলে ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দ হতে প্রবর্তিত হওয়া চাঁদ তারা বা লাল ঝান্ডা এখনো তুরস্কে খিলাফতে উসমানিয়ার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবস্থিতি ও তার জনপ্রিয়তার কথা জানান দিচ্ছে। ১৯৩৬ সালের তুর্কি পতাকা আইনে পতাকার আকারের কিছু পরিবর্তন সাধিত হলেও মূল নকশা অক্ষুন্নই আছে। ইসলামের সৈনিক এরদুগান-গুলরা ইস্তাম্বুল-আংকারায় সেই পতাকা উড়িয়ে খিলাফতে উসমানিয়ার সোনালি শাসনামলের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মাশাআল্লাহ। দীর্ঘ জুলুম-নির্যাতন আর নিষ্পেষণ সত্ত্বেও উসমানিয়ার বীর মুজাহিদরা যে এখনো বেঁচে আছেন তাই প্রমাণিত হয়েছে এরদুগান-গুলদের সুদীর্ঘ সংগ্রামে। তুরস্ক এখনো পারে বা পারবে মুসলিম জাহানের নেতৃত্বে আসীন হতে। ইসলামি ঐতিহ্য, ইতিহাস, সভ্যতা, জ্ঞান-সম্পদ ইত্যাদি নেতৃত্বদানে তুরকিদের সুবিশাল অবদান রয়েছে। ইউরোপ থেকে চীনের জিংজিয়াং পর্যন্ত তুরকি বা তাদের উত্তরসন্তানদের দ্বারাই মূলত ইসলামের বেশির ভাগ খেদমত হয়েছিল। ভারতের মোগল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান জহির উদ্দীন মুহাম্মদ বাবর (রহ.) ছিলেন একজন তুরকি বীর সেনানি।
সমাবেশটি তুরস্কের একে পার্টির। উসমানিয়া লাল ঝান্ড উড়ছে সেখানে। মূল মঞ্চটি সবিশেষ আকষর্ণীয়। উসমানিয়া আমলের সুলতানদের শাহী নমুনায় ভাষণ আর জনগণকে সম্ভাষণ করছেন আধুনিক সুলতান এরদুগান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন