প্রিয় পুত্র, দশটি গুন অর্জন করতে না পারলে পারিবারিক জীবনে সৌভাগ্য অর্জন সম্ভব নয়। সুতরাং সেগুলো মনে রেখো, অর্জন করো এবং প্রবলভাবে সেগুলোর উপর অধিষ্ঠিত থেকো।
.
.
প্রথম দুইটি হলোঃ নারীরা আকর্ষণ প্রত্যাশী এবং তারা যেটা ভালোবাসে সেটা সরাসরি বলতেই পছন্দ করে। সুতরাং স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কার্পণ্য করো না। যদি তেমনটি কর তবে সেটা তোমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে সম্পর্ককে কৃত্রিম করে ফেলবে।
.
.
তৃতীয়তঃ নারীরা কঠোর এবং অতি সতর্ক পুরুষদের পছন্দ করে না; যদিও কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য করো। এতে ভালোবাসায় আসক্তি আসবে, যা তোমাদের প্রশান্তি দিবে।
.
.
চতুর্থতঃ তারা তোমাদের কাছে সেটাই প্রত্যাশা করে, যেটা তোমরা তাদের কাছে প্রত্যাশা করো। যেমন:- সুমিষ্ট কথা, পরিপাটিতা, পোশাকে পরিচ্ছন্নতা এবং মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ। তাই এমন হালেই (অবস্থাতেই) থাকার চেষ্টা করবে।
.
.
পঞ্চমতঃ মূলত ঘর থাকে রমনীর কর্তৃত্বে। যখন সে ঘরে, তখন সে একজন কর্তৃত্বশীল রানীর মতই নিজেকে অনুভব করে। তাই ঘরে তার কর্তৃত্বে বাঁধা দিয়ে তার রাজত্বটি ধ্বংস করা থেকে সতর্ক থেকো। একজন রাজা সবচেয়ে বেশি রেগে যায় যখন অন্য কেউ তার কর্তৃত্বের উপর ছড়ি ঘুরায়; যদিও বা সে কোন যৌক্তিক কিছু করে থাকে। তাই ঘরে নারীদের কর্তৃত্বে নিজের জোর-জবরদস্তি চালাবে না।
.
.
ষষ্ঠতঃ নারীরা তাদের সহধর্মীকে ভালোবাসতে চায়, একই সাথে সে তার বাবার বাড়ির পরিবার-পরিজনদেরও হারতে চায় না। তাই, কখনো নিজের সাথে তার পরিবারের তুলনা করতেও যেও না, কারণ তখন হয় সে তোমাকে নয়ত তার পরিবার, যেকোন একটি হারানোর অশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় ভুগবে, যেটা তোমার এবং তোমাদের দৈনন্দিন জীবনে মারাত্নক প্রভাব ফেলবে।
.
.
সপ্তমতঃ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। এটাই মূলত তাদের সৌন্দর্যের রহস্য, যা তাদের প্রতি পুরুষকে আকর্ষিত করে। আর এটা তাদের কোন দূর্বলতাও নয়।, যেমন 'চোখের ভ্রুগুলো দেখতে এই কারণেই সুন্দর যে, সেগুলো বাঁকা।' যদি তারা কখনো ভুল করে ফেলে তবে অভদ্রভাবে তাদের তিরস্কার করো না, যেটাতে মূলত সরল পথে আনার কোন চেষ্টা থাকে না। না হলে তুমি আসলে তাকেই ভেঙে দিলে। আর তাকে ভেঙে দেয়া মানে কার্যত তার সাথে বিচ্ছেদ। একই সাথে তাকে তার ভুলগুলোর উপর ছেড়েও দিয়ো না। না হলে তার ভুলগুলো দোষে পরিণত হবে এবং তা তার অহংবোধকে আরো উদ্ধত করে দেবে। ফলে সে তোমার প্রতি আর উদার থাকবে না, তোমার কথা শুনবে না। তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।
.
.
অষ্টমতঃ নারীদের ফিতরাহ (স্বাভাবিক স্বভাব) এটাই যে তারা তাদের সহধর্মের সহচার্য চায় এবং এতে কোন অনুযোগ-অভিযোগ পছন্দ করে না। তুমি যদি সারা জীবনও তার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকো কিন্তু একবার যদি দুঃখ দিয়ে ফেলো, তাহলে সে হয়ত বলে বসবে, 'আমি তোমার কাছে কখনোই ভালো কিছু পাই নি।' তাদের এহেন মনোভাব যদি তোমার পছন্দ নাও হয় তবুও তাকে অপছন্দ করো না অথবা তার থেকে দূরে চলে যেও না। হয়তো তার অন্য ভালো স্বভাবগুলো তোমাকে প্রশান্তি দেবে। সুতরাং সমতা বিধান করো।
.
.
নবমতঃ অবশ্যই এমন কিছু সময় থাকে যখন নারীদের শারীরিক ও মানসিক দূর্বলতা এবং অবসাদ কাজ করে। যেমনটি আল্লাহই সেই সময়গুলোতে তাদের কিছু ফরজ ইবাদত থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের পুরোপুরি সলাত আদায় থেকেও অব্যহতি দিয়েছেন এবং আরো কিছু বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন তোমাদের জন্য, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে স্বাভাবিক হয়। তাই এই সময়টিতে তাদের সাথে গভীরভাবে ইসলামিক আচরণ করো। যেভাবে আল্লাহ তাকে অব্যহতি দিয়েছেন, সেভাবে তোমারও উচিত সেই সময় তার ব্যাপারে তোমার প্রতি বিধি-বিধানগুলো মেনে চলা।
.
.
শেষতঃ মনে রেখো, নারীরা তোমাদের অধীনস্থ, তাই তাদের প্রতি অনুগ্রহশীল থেকো।
.
.
উল্লেখ্য ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ) দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের প্রতি এতই অনুরক্ত ছিলেন যে ৪০ বছর বয়স হবার পূর্বে বিয়ের কথা তিনি মাথাতেই আনেন নি। এরপর তিনি যখন বিয়ে করতে মনস্থির করেন তখন উনার চাচীকে বলেন, 'আমুকের (একজন শাইখ) বাড়িতে দু'জন বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে, আপনি তাদের দেখে আসুন এবং তাদের সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন।'
.
.
উনার চাচী মেয়ে দু'টিকে দেখে আসার পর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ) এর সামনে তাদের বর্ণনা দিতে শুরু করলেন। উনি বাড়ির ছোট মেয়ের ব্যাপারে অনেক প্রশংসা করলেন, ফর্সা চেহারা, তার চোখ, চুলের সৌন্দর্য, দীর্ঘতা বর্ণনায় পঞ্চমুখ ছিলেন। ইমাম আহমদ তখন তাকে বড় মেয়েটির ব্যাপারে বলতে বললেন। বড় মেয়েটির ব্যাপারে তিনি অনেকটা তাচ্ছিল্যের সাথে কথা বলছিলেন, অবিন্যস্ত চুল, খর্বকায় উচ্চতা, শ্যাম বর্ণ এবং একটি চোখে ত্রুটি থাকার কথা উল্লেখ করেন। এরপর ইমাম আহমদ উনাকে মেয়ে দু'জনের দ্বীনদারিতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে উনার চাচী বললেন, বড় মেয়েটি দ্বীনদারিতার দিক থেকে ছোট মেয়ের তুলনায় বেশ এগিয়ে। একথা শুনে ইমাম আহমদ বললেন, তাহলে আমি বড় মেয়েটিকেই বিয়ে করবো।
.
.
বিবাহের ৩০ বছর অতিবাহিত হবার পর ইমাম আহমদের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলেন। দাফনের সময় ইমাম আহমদ বলছিলেন, 'ইয়া উম্মে আব্দুল্লাহ! তোমার কবর শান্তিময় হোক। দীর্ঘ ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনে আমাদের মধ্যে একবারও ঝগড়া-বিবাদ হয় নি।'
.
.
প্রথম দুইটি হলোঃ নারীরা আকর্ষণ প্রত্যাশী এবং তারা যেটা ভালোবাসে সেটা সরাসরি বলতেই পছন্দ করে। সুতরাং স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কার্পণ্য করো না। যদি তেমনটি কর তবে সেটা তোমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে সম্পর্ককে কৃত্রিম করে ফেলবে।
.
.
তৃতীয়তঃ নারীরা কঠোর এবং অতি সতর্ক পুরুষদের পছন্দ করে না; যদিও কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য করো। এতে ভালোবাসায় আসক্তি আসবে, যা তোমাদের প্রশান্তি দিবে।
.
.
চতুর্থতঃ তারা তোমাদের কাছে সেটাই প্রত্যাশা করে, যেটা তোমরা তাদের কাছে প্রত্যাশা করো। যেমন:- সুমিষ্ট কথা, পরিপাটিতা, পোশাকে পরিচ্ছন্নতা এবং মনোমুগ্ধকর ঘ্রাণ। তাই এমন হালেই (অবস্থাতেই) থাকার চেষ্টা করবে।
.
.
পঞ্চমতঃ মূলত ঘর থাকে রমনীর কর্তৃত্বে। যখন সে ঘরে, তখন সে একজন কর্তৃত্বশীল রানীর মতই নিজেকে অনুভব করে। তাই ঘরে তার কর্তৃত্বে বাঁধা দিয়ে তার রাজত্বটি ধ্বংস করা থেকে সতর্ক থেকো। একজন রাজা সবচেয়ে বেশি রেগে যায় যখন অন্য কেউ তার কর্তৃত্বের উপর ছড়ি ঘুরায়; যদিও বা সে কোন যৌক্তিক কিছু করে থাকে। তাই ঘরে নারীদের কর্তৃত্বে নিজের জোর-জবরদস্তি চালাবে না।
.
.
ষষ্ঠতঃ নারীরা তাদের সহধর্মীকে ভালোবাসতে চায়, একই সাথে সে তার বাবার বাড়ির পরিবার-পরিজনদেরও হারতে চায় না। তাই, কখনো নিজের সাথে তার পরিবারের তুলনা করতেও যেও না, কারণ তখন হয় সে তোমাকে নয়ত তার পরিবার, যেকোন একটি হারানোর অশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় ভুগবে, যেটা তোমার এবং তোমাদের দৈনন্দিন জীবনে মারাত্নক প্রভাব ফেলবে।
.
.
সপ্তমতঃ নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে। এটাই মূলত তাদের সৌন্দর্যের রহস্য, যা তাদের প্রতি পুরুষকে আকর্ষিত করে। আর এটা তাদের কোন দূর্বলতাও নয়।, যেমন 'চোখের ভ্রুগুলো দেখতে এই কারণেই সুন্দর যে, সেগুলো বাঁকা।' যদি তারা কখনো ভুল করে ফেলে তবে অভদ্রভাবে তাদের তিরস্কার করো না, যেটাতে মূলত সরল পথে আনার কোন চেষ্টা থাকে না। না হলে তুমি আসলে তাকেই ভেঙে দিলে। আর তাকে ভেঙে দেয়া মানে কার্যত তার সাথে বিচ্ছেদ। একই সাথে তাকে তার ভুলগুলোর উপর ছেড়েও দিয়ো না। না হলে তার ভুলগুলো দোষে পরিণত হবে এবং তা তার অহংবোধকে আরো উদ্ধত করে দেবে। ফলে সে তোমার প্রতি আর উদার থাকবে না, তোমার কথা শুনবে না। তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো।
.
.
অষ্টমতঃ নারীদের ফিতরাহ (স্বাভাবিক স্বভাব) এটাই যে তারা তাদের সহধর্মের সহচার্য চায় এবং এতে কোন অনুযোগ-অভিযোগ পছন্দ করে না। তুমি যদি সারা জীবনও তার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকো কিন্তু একবার যদি দুঃখ দিয়ে ফেলো, তাহলে সে হয়ত বলে বসবে, 'আমি তোমার কাছে কখনোই ভালো কিছু পাই নি।' তাদের এহেন মনোভাব যদি তোমার পছন্দ নাও হয় তবুও তাকে অপছন্দ করো না অথবা তার থেকে দূরে চলে যেও না। হয়তো তার অন্য ভালো স্বভাবগুলো তোমাকে প্রশান্তি দেবে। সুতরাং সমতা বিধান করো।
.
.
নবমতঃ অবশ্যই এমন কিছু সময় থাকে যখন নারীদের শারীরিক ও মানসিক দূর্বলতা এবং অবসাদ কাজ করে। যেমনটি আল্লাহই সেই সময়গুলোতে তাদের কিছু ফরজ ইবাদত থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের পুরোপুরি সলাত আদায় থেকেও অব্যহতি দিয়েছেন এবং আরো কিছু বাধ্যবাধকতা দিয়েছেন তোমাদের জন্য, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে স্বাভাবিক হয়। তাই এই সময়টিতে তাদের সাথে গভীরভাবে ইসলামিক আচরণ করো। যেভাবে আল্লাহ তাকে অব্যহতি দিয়েছেন, সেভাবে তোমারও উচিত সেই সময় তার ব্যাপারে তোমার প্রতি বিধি-বিধানগুলো মেনে চলা।
.
.
শেষতঃ মনে রেখো, নারীরা তোমাদের অধীনস্থ, তাই তাদের প্রতি অনুগ্রহশীল থেকো।
.
.
উল্লেখ্য ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রহ) দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের প্রতি এতই অনুরক্ত ছিলেন যে ৪০ বছর বয়স হবার পূর্বে বিয়ের কথা তিনি মাথাতেই আনেন নি। এরপর তিনি যখন বিয়ে করতে মনস্থির করেন তখন উনার চাচীকে বলেন, 'আমুকের (একজন শাইখ) বাড়িতে দু'জন বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে, আপনি তাদের দেখে আসুন এবং তাদের সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন।'
.
.
উনার চাচী মেয়ে দু'টিকে দেখে আসার পর ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ) এর সামনে তাদের বর্ণনা দিতে শুরু করলেন। উনি বাড়ির ছোট মেয়ের ব্যাপারে অনেক প্রশংসা করলেন, ফর্সা চেহারা, তার চোখ, চুলের সৌন্দর্য, দীর্ঘতা বর্ণনায় পঞ্চমুখ ছিলেন। ইমাম আহমদ তখন তাকে বড় মেয়েটির ব্যাপারে বলতে বললেন। বড় মেয়েটির ব্যাপারে তিনি অনেকটা তাচ্ছিল্যের সাথে কথা বলছিলেন, অবিন্যস্ত চুল, খর্বকায় উচ্চতা, শ্যাম বর্ণ এবং একটি চোখে ত্রুটি থাকার কথা উল্লেখ করেন। এরপর ইমাম আহমদ উনাকে মেয়ে দু'জনের দ্বীনদারিতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন। জবাবে উনার চাচী বললেন, বড় মেয়েটি দ্বীনদারিতার দিক থেকে ছোট মেয়ের তুলনায় বেশ এগিয়ে। একথা শুনে ইমাম আহমদ বললেন, তাহলে আমি বড় মেয়েটিকেই বিয়ে করবো।
.
.
বিবাহের ৩০ বছর অতিবাহিত হবার পর ইমাম আহমদের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলেন। দাফনের সময় ইমাম আহমদ বলছিলেন, 'ইয়া উম্মে আব্দুল্লাহ! তোমার কবর শান্তিময় হোক। দীর্ঘ ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনে আমাদের মধ্যে একবারও ঝগড়া-বিবাদ হয় নি।'
একথা শুনে তাঁর এক ছাত্র অবাক হয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'ইয়া শাইখ! এ কিভাবে সম্ভব?'
জবাবে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রহ) বলেন, 'যখনই আমি তার উপরে রেগে যেতাম তখন সে চুপ থাকতো, আর যখন সে আমার উপরে রেগে যেত তখন আমি চুপ থাকতাম। তাই আমাদের মধ্যে কখনোই ঝগড়া-বিবাদ হয় নি'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন