অর্কদুতি চক্রর্বর্তি থেকে ফারুকী
এক শান্তির ভুবনে এগিয়ে চললাম মহান করুণাময়ের অপার করুণায়।
প্রথমেই আমি হিন্দু ধর্মের বইগুলো পাঠ করি। বিশেষ করে গীতা/ বেদ-বেদান্ত-উপনিষদ --পাতঞ্জল -সাংখ্যদর্শন টীকা- টীপুন্নি মনোযোগ সহকারে রামায়ণ, মহাভারত, বেদ-পুরাণ এবং মনসংহিতা সম্পর্কে বেশ কিছু দিন লেখাপড়া করি। আমি বুঝতে চেষ্টা করি। বেনারস হিন্দু ভার্সিটিতে পড়ার সময় বেশ কিছু বই আমি লাইব্রেরিতে বসে পড়ি। বিশেষ করে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকুল-আচার্য কেশব চন্দ্র- শ্রীশ্রী হরিভক্তি বিলাস-ড'মহানামব্রতজী-ইসকন-আরো শ' খানিক মতবাদের বই পড়লাম। গৌতম বুদ্ধ, বিবেকানন্দ - রামকৃষ্ণ, গান্ধী, নেহেরু তাছাড়া বিভিন্ন সমাজ সংস্কারের জীবনীও আমি মনোযোগসহ পাঠ করি। আসলে আমি চেষ্টা করছিলাম এসব ব্যক্তিত্বের সফলতার মূল রহস্যটা আবিষ্কার করতে। কিন্তু অধিক পড়াশোনার কারণে আমার মনে প্রশ্নের পর প্রশ্ন সৃষ্টি হতে থাকে। ফলে আমি সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে যাই। ভাবতে থাকি, আমি সত্যকে খুঁজে পাচ্ছি না কেন? আমি মেডিটেশান এবং ধ্যানের মাধ্যমে ঈশ্বরকে পেতে চেষ্টা করবো। আমি খুঁজে বের করবই তিনি কোথায় আছেন? যখন আমি এইসব কথা ভাবছি তখনই আল্লাহ তায়ালা আমার মনের মধ্যে এ কথা উদয় করে দিলেন- তুমি তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে এ বিষয়ে প্রার্থনা করছো না কেন? তুমি কেন তার কাছে সত্যপথ ও সত্যের ঠিকানা চাচ্ছ না? তিনিই তো ইচ্ছা করলে তোমাকে এ পথে সাহায্য করতে পারেন। এ ভাবনার পর আমি রাতের বেলা প্রার্থনা করতে শুরু করি। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা আমার পথ সহজ করে দেন =আমি ইসলাম সম্পর্কিত বই পত্র সংগ্রহ ও পড়াশোনা শুরু করি। আমার এই পড়াশোনা টানা 4বছর চলতে থাকে।কুরআনের বাংলা অনুবাদ/ হিন্দি অনুবাদ /ইংরেজী অনুবাদ সহ এই সময়ের মধ্যে আমি বিভিন্ন ধরনের 100+বই পড়ে ফেলি। ফলে ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছুই আমি জানতে পারি। কুরআন শরীফ এক আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ আসমানী গ্রন্থ। এটা সমগ্র মানবের হেদায়েতনামা। যখন আমি এ বিশ্বাস ও এখলাসের সাথে কুরআন শরীফের অনুবাদ পড়তে শুরু করি, তখন আমার মনে উদিত পূর্বের সকল প্রশ্ন একটা একটা করে উড়ে যেতে থাকে। আল্লাহ বলেছেন- যারা হেদায়েত পেতে চায়, তারা হেদায়েত পাবে। এই অঙ্গীকার আমার জীবনে সত্য হয়ে উঠে। আমার প্রতি আল্লাহ তায়ালার অসীম অনুগ্রহ, এত বড় নেয়ামত তিনি আমাকে দান করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন