আমার যখন একথা জানতে পারলাম যে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলামী বিধানের পরিপন্থি তখন সুস্হ বিবেকের দাবি তো হলো এই যে, এই বিষয়টি এখানেই নিস্পত্তি করা এবং আর কোন যক্তির আশ্রয় না নেয়া। কেননা ইসলামতো হলো একটি সর্বজনীন ধর্ম ও র্পূণাঙ্গ জীবন ব্যবস্তা। এর কোন একটি বিধান কোন মানুষের কল্পনা প্রসূত নয় বরং এমন এক মহা মহিম, রাজাধিরাজ আল্লাহর প্রদত্ত বিধান, যার কুদরতি হাতের নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর সব কিছু রয়েছে। আর প্রত্যেকটি বিধান মানুষের বিবেকের সম্পূর্ণ অনুকুলে ও যুক্তি যুক্ত। এবং সুক্ষ্যাতিসুক্ষ হেকমতের উপর প্রতিষ্টিত। ইতিহাস স্বাক্ষী যে, ইসলামের কোন বিধানই এমন যায়নি যা মানুষের বিবেকেই পরিপন্থি হয়েছে। তাই ইসলামের বিধান কোন সুস্হ বিবেকের পরিপন্থি নয়। কিন্তু যে সকল লোক ইসলামের কোন বিধানের সাথে যুক্তির অমিল দেখে থাকে তাদেও বুঝার সুবিদার্থে আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়টির একটি যুক্তিপূর্ণ পর্যলোচনা তুলে ধরছি।
১) পৃথীবির সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যদি ইতিহাসের দিকে একটু দৃষ্টি দেয়া যায় তাহলে এই নির্মম বাস্তবতাটা আমাদের সামনে সহজেই ভেসে উঠে যে সর্বদা চাহিদার অনুপাতেই উৎপাদন প্রচলিত রয়েছে। যখন যে পরিমানে প্রয়োজন সামনে এসেছে সে অনুপাতেই পন্য সামগ্রীর উৎপাদন
হয়েছে। যখন পৃথিবীর বুকে বসবাসকারী লোক সংখ্যা কমছিল। যখন মানুয়ের বসবাস একটি নির্ধারিত অংশে সীমিত ছিল, তখন যোগাযোগের জন্য একটি সাইকেলের আবিস্কারও কেউ করেনি। তাই সে যুগে না বিমান ছিল না সামুদ্রিক জাহাজ ছিল, না রেল,বাস, বা কোন মোটরযার ছিল। তখনকার লোকজন যদি এই চিন্তা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি লিপ্ত হয়ে যেত যে, যে হারে মানুষ বাড়ছে, সে হারে আবাদ ভূমিও বাড়ছেনা, জীবনোপকরনের অন্য কোন সামগ্রীও তো বাড়ছে না। আর খাদ্যদ্রব্য তো এই পরিমানে গুদামজাত করা নেই যে আগামিতে কোটি কোটি মানব সন্তান এসে খেতে পারে এবং না দূর দূরান্ত সফর করার জন্য কোন দ্রুত যানবহনও আছে। তাই এখন থেকেই যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে আগামী দিনের পৃথিবীটা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ সংকটময় ও সংকীর্ণ। যেমনটা এ যুগের কোন কোন বুদ্ধিজীবি চিন্তা করতে করতে মাথার চুলগুলো ফেলে টাক করেছেন। তাহলে আরও হাজার বছর পূবেই পৃথিবীতে বসবাসের মত লোক পাওয়া যেতনা। পৃথিবীর গতি থমকে দাড়াত। কিন্তু তখনকার লোকজন এই মারাত্নক ভুল করেনি। তাদের আল্লাহর কুদরতের উপর পূর্ণ আস্তা ও অগাধ বিশ্বাসী ছিল। তারা জানত যদি জনসংখ্যা বাড়ে তাহলে স্রষ্টা এর চাহিদা মোতাবেক অন্ন, বস্র, বাসস্তানের ব্যবস্তা ও বাড়াবেন। আর বাস্তবে হলোও তাই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন অনুপাতে জীবনোপকরণের সকল সামগ্রীও বৃদ্ধি হতে লাগল। মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতি খেলাও এটাই যে, যে পরিমানের প্রয়োজনাদী সামনে আসে মোতাবেক সমাধানও তিনি করে থাকেন। শুধু তাই নয় বরং যখন কোন জিনিসের চাহিদা কমে যায় তখন সে জিনিস ক্রমান্নয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, যখন যাতায়াতের জন্য আজকের মত বিমান, রেল, বাস, জাহাজ ইত্যাদী কোন দ্রুতগামী মোটরযান ছিলনা তখন মানুষ ঘোড়া, উট, ইত্যাদী দ্বারা যাতায়াতের উপর নির্ভরশীল ছিল। আর তাই তখন ঘোড়ার উৎপাদন ছিল প্রচুর পরিমানে। কিন্তু যুগের বির্বতনে যখন মানুষ মটরযানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল, তখন ঘোড়ার চাহিদা আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগল। কমে গেলে এর ব্যবহারও এখন যুক্তির বিচারে। এমনটাই তো হওয়া উচিৎ ছিল যে যেহতু ঘোড়ার ব্যবহার কমে গেছে তাই সে সকল ও এদের বংশধররা প্রচুর হতে কুকুর বিড়ালের ন্যায় অলি গলিতে ঘরে বেড়ায়। আর কল্পনাতীত মুল্য হ্রাস হওয়ার কথাছিল। কিন্তু বাস্তবে হলো কি? ঘোড়ার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া তো দুরের কথা অবাক হওয়ার মতো হারে হ্রাস পেয়েছে। এমনিভাবে মূল্য হ্রাস হওয়াতো দুরের কথা অভাবনীয়ভাবে দাম বেড়েছে। বেশি দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমার দেখা নিজের অভিজ্ঞাতার কথাই বলছি। ভারতে প্রথম গরু জবাই করার রাষ্ট্রীয় বৈধ্য ছিল। প্রত্যেক দিন সারা ভারত ব্যাপি প্রায় লক্ষাধিক গরু জবাই হত। এর কিছুদিন পর যখন রাষ্ট্রীয় আইণে তা নিষেধ হয়ে গেল, যার দারুণ দৈনিক লক্ষাধিক গরু জবাই হওয়ার থেকে বেচে যেতে লাগল। সেই অনুপাতে যদি সঠিক হিসাব করে দেখা হয় তাহলে এতদিনের ভারতে মানুষের সমান সমান গরু বাছুরে ভরে যাওয়ার তথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে কি তাই হয়েছে? কক্ষনো নয়। কিভাবে হবে? এটাতো হলো বিশ্ব প্রতিপারক আল্লাহ তায়ালার দক্ষ হাতের কারীগরী, মানুষের চিন্তাও যেখানে পৌছানো অসম্ভব। এটাতো এমন নিপুন কার্যক্রম, যেথায় সকল জ্ঞানীদের মাথা নত হয়ে আসে। হিসাব নিকাসের সকল ক্যালকুলেটর যেখানে অকেজো। তাহলে এটা কি করে মাথায় আসে যে জনসংখ্যা বাড়লে জীবনোপকরণের সামগ্রী সংকীর্ণ হয়ে যাবে। বরং বাস্তবতা হলো যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী সেই অনুপাতে বাড়তে থাকবে যেমনটা পূর্ব থেকে চলে আসছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এই সীমিত পৃথিবীতে এমন অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন যার একটি অথবা এক জোড়ার জন্মহার যদি কয়েক প্রজন্ম পরিপূর্ণ ভাবে হতে দেয়া হয় তাহলে অতি অল্পদিনে দেখা যাবে পৃথিবী এরাই দখল করে নিয়েছে। অন্য কোন প্রাণীর সংকুলার আর হবে না। যেমন ‘ষ্টার ফিস’ একসাথে বিশ কোটি ডিম দেয়। যদি একটি ষ্টার মাছ কে স্বাধীনভাবে তার বংশ বিস্তারের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে মাত্র কয়েক প্রজন্ম পার হতে না হতেই সাগর শুধু কেবল ষ্টার মাছেই ভরে যাবে অন্য কোন প্রাণী থাকবে তো দুরের কথা সাগরে পানিও পাওয়া যাবে না। কিন্তু কোন সে কুদরত যিনি এই সকল প্রাণীদেরকে একটি নির্দিষ্ট পরিসর ছাড়া এর বাইরে বাড়তে দিচ্ছিনা সেটা অবশ্যই আমাদের এযুগের বিজ্ঞান যা সাইন্টিফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হা শক্তি একমাত্র মহান আল্লাহর কুদরতি শক্তি। তাহল যে খোদায়ী কুদরতি শক্তি সে সকল প্রানিদেরকে এদের নিদিষ্ট পরিধিতে সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন ঠিক তেমনিভাবে তার সেই ক্ষমতা মানুষের প্রজননের ক্ষেত্রে কার্যকরি হবে। সর্বদা তার সেই কর্মসূচী অনুযায়ী চলে আসছে আর এভাবেই চলেতে থাকবে। তাহলে আমাদের কি প্রয়োজন পড়ল তার সেই খোদায়ী কাজে হস্তক্ষেপ করার।
হয়েছে। যখন পৃথিবীর বুকে বসবাসকারী লোক সংখ্যা কমছিল। যখন মানুয়ের বসবাস একটি নির্ধারিত অংশে সীমিত ছিল, তখন যোগাযোগের জন্য একটি সাইকেলের আবিস্কারও কেউ করেনি। তাই সে যুগে না বিমান ছিল না সামুদ্রিক জাহাজ ছিল, না রেল,বাস, বা কোন মোটরযার ছিল। তখনকার লোকজন যদি এই চিন্তা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি লিপ্ত হয়ে যেত যে, যে হারে মানুষ বাড়ছে, সে হারে আবাদ ভূমিও বাড়ছেনা, জীবনোপকরনের অন্য কোন সামগ্রীও তো বাড়ছে না। আর খাদ্যদ্রব্য তো এই পরিমানে গুদামজাত করা নেই যে আগামিতে কোটি কোটি মানব সন্তান এসে খেতে পারে এবং না দূর দূরান্ত সফর করার জন্য কোন দ্রুত যানবহনও আছে। তাই এখন থেকেই যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে আগামী দিনের পৃথিবীটা হবে অত্যন্ত ভয়াবহ সংকটময় ও সংকীর্ণ। যেমনটা এ যুগের কোন কোন বুদ্ধিজীবি চিন্তা করতে করতে মাথার চুলগুলো ফেলে টাক করেছেন। তাহলে আরও হাজার বছর পূবেই পৃথিবীতে বসবাসের মত লোক পাওয়া যেতনা। পৃথিবীর গতি থমকে দাড়াত। কিন্তু তখনকার লোকজন এই মারাত্নক ভুল করেনি। তাদের আল্লাহর কুদরতের উপর পূর্ণ আস্তা ও অগাধ বিশ্বাসী ছিল। তারা জানত যদি জনসংখ্যা বাড়ে তাহলে স্রষ্টা এর চাহিদা মোতাবেক অন্ন, বস্র, বাসস্তানের ব্যবস্তা ও বাড়াবেন। আর বাস্তবে হলোও তাই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন অনুপাতে জীবনোপকরণের সকল সামগ্রীও বৃদ্ধি হতে লাগল। মহান আল্লাহ তায়ালার কুদরতি খেলাও এটাই যে, যে পরিমানের প্রয়োজনাদী সামনে আসে মোতাবেক সমাধানও তিনি করে থাকেন। শুধু তাই নয় বরং যখন কোন জিনিসের চাহিদা কমে যায় তখন সে জিনিস ক্রমান্নয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, যখন যাতায়াতের জন্য আজকের মত বিমান, রেল, বাস, জাহাজ ইত্যাদী কোন দ্রুতগামী মোটরযান ছিলনা তখন মানুষ ঘোড়া, উট, ইত্যাদী দ্বারা যাতায়াতের উপর নির্ভরশীল ছিল। আর তাই তখন ঘোড়ার উৎপাদন ছিল প্রচুর পরিমানে। কিন্তু যুগের বির্বতনে যখন মানুষ মটরযানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল, তখন ঘোড়ার চাহিদা আস্তে আস্তে কমে যেতে লাগল। কমে গেলে এর ব্যবহারও এখন যুক্তির বিচারে। এমনটাই তো হওয়া উচিৎ ছিল যে যেহতু ঘোড়ার ব্যবহার কমে গেছে তাই সে সকল ও এদের বংশধররা প্রচুর হতে কুকুর বিড়ালের ন্যায় অলি গলিতে ঘরে বেড়ায়। আর কল্পনাতীত মুল্য হ্রাস হওয়ার কথাছিল। কিন্তু বাস্তবে হলো কি? ঘোড়ার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া তো দুরের কথা অবাক হওয়ার মতো হারে হ্রাস পেয়েছে। এমনিভাবে মূল্য হ্রাস হওয়াতো দুরের কথা অভাবনীয়ভাবে দাম বেড়েছে। বেশি দুরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমার দেখা নিজের অভিজ্ঞাতার কথাই বলছি। ভারতে প্রথম গরু জবাই করার রাষ্ট্রীয় বৈধ্য ছিল। প্রত্যেক দিন সারা ভারত ব্যাপি প্রায় লক্ষাধিক গরু জবাই হত। এর কিছুদিন পর যখন রাষ্ট্রীয় আইণে তা নিষেধ হয়ে গেল, যার দারুণ দৈনিক লক্ষাধিক গরু জবাই হওয়ার থেকে বেচে যেতে লাগল। সেই অনুপাতে যদি সঠিক হিসাব করে দেখা হয় তাহলে এতদিনের ভারতে মানুষের সমান সমান গরু বাছুরে ভরে যাওয়ার তথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে কি তাই হয়েছে? কক্ষনো নয়। কিভাবে হবে? এটাতো হলো বিশ্ব প্রতিপারক আল্লাহ তায়ালার দক্ষ হাতের কারীগরী, মানুষের চিন্তাও যেখানে পৌছানো অসম্ভব। এটাতো এমন নিপুন কার্যক্রম, যেথায় সকল জ্ঞানীদের মাথা নত হয়ে আসে। হিসাব নিকাসের সকল ক্যালকুলেটর যেখানে অকেজো। তাহলে এটা কি করে মাথায় আসে যে জনসংখ্যা বাড়লে জীবনোপকরণের সামগ্রী সংকীর্ণ হয়ে যাবে। বরং বাস্তবতা হলো যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী সেই অনুপাতে বাড়তে থাকবে যেমনটা পূর্ব থেকে চলে আসছে। মহান আল্লাহ তায়ালা এই সীমিত পৃথিবীতে এমন অসংখ্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন যার একটি অথবা এক জোড়ার জন্মহার যদি কয়েক প্রজন্ম পরিপূর্ণ ভাবে হতে দেয়া হয় তাহলে অতি অল্পদিনে দেখা যাবে পৃথিবী এরাই দখল করে নিয়েছে। অন্য কোন প্রাণীর সংকুলার আর হবে না। যেমন ‘ষ্টার ফিস’ একসাথে বিশ কোটি ডিম দেয়। যদি একটি ষ্টার মাছ কে স্বাধীনভাবে তার বংশ বিস্তারের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে মাত্র কয়েক প্রজন্ম পার হতে না হতেই সাগর শুধু কেবল ষ্টার মাছেই ভরে যাবে অন্য কোন প্রাণী থাকবে তো দুরের কথা সাগরে পানিও পাওয়া যাবে না। কিন্তু কোন সে কুদরত যিনি এই সকল প্রাণীদেরকে একটি নির্দিষ্ট পরিসর ছাড়া এর বাইরে বাড়তে দিচ্ছিনা সেটা অবশ্যই আমাদের এযুগের বিজ্ঞান যা সাইন্টিফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্হা শক্তি একমাত্র মহান আল্লাহর কুদরতি শক্তি। তাহল যে খোদায়ী কুদরতি শক্তি সে সকল প্রানিদেরকে এদের নিদিষ্ট পরিধিতে সীমাবদ্ধ করে রেখেছেন ঠিক তেমনিভাবে তার সেই ক্ষমতা মানুষের প্রজননের ক্ষেত্রে কার্যকরি হবে। সর্বদা তার সেই কর্মসূচী অনুযায়ী চলে আসছে আর এভাবেই চলেতে থাকবে। তাহলে আমাদের কি প্রয়োজন পড়ল তার সেই খোদায়ী কাজে হস্তক্ষেপ করার।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জন্ম নিয়ন্ত্রণ চাই যেভাবেই করা হোক না কেন এটা একটি প্রকৃতি বহিভূত কাজ কেননা দাম্পত্য জীবনের মূল লক্ষই হলো প্রজনন ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। যা বিশেষত নারীদের দৈহিক গড়ন ও তা পর্যায়ক্রমে পরিবর্তনের প্রতি গভীর দৃষ্টি দিলেই বুঝে আসে। মনে হয় যেন সৃষ্টিকর্তা নারীদের দেহটাকেই সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য এক মেশিনারী যন্ত্রের ন্যয় উপযোগী করে সৃষ্টি করেছেন। তার কাজই হলো সন্তান জন্ম দেয়ার মাধ্যমে মানুসের অস্তিত্য পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখার ভূমিকা রাখা। নারী সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে তার মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয়ে যায়। এটা তাকে প্রতি মাসেই প্রজনন কাজের জন্য প্রস্তুত করছে। এরপর যখন তার পেটে সন্তান আসে তখন তার দেহে এক বিশেষ পরিবর্তণ লক্ষ করা যায়। আগন্তুক সন্তানের দেহ গড়ন বর্ধনের প্রভাব তার দেহে পড়তে থাকে, নারীর দৈহিক সৌন্দর্য দিন দিন স্ফীত হতে থাকে। তার খাদ্যাভ্যাস থেকে কেবল প্রাণ রক্ষা হওয়ার মত অংশ তার দেহের জন্য ব্যয় হয়, আর বাকি সবটুকু অংশ সন্তানের দৈহিক অবকাঠামো তৈরীর জন্য ব্যয় হতে থাকে। আর এ থেকেই মায়ের হৃদয় সন্তানের জন্য ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নারীর দেহে আরেকটি পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় যা তার সন্তানকে দুধপান করতে সহায়ক। আর সে সময় দেহে খাদ্যাংশ ও রক্ত হতে যে নির্জাস হয়ে থাকে এর সিংহভাগ এই দুধ তৈরিতে ব্যয় হয়ে থাকে। এখানে নারীর স্বীয় দেহের সৌন্দর্য বর্ধনের তুলনায় সন্তানের দৈহিক উন্নতির ব্যাপারটাই প্রাধান্য। দুধ পান করানোর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্রষ্টা তাকে আবার পুনঃসন্তান ধারণের উপযোগী করতে থাকেন। আর নারীর দেহে এই ধারাবাহিকতা ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকে যতদিন সে এই মহান দায়িত্ব (সন্তান ধারণের ক্ষমতাসম্পন্ন) পালনের উপযোগী থাকে। যেদিন থেকে বয়স বাড়ার দারুন প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, সে দিন থেকে তার দৈহিক সৌন্দর্যতা, লাবণ্যতা আকর্ষণও বিলুপ্ত হতে থাকে। শীতের মৌসুমে শুষ্ক পাতা ঝরে ঝরে গাছের শাখা গুলি যেমনি করে শ্রীহীন হয়ে যায়। পড়ন্ত বিকেলে উড়ন্ত প্রজাপতির ডানার মৃদু বাতাসে যেমন করে পাপড়ীগুলি ঝরে ঝরে পড়ে যায়। বার্ধক্যের চাপে নুইয়ে পড়া স্নিগদ্ধতা, কোমলতাহীন কংকালসার নারী দেহে যেন কোন কার্টুনিষ্টের ব্যাঙ্গ ছবি। শেষ জীবনের আরও নানান রোগ ব্যাধিতে, অসহনীয় দুঃখ যাতনায় তিলে তিলে ক্ষয় হতে থাকে তার দেহ, মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে তার এই কঠিন মুহুর্ত গুলি।
এই আলোচনার দ্বারা বুঝা গেল, তাহলে নারী জীবনের সোনালী সময় তো সেটাই, যখন সে প্রজননের মত মহান গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকে। এরপর যখন সে নিজের জন্য বেচে থাকে তখন খুব কষ্ট দিন কাটায়। তাহলে বুঝাগের তার সৃষ্টি হলো দাম্পত্য জীবনে এসে প্রজননের মাধ্যমে মানুষের বংশ বিস্তারের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া এরই সাথে নারী সৃষ্টির আরেকটি মহান উদ্দেশ্য হলো মানুষ পারিবারীক জীবন ধারণ করে সামাজিক জীবনের ভিত্তি গড়বে। কেননা দাম্পত্য সম্পর্কের দ্বারা সন্তানাদি ও একটি পারিবারিক পরিবেশের তৈরী হয়। এরপর এই পারিবারিক থেকে আরেক পরিবার, এমনভাবে ৩য় পবিবার এমনভাবে ঘর থেকে বাড়ী-পাড়া গ্রাম উঠে। আর এই ভিত্তির উপরই সামাজিকতা-সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়। তাই প্রকৃতি নর-নারীর দাম্পত্য জীবনে পস্পরের যে আর্কষন, অনুরাগ ও সদভাব রেখেছে তা হলো মানবীয় চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে সেই মহান লক্ষ্যও পূরণ করে যাবে। কিন্তু যে ব্যাক্তি শুধু এই জৈবিক চাহিদাটাই পূরণ করে কিন্তু বংশ বিস্তারের মত মহান লক্ষ্য বাস্তবায়নের ইচ্ছা করেনা। তার উপমা ঐ শ্রমিকের ন্যায় যে শুধু পারিশ্রমিক নিয়ে নিতে চায় কিন্তু শ্রম ব্যয় করতে চায় না।
এমন স্বার্থপর শ্রমিক ধরা পড়লে অবশ্য শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। যেমনিভাবে এই শ্রমিক শ্রম ব্যয় না করে টাকা নেয়ার কারণে শাস্তি পায় ঠিক তেমনিভাবে ঐ লোক যে কেবল জৈবিক চাহিদা পূরণ করে ইনজয় করল (মজা নিল) আর আসল উদ্দেশ্য (প্রজনন পূরণ না তাহলে সেও সৃষ্টি কর্তার কাছে অপরাধী হিসাবে গন্য হবে। বিধাতার শাস্তির হাত থেকে সেও রেহায় পাবেনা। কিন্তু শাস্তি সে দুনিয়াতেই নগদ পেয়ে যাবে। সেগুলো বিভিন্ন ক্ষতি হিসাবে তার প্রকাশ পাবে।
তম্মধ্যে একটি হলো দৈহিক ক্ষতি।
এই আলোচনার দ্বারা বুঝা গেল, তাহলে নারী জীবনের সোনালী সময় তো সেটাই, যখন সে প্রজননের মত মহান গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকে। এরপর যখন সে নিজের জন্য বেচে থাকে তখন খুব কষ্ট দিন কাটায়। তাহলে বুঝাগের তার সৃষ্টি হলো দাম্পত্য জীবনে এসে প্রজননের মাধ্যমে মানুষের বংশ বিস্তারের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া এরই সাথে নারী সৃষ্টির আরেকটি মহান উদ্দেশ্য হলো মানুষ পারিবারীক জীবন ধারণ করে সামাজিক জীবনের ভিত্তি গড়বে। কেননা দাম্পত্য সম্পর্কের দ্বারা সন্তানাদি ও একটি পারিবারিক পরিবেশের তৈরী হয়। এরপর এই পারিবারিক থেকে আরেক পরিবার, এমনভাবে ৩য় পবিবার এমনভাবে ঘর থেকে বাড়ী-পাড়া গ্রাম উঠে। আর এই ভিত্তির উপরই সামাজিকতা-সভ্যতার সৌধ নির্মিত হয়। তাই প্রকৃতি নর-নারীর দাম্পত্য জীবনে পস্পরের যে আর্কষন, অনুরাগ ও সদভাব রেখেছে তা হলো মানবীয় চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে সেই মহান লক্ষ্যও পূরণ করে যাবে। কিন্তু যে ব্যাক্তি শুধু এই জৈবিক চাহিদাটাই পূরণ করে কিন্তু বংশ বিস্তারের মত মহান লক্ষ্য বাস্তবায়নের ইচ্ছা করেনা। তার উপমা ঐ শ্রমিকের ন্যায় যে শুধু পারিশ্রমিক নিয়ে নিতে চায় কিন্তু শ্রম ব্যয় করতে চায় না।
এমন স্বার্থপর শ্রমিক ধরা পড়লে অবশ্য শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। যেমনিভাবে এই শ্রমিক শ্রম ব্যয় না করে টাকা নেয়ার কারণে শাস্তি পায় ঠিক তেমনিভাবে ঐ লোক যে কেবল জৈবিক চাহিদা পূরণ করে ইনজয় করল (মজা নিল) আর আসল উদ্দেশ্য (প্রজনন পূরণ না তাহলে সেও সৃষ্টি কর্তার কাছে অপরাধী হিসাবে গন্য হবে। বিধাতার শাস্তির হাত থেকে সেও রেহায় পাবেনা। কিন্তু শাস্তি সে দুনিয়াতেই নগদ পেয়ে যাবে। সেগুলো বিভিন্ন ক্ষতি হিসাবে তার প্রকাশ পাবে।
তম্মধ্যে একটি হলো দৈহিক ক্ষতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন