নারীরা তাদের স্বামীর অকৃতজ্ঞ হওয়া, অশ্লীলতা ছড়ানো (বেপর্দা হয়ে রাস্তায় চলা ফেরা করা, পরপুরুষের সাথে কথা বলা বা দেখা করা, ফেসবুকে নিজের ছবি বা অন্য যে কোন মেয়েদের ছবি আপলোড করা, মোবাইলে ছেলেদের সাথে কথা বলা ইত্যাদি), পার্লারে যাওয়া, পার্লারে কাজ করা, পার্লার বানানো, ভ্রু প্লাক করা, চুল কাটা বা ছাটা, দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করা, সৌন্দর্য মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করা, পরচুলা লাগিয়ে দেয়া, পরচুলা লাগাতে বলা এবং পরচুলা লাগানো ইত্যাদি গুনাহের করনেই নারীরা জাহান্নামে বেশি যাবে।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'আমি জান্নাতের অধিবাসী সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। আমি জানতে পারলাম, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী হবে গরীব লোক। জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, আমি জানতে পারলাম, এর অধিকাংশ অধিবাসী মহিলা। [সহীহ বুখারী,হাদিস নং- ৩০১৪]
জাহান্নাম কেমন হবে...??
(১) জাহান্নামের গভীরতা এমন যে, এর মুখ থেকে একটি পাথর ফেলে দিলে জাহান্নামের তলদেশে পৌছাতে ৭০ বছর সময় লাগে। বিচারের দিন জাহান্নাম কে ৭০ হাজার শিকল দ্বারা টেনে আনা হবে যার প্রত্যেক শিকল ৭০ হাজার ফেরেশতা বহন করবেন।
(২) জাহান্নামে চাঁদএবং সূর্যকে নিক্ষেপ করা হবে আর জাহান্নামে তা অবলীলায় হারিয়ে যাবে।
(৩) জাহান্নামবাসীর শরীরের চামড়া ১২৬ ফুট পুরো করে দেওয়া হবে যাতে করে আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ হয়, তাদের শরীরে আরও থাকবে তিল যার একএকটি হবে উহুদ পাহাড়ের সমান। আর জাহান্নামবাসীর বসারজায়গা হবে মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত দূরত্বের সমান।
(৪) প্রতিদিন জাহান্নামের আযাব পূর্বের দিন থেকে আরও তীব্র আর ভয়াবহ করা হবে।
(৫) জাহান্নামের খাদ্য হবে কাঁটা যুক্ত গাছ আর পানীয় হবে ফুটন্ত পানি, পুঁজ, পুঁজও রক্তের মিশ্রণ এবং উত্তপ্ত তেল, এরপরও জাহান্নামবাসীর পিপাসা এতবেশি হবে যে তারা এই পানীয় পান করতে থাকবে।
(৬) জাহান্নামের এই ভয়াবহ কল্পনাতীত আযাব অনন্ত কালধরে চলতে থাকবে, জাহান্নামবাসীরা এক পর্যায়ে জাহান্নামের দেয়াল টপকিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে তাদেরকে লোহার হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেওয়া হবে।
এই কথাগুলো জানার পরেও কি নারীরা সাবধান হবেন না? এর পরেও কি নিজের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে অশ্লীলতা ছড়াবেন? এর পরেও কি রাস্তাঘাটে বেপর্দা হয়ে চলাচল করবেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন