জাহান্নাম হচ্ছে উত্তপ্ত আগুনের বাসস্থান। আগুনে মানুষকে পুড়িয়ে শাস্তি দেওয়ার জায়গা। দুনিয়াতে কিছুক্ষণ আগুনে পুড়লেই, আগুন বুকের ভেতরে প্রবেশ করার আগেই মানুষ মারাযায়। কিন্তু জাহান্নামীদেরকে ওহুদ পাহাড়ের থেকেও অনেক বড় দেহের আকৃতিতে পরিণত করে দেওয়া হবে, আর সেখানে তারা মরবেও না, বাচবেও না। সেইজন্য আগুনে পুড়তে পুড়তে আগুন তাদের বুকের ভেতর পর্যন্ত প্রবেশ করবে। আগুনের গরমে এতো বেশি পিপাসার্ত হবে যে, তারা পানি খেতে চাইলে পচা দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ, ফুটন্ত গরম পানি, জাহান্নামে শাস্তিপ্রাপ্ত যিনাকারী নারীদের লজ্জাস্থান থেকে নির্গত পুঁজ খেতে দেওয়া হবে। এইগুলোই তারা উটের মতো ঢোকঢোক করে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করবে।
কিন্তু হায় আফসোস!! এইগুলো তাদের পিপাসা তিল পরিমান দূর করবেনা। এতো গরম হবে যে, মুখে নেওয়া মাত্রই উপরের ঠোট পুড়ে কপালে চলে যাবে আর নিচের ঠোট পুড়ে বুক পর্যন্ত ঝুলে যাবে। আর গরম পানি খাওয়ার ফলে তাদের পেটের নাড়ি-ভূড়ি পেছনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবে...।
কোন মানুষ চিন্তাও করতে পারবেনা আল্লাহর অবাধ্যতা ও নাফরমানীর শাস্তি কত মারাত্মক হতে পারে। যদি বুঝতো তাহলে কোন মানুষ কোনদিন খারাপ কাজ করতে পারতোনা। কখনো অবৈধ প্রেম-ভালোবাসায় জড়াত না, জেনা-ব্যভিচার করত না। কামনাকে উস্কে দেয় এমন হিন্দী নাটক সিনেমা দেখত না। নারী-পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক, যোগাযোগ, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও পরকীয়া করত না। মদ-জুয়া, সিগারেট, একজনের আড়ালে আরেকজনের গীবত ইত্যাদি করত না। মেয়েরা তাদের ছবি সাজুগুজু করে হোক, মাথায় ওড়না পেচিয়ে হোক, হিজাব পরে হোক বা যেভাবেই হোক না কেন, কখনোই ফেসবুকে আপলোড করত না। সময় থাকতে সাবধান...। না হলে কিয়ামতের ময়দানে জাহান্নামের ভয়াবহতা দেখে আফসের সাথে বলতে হবে, "হায়, আফসোস- আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।" (সুরা নাবাঃ ৪০)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন