আইয়ামে জাহিলিয়াতেও মানুষ এক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করত তবে তারা আল্লাহ'র সাথে শরীক স্থাপন করত বা তাঁর সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দেব-দেবীর পূজা করত।
যদি বাইরের কেউ তাদের জিজ্ঞাসা করত, "তোমরা কেন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস কর বা তোমাদের এই বিশ্বাস এলো কোথা থেকে?" তখন তারা তাদের উটের মলসমূহের দিকে নির্দেশ করে বলত, "তুমি কি দেখ না, এই মরুভূমিতে মলগুলো দেখে আমি বুঝে নেই যে এখানে আশেপাশে কোথাও কোন উট আছে?"
সুবহানআল্লাহ! সেই অন্ধকার যুগেও মানুষ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠেনি। মরুভূমিতে উটের মল যদি উটের অস্তিত্ব নির্দেশ করে, মরুভূমিতে পা এর ছাপ যদি আশেপাশে মানুষের উপস্থিতি নির্দেশ করে তবে এই মহাবিশ্ব জুড়ে এত এত বস্তুর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে একজন মহান সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি নির্দেশ করে।
আফসোস দু লাইন বিজ্ঞান পড়ে আজকাল মানুষ স্রষ্টাকে অস্বীকার করে। তারা ভুলে যায় বিজ্ঞানে স্রষ্টার উপস্থিতি অনুপস্থিতি বিষয়ক রিসার্চ রিপোর্টগুলো স্রষ্টার অনুপস্থিতি প্রমাণ করতে ব্যর্থ অপরপক্ষে স্রষ্টার উপস্থিতির পক্ষে বিজ্ঞানের অবস্থান বেশি মজবুত। তবুও তারা নাস্তিকতার ফ্যাশনে তাল মিলিয়ে চলে। অনেকে আস্তিক হয়েও নাস্তিকের ন্যায় চিন্তাহীন থাকে। ফ্রান্সিস বেকনের একটা কথা মনে পড়ে।
"যে বিজ্ঞান অল্প জানে সে হয় নাস্তিক আর যে বিজ্ঞান যত বেশি জানে সে হয় তত বড় আস্তিক"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন