খিলাফতে রাশেদার তিনজন খলীফাই শহীদ। আরও অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তিনজনের শাহাদাতের পেছনেই কোনও না কোনওভাবে পারস্য-শী‘আ-ইহুদি শব্দগুলো এসে পড়ে। ইলামের ইতিহাসের প্রতিটি দুঃখজনক ঘটনার সাথেই পারস্য ও ইহুদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে।
(এক) উমার রা কে শহীদ করেছে ফিরোজ আবু লুলু। পারস্যে অগ্নিপূজারী।
(দুই) উসমান রা.কে শহীদ করেছে একদল বিদ্রোহী। তাদের নেতা ছিল আবদুল্লাহ ইবনে সাবা। এই ব্যাটা ছিল ইহুদি। সে আলি রা.-এর নাম ভাঙিয়ে আলাদা দল তৈরীতে ব্যস্ত ছিল। মিসরে। এখনকার মতো তখনো মিসর ইহুদিদের ‘আখড়া’ ছিল। আমীরুল মুমিনিনকে শহীদ করার মূল কাজে অংশ নিয়েছিল সাবার কয়েক শাগরিদ:
ক: গাফেকী বির হারব (মিসর)। প্রধান নেতা।
খ: কিনানাহ বিন বিশর তাজীবি (মিসর)।
গ: সাওদান বিন হামরান (ইয়ামান)।
ঘ: আবদুল্লাহ বিন বুদাইল বিন ওরকা (খুজায়ী)।
ঙ: হাকীম বিন জাবালাহ (বসরা)।
চ: মালিক বিন হারেস আশতার।
.
(তিন) আলি রা.কে শহীদ করার পেছনেও শী‘আদের সহোদর খারেজীদের হাত ছিল। তিনজন এই ঘৃন্য কাজে অংশ নিয়েছিল:
ক: আবদুর রাহমান ইবনে মুলজিম (মুল হন্তা)।
খ: শাবীব বিন নাজরাহ।
গ: ওরদান তাইমি।
.
(চার) আব্বাসী খিলাফাহ ধ্বংসের পেছনেও শী‘আ উযীর ইবনুল আলকামীর ইন্ধন প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
.
(পাঁচ) উসমানি খিলাফার সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি, সুলাইমান কানুনী রহ. এর যোগ্যতম সন্তান মুস্তাফা। যিনি পরে খলীফা হতেন, বলা হয়ে থাকে, যোগ্যতম একজন খলীফা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তার মধ্যে। তার মৃত্যুর পেছনেও শী‘আ সংযোগ আছে। এমন আরও অনেক ঘটনা।
.
(ছয়) বর্তমান খিলাফা নিয়ে কারো কারো মনে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, খিলাফতে রাশেদার মতো, বর্তমান দাওলা ইসলামিয়ার প্রথম তিন প্রধানও শী‘আ-আমেরিকা জোটের হাতে শহীদ:
ক: শায়খ আবু মুসআব যারকাবী রহ.।
খ: শায়খ আবু হামযা আলমুহাজির রহ.।
গ: শায়খ আবু উমার বাগদাদী রাহ.।
= শী‘আদের পেছন থেকে ছুরি মারার ঘটনা বলতে গেলে ফুরোবে না।
১৭/০৩/১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন