শুক্রবার, ২০ মে, ২০১৬

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে হিন্দু শিক্ষকদের ইসলাম ধর্ম অবমাননা : করণীয় কি ?


সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়াতে চোখ রাখলে দেখা যায়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষকরা মুসলমানদের ধর্মীয় অনূূভূতি নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করে যাচ্ছে। যেমন-

১) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মহানবী (স.) সম্পর্কে হিন্দু শিক্ষক শংকর বিশ্বাসের কটূক্তি : জনতার বিক্ষোভ

২) শরীয়তপুরে শ্রেণিকক্ষে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি, বিক্ষোভের মুখে হিন্দু শিক্ষক গ্রেফতার (http://goo.gl/CTJPtI)

৩) বাগেরহাটে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের বিক্ষোভ : ২ শিক্ষককে কারাদণ্ড (http://goo.gl/svlupD)

৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মহানবী (সা.) হিন্দু শিক্ষকের কটূক্তি। শিক্ষক আটক (http://goo.gl/y84RGp)

৫) জামালপুরে আল্লাহ, কোরআন ও নবী (সা.) সম্পর্কে হিন্দু শিক্ষকের কটূক্তি। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনমনে অসন্তোষ, শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ (http://goo.gl/nX3bsF)

৬) কুমিল্লায় হিন্দু শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার কর্তৃক ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, শির্ক্ষার্থী অভিভাবদের বিক্ষোভের মুখে গ্রেফতার (http://goo.gl/mu5JYb)

৭) মৌলভীবাজারে হিন্দু শিক্ষক প্রসেনঞ্জীৎ চন্দ্র শীলের ইসলাম অবমাননা। চাকুরী থেকে বরখাস্ত (http://goo.gl/z8brlp)

৮) কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে মহানবী নিয়ে হিন্দু শিক্ষিকার কটূক্তি। জনগণের প্রতিবাদের মুখে গ্রেফতার।(http://goo.gl/zZv39I)

৯) যশোরে শ্রেণীকক্ষে হিন্দু শিক্ষকের কোরআন নিয়ে কটুক্তি, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

১০) নড়াইলে ইসলাম ধর্ম নিয়ে হিন্দু কটাক্ষ করায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, শিক্ষক বরখাস্ত। (http://goo.gl/cVGlx2)

১১) ‍কুমিল্লার চান্দিনায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি হিন্দু শিক্ষকের, এলাকা উত্তপ্ত (http://goo.gl/CMKRUX)

১২) মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি জনতার রোষানলে শিক্ষক আটক (http://goo.gl/xBBWUe)

১৩) মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করায় এক শিক্ষক গ্রেফতার (http://goo.gl/07lDf3)

১৪) দিনাজপুরে মহানবী (সঃ) কে নিয়ে হিন্দু শিক্ষক খগেন্দ্রনাথের কটূক্তি, এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ (https://goo.gl/DOmbUI)

১৫) বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় হিন্দু শিক্ষক কর্তৃক মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক বহিষ্কার (http://goo.gl/fqfN7Q)

১৬) ঢাকার ধানমন্ডীতে মহানবী (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি করায় হিন্দু শিক্ষক বদলি

১৭) সাতক্ষীরায় মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে কুটুক্তি, হিন্দু স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার (http://goo.gl/DVUzmm)

১৮) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় হিন্দু শিক্ষকের আল্লাহ ও নামাজ নিয়ে কটূক্তি, গণপিটুনি, গ্রেফতার (http://goo.gl/jDib9o)

১৮) সর্বশেষ নারায়নগঞ্জ জেলায় ইসলাম নিয়ে হিন্দু শিক্ষক কটূক্তি করায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ, গণপিটুনি ও জেল হাজতে প্রেরণ।
(সূত্র:http://goo.gl/AzCZqT))

উপরের ঘটনাগুলোকে আপনি কিছুতেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিতে পারবেন না। কারণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা একটা-দুটো ঘটে, এভাবে গণহারে ঘটে না। দেখা যাচ্ছে- প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটিয়েছে হিন্দু শিক্ষক এবং সাধারণ জনতা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা মিডিয়ায় এসেছে। তারমানে এরকম আরো এরকম অসংখ্য ঘটনা ক্লাসরুমে ঘটছে, যা প্রতিবাদের অভাবে শাস্তি হচ্ছে না, মিডিয়ায় আসছে না।

আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষকতা অবশ্যই একটি সম্মানজনক পেশা। শিক্ষকই ছাত্রকে শিক্ষা দেবে কিভাবে অপরকে শ্রদ্ধা করতে হয়। কিন্তু একজন শিক্ষক নিজেই যখন ক্লাসে এসে ছাত্রের সবচেয়ে স্পর্ষকাতর বিষয় অর্থাৎ ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে টানাটানি করে, তখন বোঝা যায় আসলে ঐ শিক্ষকই প্রকৃত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, সে কিভাবে ছাত্রকে শিখাবে ? যেহেতু প্রত্যেকটি ঘটনাই ঘটিয়েছে হিন্দু শিক্ষক, তাই বাধ্য হয়ে বলতে হয়- হিন্দুরা পড়ালেখা করে দুই-চার শ্রেণী পাশ দিতে পারে, হয়ত শিক্ষকতার চাকরীও নিতে পারে, কিন্তু শিক্ষকতা নামক মহান পেশার মর্যাদা রক্ষা করার যোগ্যতা তার নাই। যদি থাকতো, তবে এভাবে গণহারে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করতে পারতো না। তাই আমার মনে হয়- সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের শিক্ষকতা পেশা থেকে হিন্দু শিক্ষকদের সরিয়ে দেয়াই উত্তম।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন