আল্লাহর প্রিয় বান্দা যারা জান্নাতের পথে জীবন পরিচালনা করতে চায় তারা কখনো পুরো রাত ঘুমিয়ে কাটায় না। তারা রাতের কিয়দশ ঘুমায়, আবার ঘুম থেকে উঠে মনিবের কুদরতি পায়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে।বিনয়ী হয়ে আল্লাহর দরবারে পার্থনা করে।এদিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবীব কে লক্ষ করে ইরশাদ করেন- " হে বস্ত্রাবৃত ব্যক্তি! রাত্রিতে দন্ডায়মান হোক কিছু অংশ বাদ দিয়ে অর্ধরাত্র অথবা তদাপেক্ষা কিছু কম।অথ...বা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ। এবং কুরআন আবৃত্তি করুন সুবিন্যস্তভাবে ও স্পষ্ট ভাবে।
সূরা মুযযাম্মিল:১-৪
অত্র আয়াতে আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং তাঁর রাসূলকে সারা রাত্র নামাজ আদায়ের নির্দশ প্রদান করেছেন কিছু অংশ বাদ দিয়ে। অত:পর এর ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে এখন আপনি অর্ধরাত্রি অথবা তদপেক্ষা কিছু কম অথব্ কিছু বেশি নামাযে মশগুল থাকুন।
সুতরাং রাসূল (সা) কে যদি রাত্রি জাগরনের নির্দেশ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে যে ব্যাক্তি আল্লাহ পাকের রেজামন্দি হাসিল করতে চায়,তাঁর কুদরতি হস্তে তৈরী জান্নাতু্ল ফিরদাউসের বাসিন্দা হতে চায় সে কখনো সকাল পর্যন্ত বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে না।নিজের স্বার্থেই বিছানা থেকে পিঠ আলাদা করে রবকে পাওয়ার প্রত্যাশায় ইবাদতে মশগুল হয়ে যাবে।
এতদসত্ত্বেও কোন ব্যক্তি যদি একটানা সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে তাকে হাদীসে শয়তানের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং চরম অশালীন শব্দ তার ব্যাপারে প্রয়োগ করা হয়েছে। যেমন : ইরশাদ হচ্ছে-
" ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নবী করীম (সা) নিকট এমন ব্যাক্তির কথা উল্লেখ করা হলো যে ব্যাক্তি ভোর পর্যন্ত পুরো রাত ঘুমে কাটিয়ে দেয়। তখন রাসূল (সা) বললেন, এ লোকটি তো এমন লোক, শয়তান যার উভয় কানে প্রস্রাব করে দিয়েছে।
বুখারী: ১ম খন্ড,১৫৩ পৃ.
" জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিব, তিনি বলেন,আমি রাসূল (সা) কে বলতে শুনেছি, নিশ্চই রাতের মধ্য এমন একটি মুহুর্ত আছে, যে মুহুর্তে কোন মুসলিম ব্যাক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান বিষয়ে আল্লাহর নিকট যা প্রত্যাশা করবে তাই তিনি প্রদান করবেন।আর এটা প্রত্যেক রাতেই সংঘটিত হয়।
মুসলিম: ১ম খন্ড,২৫৮ পৃ.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন