বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

একসময় পশ্চিমারা তাদের সন্তানদের প্রেরণ করত উন্দুলুসে


একসময় পশ্চিমারা তাদের সন্তানদের প্রেরণ করত  উন্দুলুসে (স্পেন) জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা করার জন্য। তাদের সন্তানরা যখন শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে ফিরত, তখন সকলে লক্ষ্য করত যে, তাদের ভাষা মিশ্রিত হয়ে গেছে! তারা কথায় কথায় আরবী শব্দ ঢুকিয়ে নিজেদের শিক্ষিত হওয়ার ভাব প্রকাশ করত!

আজ মুসলিমরা তাদের সন্তানকে শিক্ষিত করতে পশ্চিমা দেশে প্রেরণ করে। এসকল সন্তানরা যখন নিজ দেশে ফিরে, সকলে দেখতে পায় এদের ভাষা মিশ্রিত হয়ে গেছে! কথায় কথায় ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে নিজেদের শিক্ষিত হওয়ার ভাব প্রকাশ করে! শুধু পশ্চিমা দেশে কেন, মুসলিম দেশগুলিতে পশ্চিমা দেশের অনুকরণে প্রতিষ্টিত স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও তাদের কথায় ব্যবহৃত প্রতি ৩ টা শব্দের মধ্যে ১ টা ইংরেজি শব্দ ঢুকিয়ে শিক্ষিত হওয়ার ভাব মারে! 

স্পেনের কর্ডোভা, সেভিল, টলেডো, মাদ্রিদ ছিল ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল। এসব স্থান থেকেই বের হয়েছিলেন ইবনে আব্দুল বার আন নামারী, ইবনে রুশদ আল-মালিকী, ইবনে হাযম আয-যাহিরী, ইমাম আবু আব্দুল্লাহ আল-কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহদে)র মত ইসলামী ইতিহাসের যুগশ্রেষ্ট বিদ্যানগণ। যাঁদের মত বিদ্যানদের উপহার দিতে পারেনি আজকের পশ্চিমা জগতের বিদ্যাচূড়া অক্সফোর্ড বা ক্যামব্রিজ বিশ্যবিদ্যালয়! যাঁদের অগাধ পান্ডিত্যের স্বাক্ষরবহনকারী ওমর গ্রান্থাবলী আজও অক্সফোর্ড/ক্যামব্রিজ বিশ্যবিদ্যালয়ে নিত্তনৈমত্তিক গবেষনার বিষয়! 

মাত্র ৫ শ বছরের ব্যবধানে ইতিহাস পাল্টে গেল আমুলভাবে! যাঁরা ছিল একসময় মুসলিমদের দলিজার ভিখারী, মুসলিমরা আজ তাদের দলিজার ভিখারী! 
কারণ কি জানেন? তখনকার সময়ে মুসলিমরা ছিল জাতিগত দিক দিয়ে অভিজাত, পশ্চিমারা ছিল নিম্নজাত। অর্ধ পৃথিবীর চাইতেও বেশি ভূমি ছিল মুসলিমদের পদতলে খিলাফত ব্যবস্থার দ্বারা। আর আজ মুসলিমরা হল নিম্নজাত, পশ্চিমারা অভিজাত! শুধু অর্ধ পৃথিবীই নয়; গোটা পৃথিবীই কব্জা করে নিয়েছে পশ্চিমারা তাদের প্রবর্তিত খিলাফত গনতন্ত্রের দ্বারা! গোটা বিশ্বে মুসলিমদের অধঃপ্তনের ইহাই একমাত্র কারণ!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন