ডিক্টেটর মুসোলিনীর
ইটালিয়ান বাহিনী যখন লিবিয়ায় হামলা করে দখলদারিত্ব কায়েম করল, ক্বিতালের ফরজিয়্যাতকে আদায় করতে মরুসিংহ ওমর মুখতার
(রাহিমাহুল্লাহ)র ঝান্ডাতলে সমবেত হয়ে লিবিয়ার আত্নসম্ভ্রমবোধসম্পন্ন
ঈমানদারেরা মরণপণ লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। নাকানিচুবানি খেতে লাগল ইটালিয়ান
ক্রুসেডাররা! তারা লড়াকুদের গ্রেফতার করে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সামনে জনসমক্ষে
ফাঁসির কাষ্টে ঝুলাতে শুরু করল, যাতে এই শাস্তি একটি
ভীতিকর দৃষ্টান্ত হতে পারে। ফাঁসি কার্যকরের পর ফাঁসির রজ্জু থেকে লড়াকুদের
মরদেহকে তাঁদের রমণীদেরই নামিয়ে আনতে হত। যাতে করে ইহা একটি চরম লাঞ্চনাকর বিষয়
হতে পারে! শিক্ষা নিতে পারে ঐসব লড়াকুদের ঔরসে জন্মানো বংশধরেরা।
গভীর নজরে তাকান নিচের
চিত্রটিতে। ১৯৪০ সালে লিবিয়ার তারাবেলুসে (ত্রিপলি) ওমর মুখতার রাহ. এর
সহযোদ্ধাদের মরদেহকে ফাঁসির রজ্জু থেকে নামিয়ে আনছেন তাঁদের পর্দানশীন রমনীগন!
বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাকালে
মনে হচ্ছে চিত্রটি কতইনা মানহানিকর! কতইনা বিভ্রাট-বিব্রতকর! কী সীমাহীন যিল্লতির
প্রতীক! মনে হচ্ছে যেন সারা দুনিয়ার সব অসহায়ত্ব একত্রিত হয়ে খাখা করে বেড়াচ্ছে
ঐসব অবলা রমণীদের সর্বাঙ্গে!
কিন্তু আসলে কি তাই? নিশ্চয় ঐসকল রমণীরা এক নিষ্প্রভ হাসি দিয়ে গ্রহন করেছিল নিজ পতীদের মরদেহ!
গর্ব করতে পেরেছিল দ্বীনের জন্য আত্নদানকারী পতীদের মরদেহকে ফাঁসির রজ্জু থেকে নিজ
হাতে নামাতে পেরে! কে জানে, হয়তবা
আনন্দের আতিশয্যে তাঁদের চোঁখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়েছিল ক'ফোটা নোনাজল!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন