২৩ হিজরীর ২৩ যিলহজ্জ্ব উবাইদুল্লাহ বিন ওমর রা. রাতের আবছা আঁধারে তিনজন ব্যক্তিকে শলাপরামর্শ করতে দেখলেন। তারা উবাইদুল্লাহ বিন ওমরকে দেখে ভ্যাবাচেকা খেয়ে ইতস্ততবোধ করা শুরু করলো! সেই মুহুর্তে তাদের কারো কাছ থেকে দুই মাথাবিশিষ্ট একটি খঞ্জর মাটিতে ছিটকে পড়লো! আর তা উবাইদুল্লাহ বিন ওমরের চোঁখের সামনেই। এই তিন ব্যক্তি হলো- আবু লুলু ফিরুজ, হুরমুজান ও জুফাইনাহ নাসরানী। কিন্তু উবাইদুল্লাহ বিন ওমর রা. কি জানতেন যে, আজ রাতেই তার পিতাকে হত্যার মোটিভ তৈরি করলো এই তিনজন!
'
ওমর রা. মসজিদে নববীতে ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন। অকস্মাৎ আবু লুলু ফিরুজ দুই মাথাওয়ালা একটি খঞ্জর দিয়ে ওমর রা. -কে উপর্যুপরি ৬ বার আঘাত করে পালালো! কাতারের মধ্য দিয়ে পালানোর সময় আরও ১৩ জনকে এলোপাতাড়ি কোপালো, যাদের মধ্যথেকে ৬ জন শহীদ হয়েছিলেন এবং ৭ জন আহত হয়েছিলেন। অবস্থার ভয়াবহতা দেখে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা. তাঁর পরিহিত মোটা চাদরটা আবু লুলুর উপর ছেড়ে দিলেন। পথ হারিয়ে ফেললো আবু লুলু! যখন বুঝতে পারলো যে, সে ধরা পড়ে গেছে; নিজ হাতের খঞ্জর দিয়েই আত্নহত্যা করলো!
উবাইদুল্লাহ বিন ওমর রা. গভীরভাবে তাকিয়ে দেখলেন, এই সেই দুইমাথা বিশিষ্ট খঞ্জর, যেটি রাতে তাঁর সামনেই ছিটকে পড়েছিলো। তাঁর সামনে সব পরিস্কার হয়ে গেলো। পরবর্তীতে তিনি আবু লুলুর সাথে হুরমজান ও জুফাইনাহ নাসরানীকেও হত্যা করে ছাড়লেন। এমনকি আবু লুলুর ছেলে লুলুকেও! অত:পর সবাইকে মদীনায় একই গর্তে দাফন করলেন।
'
ওদিকে ইরানের নিহাওন্দের কাশানে 'আজিমী' নামক জনৈক শিয়া ব্যক্তির কবরকে শিয়া কাফেররা ওমর রা -এর হন্তক 'আবু লুলু'র কবর দাবী করে বসলো! কবরে গম্বুজ নির্মাণ করে স্মৃতিসৌধ বানিয়ে ওমর বিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ ঘঠালো! এই কবরটি শিয়াদের কাছে সীমাহীন পূণময়! প্রতিবছর ২৩ যিলহজ্জ্ব শিয়ারা ঘটা করে ওমর রা. -এর হত্যাদিবস উদযাপন করে! জমায়েত হয় এই কবরের আশেপাশে পরম আহ্লাদে!
চিন্তা করুন- বেঈমান শিয়াদের অবস্থা! আস্তাগফিরুল্লাহ!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন