মোঘল সালতানাতের সর্বশেষ সুলতান 'বাহাদুর শাহ যাফার' রাহিমাহুল্লাহ। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার পর ইংরেজরা দিল্লীকে পরিপূর্ণভাবে কবজা করে নেয়। তারা সুলতানকে তাঁর তিন শাহজাদাসহ গ্রেফতার করে কয়েদখানায় বন্ধী করে রাখে। আর এভাবেই ইংরেজরা ভারত উপমহাদেশ থেকে ইসলামী সালতানাতের কবর রচনা করে। তখন থেকেই ইসলামী আইনের উপর বৃটিশ আইন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী হয়। এবং আজও বিজয়ী রয়েছে। অবশ্য তখন বৃটিশ সাম্রাজ্যের নামে, আর এখন গনতন্ত্রের নামে!
একবার কয়েদখানায় ইংরেজ সৈনিকরা সুলতানের সামনে খাবারের খাঞ্চা বাড়িয়ে দিলো। এবং খেতে নির্দেশ করলো। সুলতান খাওয়ার জন্য খাঞ্চার ঢাকনা খুলতেই আতকে ওঠলেন! বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন! একেবারে মুর্ছা যাওয়ার অবস্থা! কারণ, খাঞ্চায় কোনো খাবার নেই; তাঁর কলিজার টুকরো তিন শাহজাদার কর্তিত মস্তক! খাঞ্চায় ভরে তাঁর খাবার হিসেবে দেয়া হয়েছে!
ইয়া আল্লাহ! একজন অতিশীপর বৃদ্ধ পিতা আপন পুত্রদের কর্তিত মস্তক নিজের খাবারের খাঞ্চায় দেখে কী অনুভব করেছিলেন তখন- তুমিই ভালো জানো! এ করুণ দৃশ্য কিভাবে তাঁর কলিজা বরদাশ্ত করেছিলো!
ক্রুসেডার বৃটিশরা ভারত উপমহাদেশ ছেড়ে পালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের বর্বতার কালো অধ্যায় রেখে গিয়েছে ইতিহাসের পাতায় পাতায়!
আজ এরাই সভ্যতার ফেরিওয়ালা! বিশ্বময় শান্তির রিলিফ বিতরণকারী!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন