বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

১৯২০ সালে রাজপথে ক'জন মুসলিমাহ রমণী নেকাবসহ বোরখা পড়ে হেটে চলছেন,


১৯২০ সালে বসনিয়ার রাজধানী সেই সে সারায়েভোর রাজপথে ক'জন মুসলিমাহ রমণী নেকাবসহ বোরখা পড়ে হেটে চলছেন, যেই সারায়েভোকে বলা হত (The city of minarets) বা মিনারের শহর। মিনারের শহরে ক'জন মুসলিমাহ রমণীর এই বোরখাপরা চলনই বলে দেয়, ইউরোপের মাটিতে ইসলামী সভ্যতা-সংস্কৃতির শেকড় কতটুকু গভীরে ছিল প্রোথিত। 

কিন্তু আফসোস, এই বসনীয়ায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়! সারায়েভোর রাস্তায় নেমে আসে ২ হাজার বসনীয় নারী প্রতিবাদ করতে। তারও আগে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বসনিয়ায় হিজাব নিষিদ্ধ ছিল কম্যুনিস্ট শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে।

উল্লেখ্য, বসনিয়া ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বলকান উপদ্বীপে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। অতীতে এটি যুগোশ্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের একটি অংশ ছিল। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে এটি স্বাধীনতা লাভ করে। ইউরোপের মাটিতে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র সহ্য করতে পারেনি খৃষ্টান জগত। তাই স্বাধীনতার পরপরই বসনীয় ও ক্রোয়েশীয় মুসলমানদের উপর সার্বীয় খৃষ্টান সেনারা ঝাঁপিয়ে পড়ে! ইতিহাসের নারকীয় হত্যাকান্ড চালায়! ২ লাখ মুসলিম নিহত হয়। ২০ লাখ মুসলিম শরণার্থী হয়। ৬০ হাজার নারী ইজ্জত-আব্রু-হারিয়ে পেটে ধারণ করে সার্বীয় ক্রুসেডারদের নাপাক ভ্রূণ! 

অবশেষে ১৯৯৫ সালে সার্বীয়রা দেশের ৪৯% এলাকা দখলে সক্ষম হয় এবং এর নাম দেয় সার্ব প্রজাতন্ত্র। বসনীয় ও ক্রোয়েশীয়রা দেশের বাকী অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয় যার নাম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ফেডারেশন।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন