Atik Ullah
ক: শক্তিশালি খলীফাদের যুগ।
খ: দুর্বল খলীফাদের যুগ!
দ্বিতীয় ভাগের খলীফাগন স্বাধীন ছিলেন না। তাদের খিলাফতকাল ছিলো বিভিন্ন উপশক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন। দীর্ঘ সময় জুড়ে বাগদাদের খলীফাদের নিয়ন্ত্রণ করতো শী‘আরা। এছাড়া মুসলিম ভূখন্ডের বিভিন্ন স্থানেও শী‘আদের স্বশাসিত সালতানাত ছিল।
.
তখন বাগদাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ‘বুয়াইহি’ শী‘আরা। আর মসূলের শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলো ‘হামদানী’ শী‘আরা। এরা এক দল আরেক দলকে দু’চোখে দেখতে পারতো না। বুয়াইহিরা চাইতো, মসুল থেকে হামদানীদের তাড়িয়ে দিতে। অপর দিকে হামদানীরা চাইতো বাগদাদ থেকে বুয়াইহিদের তাড়িয়ে খলীফার নিয়ন্ত্রণকারী হতে!
-
বুয়াইহি বাগদাদ দখল করার সময়, বিরোধ তুঙ্গে উঠে গেলো। হামদানীরা তাদের প্রতিরোধ করতে এলো মসূল থেকে। কিছুতেই বুয়াইহিদেরকে বাগদাদে প্রবেশ করতে দিবে না। এদিকে খবর পেয়ে বুয়াইহিরাও মসুলের দিকে রওয়ানা দিলো। হামদানীদের ঠেকাতে হবে। উভয় বাহিনী বিপুল বিক্রমে এগিয়ে চললো। চলতে চলতে হামদানীরা বাগদাদে পৌঁছে গেলো আর বুয়াইহিরা মসূলে পৌঁছে গেলো। ঘটনাক্রমে ভুলপথ ধরার কারনে, দু’দলের দেখা হলো না।
-
হামদানীরা খুশি! বাগদাদ দখল হয়েছে। কিন্তু বুয়াইহিরা ছেড়ে কথা বলবে কেন? তারা বাগদাদ দখল করার জন্যে মসূল থেকে রওয়ানা দিলো। সংবাদ পেয়ে হামদানীরাও বাগদাদ থেকে বের হয়ে এলো। শহরের বাইরেই শত্রুর মোকাবেলা করবে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এবারও বুয়াইহিরা বাগদাদে পৌঁছে গেলো, ওদিকে হামদানীরা মসূলে পৌঁছে গেলো। দু’দরে মুখোমুখি হওয়া ছাড়াই। কিভাবে যে কী হলো, সে এক রহস্য!
.
ঘটনার অবিনবত্বে উভয় শিবিরই কিংকর্তব্যবিমূঢ়! বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে বুয়াইহিরা চিঠি পাঠালো মসূলে:
-আমাদের উভয়ের মাঝে যুদ্ধ সংঘটিত হওয়াটা বোধ হয় আল্লাহর মর্জি নয়! তাই আসুন আমরা সন্ধি করে ফেলি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন