মহামহিম আল্লাহর নামে শুরু করছি। আল-হামদুলিল্লাহে রব্বুল আলামিন।
আল্লাহ তাআলা সমগ্র বিশ্বচরাচরের মালিক এবং তিনিই এই বিশ্ব নিখিলের প্রতিপালক।
আল্লাহর প্রশংসা এমনি জীবনদায়ীনি অনুভুতি, যার শুধু স্মরণটুকুই মোমেনের হৃদয়ে তাঁর অনুগ্রহের বারিধারা বর্ষন করতে থাকে। কেননা স্বয়ং মানুষের অস্তিত্বটুকু তাঁর অনুগ্রহেরই একটি দান মাত্র। এরপর প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্ষনে আল্লাহর নেয়ামত সমূহ ঝড়তে থাকে তা জমা হতে থাকে এবং তা সমগ্র সৃষ্টিকুল বিশেষ করে মানুষকে ছেয়ে ফেলে। এ কারণেই ইসলামি শিক্ষার একটি মুলনীতি হিসেব নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, সবকিছুর প্রশংসা তাঁর সবকিছুর শেষ প্রশংসাও তাঁর।
আল্লাহর প্রশংসা এমনি জীবনদায়ীনি অনুভুতি, যার শুধু স্মরণটুকুই মোমেনের হৃদয়ে তাঁর অনুগ্রহের বারিধারা বর্ষন করতে থাকে। কেননা স্বয়ং মানুষের অস্তিত্বটুকু তাঁর অনুগ্রহেরই একটি দান মাত্র। এরপর প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্ষনে আল্লাহর নেয়ামত সমূহ ঝড়তে থাকে তা জমা হতে থাকে এবং তা সমগ্র সৃষ্টিকুল বিশেষ করে মানুষকে ছেয়ে ফেলে। এ কারণেই ইসলামি শিক্ষার একটি মুলনীতি হিসেব নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে যে, সবকিছুর প্রশংসা তাঁর সবকিছুর শেষ প্রশংসাও তাঁর।
তিনি হচ্ছেন আল্লাহ,তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা, সবকিছুর আগে এবং সবকিছুর পরেও।
আল্লাহ তাআলার বহুবিধ নেয়ামতের সত্তেও যখন কোন বান্দা বলে “আলহামদুলিল্লাহ” (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য) তখন তার নামে একটি নেকী লিখে দেয়া হয়, যা হয় অন্যান্য নেকীর তুলনায় অনেক ওজনের । সুনানে ইবনে মাজায় হযরত ওমর (রা)এর বর্ণনা । রাসুলে করিম (সাঃ) বলেছেনঃ এক বান্দা বললোঃ হে রব ! সকল প্রশংসা তোমার, যতটুকু প্রশংসা তোমার রাজাধিরাজ সত্ত্বার জন্য শোভা পায় তার সবটুকুই। এ কথা কয়টি শুনে ফেরেশতারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়লো, কিভাবে একে লিপিবদ্ধ করা যায়? অবশেষে ফেরেশতারা আল্লাহর দরবারে হাযির হয়ে নিবেদন করলো, তোমার এক বান্দা এমনভাবে তোমার তারিফ (প্রশংসা) করলো, আমরা বুঝতে পাচ্ছি না কিভাবে একে লিপিবদ্ধ করবো। আল্লাহ তাআলা এর ব্যাখ্যা চাইলেন, (অথচ তিনি ভাল করেই জানেন বান্দা কি বলেছে) আমার বান্দা কি বলেছে ? ফেরেশতারা বললো, তোমার বান্দা বলেছে হে রব সকল প্রশংসা তোমার, যতটুকু প্রশংসা তোমার রাজাধিরাজ সত্ত্বার জন্য উপযোগী । আল্লাহ তাআলা বললেন, আমার বান্দাহ যেভাবে বলেছে সেভাবেই লিখে দাও । যেদিন আমার সাথে তার দেখা হবে, সেদিন আমি নিজেই তাকে এর প্রতিদান দিব।
“রাব্বুল আলামীন” শব্দ ক’টি ইসলামি বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপুর্ণ নিয়ম বর্ণনা করছে এবং এটা বলছে যে, প্রতিপালনের যাবতীয় স্বীকৃতি ও ঘোষনা একক ও সম্পুর্ণভাবে আল্লা্হ তাআলার জন্যে এবং এটার স্বীকৃতি ইসলামী আকিদা ও বিশ্বাসের একটি মৌলিক ও গুরুত্বপুর্ণ অংশ। আরবী ভাষায় “রব” বলতে এমন এক ক্ষমতা সম্পন্ন মালিককে বুঝায় যিনি তাঁর অধিনস্ত প্রতিটি জিনিসকে নিজেই লালন-পালন করেন, সার্বিক পরিচালনা করেন, এর যাবতীয় দেখাশোনা ও তদারকি করা থেকে তার সংশোধন, পরিমার্জন ও রক্ষানাবেক্ষনের সব ধরণের ব্যবস্থা পাকাপাকি বন্দোবস্ত তিনিই করেন। যেহেতু আল্লাহ তাআলা সমগ্র সৃষ্টিকুলের এবং বিশ্ব চরাচরের প্রতিটি বস্তুর স্বয়ং স্রষ্টা ও মালিক, তিনি যেহেতু একাই সমগ্র জাহানকে সৃষ্টি করেন, লালন করেন, সার্বিক পরিচালনা করেন, তাই তিনিই হচ্ছেন “রাব্বুল আলামীন” সৃষ্টিকুলের রব। তিনি সমগ্র কায়েনাতেরও প্রতিপালক। এই হচ্ছে সেই অবিচ্ছেদ্য বন্ধন, যা স্রষ্টা ও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সর্ববস্থায়ই প্রতিষ্ঠিত থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন