>সূর্যকে
একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড।
>পৃথিবীকে
একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ড।
>পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের ২৭ দিন ৭ ঘণ্টা
৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ড সময় লাগলেও
চান্দ্রমাস গণনা করা হয় ২৯ দিন ৭ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ১১.৬ সেকেন্ডে!মায়ানরা যে একটা ক্যালেন্ডার বানিয়েছিল, সে কথা তো মূল রচনাতেই পড়ে ফেলেছো। কিন্তু জানো,সেই ক্যালেন্ডার এখনো
গুয়েতেমালার কিছু জনগোষ্ঠী অনুসরণ করে!
>মায়ানদের
ভাষাও কিন্তু এখনো মোটেও বিলুপ্ত হয়নি; বরং এখনো এই ভাষায় কথা বলে প্রায় ৬০ লাখ
মায়ান আদিবাসী। ওরা মূলতগুয়েতেমালা, মেক্সিকো, বেলিজ আর হন্ডুরাসে থাকে।
>১৯৯৬
সালে গুয়েতেমালায় এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু সেই দেশেই তখনো মায়ানদের ২১টি আলাদা
আলাদা ভাষা আছে! মেক্সিকোতে চিহ্নিত
করা গেছে তাদের আরো ৮টি আলাদা আলাদা ভাষা!
>চিউয়েবল
টুথব্রাশ নামে একটি মজার টুথব্রাশ আছে, যেটি দিয়ে দাঁত মাজতে পেস্ট-পানি কিচ্ছু
লাগে না, মুখে
নিয়ে কিছুক্ষণ চাবালেই হয়! তারপর ফেলে দিলেই দাঁত একদম
পরিস্কার! কিন্তু খবরদার! ওই টুথব্রাশ
কিন্তু খাওয়া যায় না।
>২০০৩
সালের জানুয়ারিতে আমেরিকাতে একটি জরিপ হয়, কোন কোন আবিষ্কার ছাড়া আমেরিকানরা একদিনও
চলতে পারবে না- তার উপর। তাতে প্রথম আবিষ্কার হিসেবে মনোনীত হয়
টুথব্রাশ!
>দাঁতনকে
ইংরেজিতে একটা গালভরা নামে ডাকা হয়- চিউ স্টিক।
>আমরা যে টুথব্রাশ ব্যবহার করি, সেটি মূলত সিনথেটিক ব্রিসল টুথব্রাশ। পৃথিবীর প্রথম
বাজারজাতকৃত সিনথেটিক ব্রিসল টুথব্রাশের নাম কি ছিল জানো? ডক্টর ওয়েস্ট’স মিরাকল টুথব্রাশ।
>প্রতি
৪০০ বছরে ৯৭টা লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ থাকে।
>প্রতি ৪০০ বছরে ১৩ বার লিপ ইয়ার শুরু হয় শনি, সোম আর বৃহস্পতিবার দিয়ে। সেই বছরগুলোতে
২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে রবি, মঙ্গল আর বৃহস্পতি।১৪ >বার
লিপ ইয়ার শুরু হয় মঙ্গল আর বুধবার দিয়ে, আর ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় যথাক্রমে শুক্র আর
শনিবার।
>বাকি
৩০টা লিপ ইয়ারের ১৫টা শুরু হয় শুক্রবার, আর ১৫টা শুরু হয় রবিবার। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি হয় সোমবার আর বুধবার।
>বড়দিন
উপলক্ষে কিন্তু অনেক দেশে ডাকটিকিটও প্রকাশিত
হয়। আর প্রথম বড়দিন উপলক্ষ্যে ডাকটিকিট প্রকাশ
করে কানাডার ডাকবিভাগ। তাতে ছিল কানাডার মানচিত্র, আর নিচে লেখা ক্রিসমাস ১৮৯৮।
>তবে
ওই ডাকটিকিটটা নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে। ওটাকে বাদ দিলে বড়দিন উপলক্ষ্যে প্রথম ডাকটিকিট
প্রকাশ করে অস্ট্রিয়ার ডাক বিভাগ, ১৯৩৭ সালে। আর তার পরপরই ব্রাজিল আর হাঙ্গেরির ডাক বিভাগ।
>১৯৪৩
সালে হাঙ্গেরি দ্বিতীয় বারের মতো বড়দিন উপলক্ষ্যে
ডাকটিকিট প্রকাশ করার পর টানা ৮ বছর বড়দিনে কোনো দেশই ডাকটিকিট প্রকাশ করেনি। এই নীরবতা ভাঙ্গে কিউবার ডাক বিভাগ (১৯৫১
সালে)। আর তারপর থেকেই
নিয়মিত বড়দিনে ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে বিভিন্ন দেশের ডাক বিভাগ।
>১৯৯০
সাল পর্যন্ত মোটমাট ১৬০টি দেশের ডাক বিভাগ বড়দিনকে সামনে রেখে প্রকাশ করেছে
ডাকটিকিট বা স্ট্যাম্প।
>সবচেয়ে বেশিবার এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন
হয়েছেন কে বলো তো? ল্যান্স আর্মস্ট্রং, মোটমাট ৭ বার। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগে আমেরিকার এই সাইক্লিস্টকে কিন্তু আরো একটা যুদ্ধে জিততে
হয়েছে; ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে।এই প্রতিযোগিতাটি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ১৯০৩ সালে। আর সেই প্রথম ট্যুর ডি ফ্রান্সে জয়ী হন
ফরাসি সাইক্লিস্ট মরিস গারিন।
>সাইকেলের
যে রেস হয়, সে
তো তোমরা সবাই-ই জানো। সবচেয়ে বিখ্যাত সাইকেল রেসের নাম কি জানো? ট্যুর ডি ফ্রান্স। এই বছরের জুলাইতে
বসেছিলো প্রতিযোগিতাটির ৯৮ তম আসর।
>আমেরিকার
শহরের মানুষ খুব কমই সাইকেলে চড়ে; হিসেব করলে
তা ১ শতাংশও হবে কিনা সন্দেহ। অনেকটা আমাদের দেশের ঢাকা শহরের মতো আরকি! তুলনায় ইউরোপের শহরে মানুষ অনেক বেশি
সাইকেলে চড়ে বেড়ায়। এই যেমন ইতালির
শহরগুলোর যানবাহনের ৫%-ই সাইকেল। আর নেদারল্যান্ডে তো সংখ্যাটা আরো বেশি, প্রায় ৩০%। ওখানে নাকি প্রতি ৮ জন মানুষের মধ্যে ৭ জনেরই
সাইকেল আছে!
>বাইসাইকেল
শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৮৬০ সালের দিকে, ফ্রান্সে।
>প্লেনের
আবিষ্কারক দুই ভাইয়ের কথা মনে আছে, অরভিল রাইট আর উইলবার রাইট? ওদের কিন্তু একটা সাইকেল মেরামতের দোকান
ছিলো!
>এখনো
পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন সাইকেল তৈরি করা হয়!
>চীনে
আজো সাইকেল ব্যবহার করে প্রায় আধা বিলিয়ন, মানে ৫০ কোটি মানুষ!তোমার মাথায় কয়টা চুল
আছে বলো তো? থাক,মাথা চুলকিয়ো না, কিছু চুল আবার পড়ে যেতে পারে। তোমার মাথায় চুল আছে এক থেকে দেড়
লক্ষ!যাদের চুলের রং সোনালি, তাদের মাথায় চুলও একটু বেশি। আরেকটা কথা, সোনালি আর লাল রং
কাছাকাছি হলে কি হবে, চুলের
ক্ষেত্রে কিন্তু এই হিসাব একদম উল্টো।সোনালি-চুলোদের যেখানে চুল
সবচেয়ে বেশি থাকে, সেখানে
লালচুলোদের মাথায় চুল থাকে
সবচেয়ে কম!
>তোমাদের
সবার বাসাতেই তো আয়না আছে। আর সেই আয়নাতে নিজের চেহারা দেখতেও তো খুব মজা লাগে, তাই না? এখন মজার তথ্যটা শোনো- ছেলেরা গড়ে তাদের জীবনের ৬ মাসই কাটায়
আয়নার দিকে তাকিয়ে। আর মেয়েরা কাটায় প্রায় ২ বছর!
>আগে
অবশ্য মানুষ বাঁহাতি শিশুদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ
করতে পারতো না। তখন কোনো শিশু বাঁহাতি হলে ওকে জোর করে
ডানহাতি বানানোর চেষ্টা করা হতো!
>তোমাদের
মধ্যে কয়জন বাঁহাতি বলো তো? খেয়াল করলে দেখবে, দু-একজন অবশ্যই পেয়ে যাবে। এখন মজাটা কি জানো? ১৯০০ সালের দিকেও পৃথিবীতে এতো বাঁহাতি মানুষ ছিলো না। তখন বাঁহাতি মানুষ ছিলো মাত্র ৩%। আর এখন
বাঁহাতিরা মোটমাট কতো শতাংশ জানো? ১১!
>মানুষের শরীরে মোট হাড়গোড় কয়টা বলো তো? হ্যাঁ, ২০৬টা। কিন্তু তোমাদের, মানে কিডজ বা শিশুদের
শরীরে হাড় কিন্তু অনেক বেশি-ই থাকে। কয়টা? প্রায় ৩০০টা!ইলা মিত্র শুধু যে অনুবাদ
করেছিলেন, তাই
না, ‘হিরোশিমার
মেয়ে’ বইটির জন্য তিনি ‘সোভিয়াত ল্যান্ড নেহেরু’ পুরস্কারও লাভ করেন।
>ইলা
মিত্র যে খুব বড়ো মাপের নেত্রী ছিলেন, সেই সঙ্গে
ছিলেন তুখোড় অ্যাথলেট, সেই
সব গল্পই তো তোমরা বিশেষ রচনাতে পড়েফেলেছো। কিন্তু জানো, তিনি যে লেখকও ছিলেন? তিনি একগাদা রুশ বইয়ের অনুবাদ করেছিলেন। তার মধ্যে আছে ‘হিরোশিমার মেয়ে’, ‘জেলখানার
চিঠি’, আরো কত্তোগুলো!
>২০০৯
সালে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ১৫০তম
জন্মবার্ষিকী গিয়েছিলো। আর সেই উপলক্ষে তার অমর সৃষ্টি শার্লক হোমসকে নিয়ে ৬টি ডাকটিকিটের একটি সেট বের করা
হয়েছিলো। আর সেটের প্রতিটি ডাকটিকিটে আসল ছবির নিচে লুকানো ছিলো আরেকটি
ছবি,যেটি বিশেষ লেন্স ছাড়া দেখাই যাবে না। ঠিক যেনো গোয়েন্দা গল্পের ডাকটিকিট!ফ্রান্সের
ডাকবিভাগ একবার চিন্তা করলো, ওদের চকোলেটের তো বেশ সুনাম। তো ওরা ঠিক করলো কি, চকোলেটের মতো এক সেট ডাকটিকিট বের করবে। তা বেরও করলো। এখন মজার কথা কি জানো? এই ডাকটিকিটগুলো থেকে চকোলেটের সুবাসও বের
হয়! আর তা নাকি থাকেও ২ বছর!২০০৯
সালে নিউজিল্যান্ডে প্রথম লাইট হাউজ প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছর পূর্ণ হলো। এ উপলক্ষ্যে ডাকবিভাগেরও
তো কিছু করা উচিত, তাই
না? ওরা লাইট হাউজের ছবি নিয়ে কতোগুলো ডাকটিকিট বের করলো। আর জানো, সেই লাইট হাউজগুলোর যে আলোর রেখাগুলো আঁকা ছিলো, সেগুলো সত্যি সত্যি অন্ধকারে জ্বলে!চীন তো
প্রযুক্তির দিক দিয়ে সবসময় একটু এগিয়েই থাকে। ডাকটিকিটেই বা ওরা পিছিয়ে থাকবে কেন?ওরা এমনই এক ডাকটিকিট বের করলো, বিশেষ পেন দিয়ে ওটাকে ছুঁয়ে দিলেই ওটা
প্রাচীন চীনা কবিতা আবৃত্তি করতে শুরু করে দেয়! ঐ
বিশেষ পেনগুলোকে বলে এইগো পেন।রাতে না
ঘুমালে তো তোমাদের ভালোই লাগে না! অনেকে আবার রাতে একদমই ঘুমাও না। আর দিনের
বেলা স্কুলে গিয়ে ঢুলতে থাকো। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো? বিজ্ঞানীরা আঁক কষে বের করেছেন, আমরা আমাদের জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ই কাটাই ঘুমিয়ে!নেপোলিয়নকে তো চেনোই, সেই যে বীর যোদ্ধা; তারপর ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল,বিশ্বযুদ্ধের সময় লণ্ঠন হাতে আহত যোদ্ধাদের
সেবা করতে করতে যার নামই হয়ে গিয়েছিলো ‘হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা’; আর মার্গারেট থ্যাচার, যার নামই
হয়ে গেলো ‘লৌহমানবী’; ভাবছো, হঠাৎ এই
তিনজনের কথা কেনো, বললাম? আরে, এই তিনজনই দিনে মাত্র ৪ ঘণ্টা করে ঘুমাতেন!
>ওরা
তো তবু কম ঘুমাতেন, আর
বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন তো ঘুমকে রীতিমতো গালমন্দ করতেন! তার
মতে, ঘুম হলো স্রেফ সময় নষ্ট করা! এদিক দিয়ে আবার আইনস্টাইন খুবই ভালো
ছিলেন। তিনি নিয়মিত ১০ ঘণ্টা করে ঘুমুতেন!
>আচ্ছা, একটানা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে না ঘুমানোর বিশ্ব রেকর্ড কার জানো? র্যান্ডি গার্ডনার। ১৯৬৫ সালে তিনি একবার টানা ১১ দিন না ঘুমিয়ে ছিলেন!ডোরেমনের
মোটমাট গল্প কয়টা জানো? ১৩৪৪টা!এই
১৩৪৪টা গল্প নিয়ে ভলিউমই বের করা হয়েছে মোটমাট ৪৫টা!
>এই
৪৫ টা ভলিউম সংরক্ষণ করা আছে জাপানের তাকাওকা সেন্ট্রাল
লাইব্রেরিতে। আর মজার কথা কি জানো? ডোরেমনের দুই স্রষ্টা ফুজিকো ফুজিয়ো (ফুজিমোতো এবং আবিকো) দু’জনেই জন্মেছিলেন তোয়েমা
প্রদেশের এই তাকাওকাতেই!
>ডোরেমন
প্রথম জাপানের বাইরে মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক
দেশেই মুক্তি পেয়েছেডোরেমন। কিন্তু মুক্তি পায়নি ইংরেজি-ভাষী চারটি বড়ো দেশেই- আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে।
>ডোরেমনকে
নিয়ে মোটমাট কয়টা ভিডিও গেম বানানো হয়েছে জানো? ৬৩টা!
>কবি
কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটা পড়েছো না? কবিতাটা নজরুল কবে লিখেছিলেন জানো? ডিসেম্বর মাসে। বছরের শেষ সপ্তাহে, কলকাতার এক শীতের রাতে, রাত জেগে জেগে।
>বিদ্রোহী
কবি নজরুল ইসলাম কতো সালে জন্মেছিলেন বলো তো? হ্যাঁ, ১৮৯৯ সালে। সেই বছর কিন্তু
আরো একজন কবি জন্মেছিলেন- রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ।নজরুল যে এত্তোকিছু লিখেছেন, তিনি মোট কতো বছর সাহিত্য রচনা করেছেন জানো? মাত্র ২৩বছর। ১৯১৯ সালে তাঁর প্রথম গল্প পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়। আর ১৯৪৩ সালে তো তিনি প্যারালাইসড-ই হয়ে গেলেন!নজরুল কিন্তু কিছু
অনুবাদও করেছিলেন। তিনি অমর
কবি হাফিজ, ওমর
খৈয়াম, ওয়াল্ট হুইটম্যান- এদের অনুবাদ তো করেছেনই, এমনকি কুরআনের কিছু সূরাও তিনি বাংলায়
অনুবাদ করেছেন।
>বড়োদের
চেয়ে ছোটোদের শরীরে হাড় কিন্তু একটু বেশি-ই থাকে। বড়োদের শরীরে যে ২০৬টা হাড় থাকে, তা তোমরা সবাই জানো।কিন্তু ছোটোবেলায় আমাদের শরীরে হাড় ক’টা থাকে জানো? ৩০০টা!
>হাঁচি
দেয়ার সময় পারলে চোখ খুলে রাখো তো দেখি! সেটা কখনোই পারবে না। হাঁচি দেয়ার সময় তোমাকে অবশ্যই চোখ বন্ধ
করতে হবে।
>তোমার শরীর যে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বা কোষ
দিয়ে তৈরি, তা
তো জানোই। তোমার রক্তেরও কিন্তু এ রকম অনেকগুলো ছোট্ট
ছোট্ট কণা বা রক্তকণিকা আছে। প্রতি সেকেন্ডে এরকম কতোগুলো নতুন রক্তকণিকা
তৈরি হয় আর পুরোনো রক্তকণিকা ধ্বংস
হয়, তা কি জানো? প্রায় ১৫ মিলিয়ন!একজন মানুষের মস্তিষ্ক
প্রতি সেকেন্ডে কতটি গণনা করতে পারে জানো? ১০ কোয়াড্রিলিয়ন মানে ১০০ কোটি কোটি। ভুল পড়োনি, কোটি দুইবারই হবে! আজ পর্যন্ত এমন কোনো
কম্পিউটার তৈরি হয়নি, যেটির
হিসাব করার এরকম অসাধারণ ক্ষমতা আছে।এরকম একটা কথা তো তোমরা সবাই শুনেছো, যে আমরা সারা জীবনে আমাদের মস্তিষ্কের মাত্র
১০% ব্যবহার করি। এটা কিন্তু
মোটেও ঠিক কথা নয়। এমনকি ঘুমানোর সময়ও আমরা আমাদের মস্তিষ্কের
প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করি, আর জেগে থাকলে তো বটেই।প্রতিদিন হাজারটা করে মস্তিষ্কের
কোষ বা ব্রেন সেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শুনে যারা খুব ভয় পেয়েছো, তাদের বলছি- তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কে মোট কোষ আছে ১০০ বিলিয়ন। প্রতিদিন ১ হাজারটা করে নষ্ট হতে থাকলে
আমাদের মস্তিষ্কের সবগুলো কোষ নষ্ট হতে সময় লাগবে মোটমাট ৩
লক্ষ বছর!ছোটোবেলা থেকেই তো আমাদের মস্তিষ্ক
একটু একটু করে বাড়ছে। কিন্তু ১৮ বছর বয়সে আমাদের মস্তিষ্কের এই বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। উল্টো প্রতিদিন ১ হাজার মস্তিষ্কের কোষ বা
ব্রেন সেল নষ্ট হয়ে যেতে থাকে!
>একজন
মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ কোনটা, বলো তো? হ্যাঁ, তার মস্তিষ্ক। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের এই মস্তিষ্কের ওজন কতো হয় জানো? প্রায় ৩ পাউন্ড। মানে দেড় কেজির মতো।
>আচ্ছা, বলো তো, প্রতিদিন পৃথিবীতে কতোবার বিজলি চমকায়? প্রায় ৮৬ লক্ষ ৪০ হাজার বার!
>শুধু
এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়েই প্রতি বছর ২৫ বার বিদ্যুৎ আঘাত করে।
>যখন
বিজলি চমকায় তখন সেখানে কতো ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন
হয় জানো? প্রায়
১ বিলিয়ন ভোল্ট! আর তাতে যেই তাপ উৎপন্ন হয় তা সূর্যের
চেয়েও ৫ গুণ বেশি!
>আচ্ছা, কখনো কি ভেবেছো, বিজলি চমকালে শব্দ হয় কেনো? অনেকে হয়তো বলবে, মেঘ ডাকে তাই শব্দ হয়! সত্যি সত্যি কি আর মেঘ ডাকতে পারে নাকি? মেঘ কি আর গরু-ছাগল নাকি যে ডাকবে! তোমরা তো নিশ্চয়ই এটা জানো যে, যে কোনো কম্পনের ফলেই শব্দ সৃষ্টি হয়। আসলে বিজলি চমকালে
এমনই তাপ উৎপন্ন হয়, তাতে
বাতাসের অণুগুলোর মধ্যে এমনই কম্পনের সৃষ্টি
হয়, যে বিকট শব্দ হয়।
>বিজলি
চমকানোর তুলনায় ভূমিকম্প কিন্তু অনেক কম হয়। তাই বলে ভেবো না সে নিতান্তই কম। প্রতি বছর ভূমিকম্প হয় প্রায় ৫ লক্ষ বার! তবে তার বেশিরভাগই এতোই মৃদু হয়, যে আমরা টেরই পাই না!
>সুফিয়া
কামালের প্রথম কবিতা পত্রিকায় ছাপা হয় ১৯২৬ সালে, ‘সওগাত’ নামের তখনকার বেশ নামকরা এক সাহিত্য
পত্রিকায়।
>১৯৩৮
সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের
মায়া’। আর এটির ভূমিকা কে লিখে দেন জানো? আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম!
>১৯৫৬
সালে তিনি শুধু তোমাদের জন্যই একটা সংগঠন প্রতিষ্ঠা
করেন। সংগঠনটির নাম তোমরা সবাই-ই শুনেছো। কেনো, ‘কচিকাঁচারমেলা’-র নাম শোনোনি, এমন কেউ-ই কি তোমাদের মাঝে আছে?
>পৃথিবীতে
মোট পিঁপড়া আছে ২৮০ প্রজাতির।লাল পিঁপড়াদের আকৃতি ২ মিলিমিটার থেকে ৬
মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর এই সব আকৃতির লাল পিঁপড়ারা সবাই এক
বাসাতেই থাকে।লাল পিঁপড়ারা সাধারণত গাছের বীজ, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ইত্যাদি খায়। তবে মাঝে মাঝে এরা ঝিঁঝিপোকাও খায়!এই লাল পিঁপড়াদের অত্যাচার সবচেয়ে বেশি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান
আর অস্ট্রেলিয়ায়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর তাইওয়ান ওদের
দমনে ব্যর্থ হলেও, অস্ট্রেলিয়া
কিন্তু এ ব্যাপারে সফল। তাতে অবশ্য ওদের ১৭৫ মিলিয়ন ডলার
খরচহয়েছে!মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই লাল পিঁপড়ার কারণে প্রতি বছর প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষয়-ক্ষতি হয়! আর ওদের
আক্রমণের শিকার মানুষের চিকিৎসা আর ওদের
দমনের খরচ যোগ করলে প্রতি বছর কেবল এই পিঁপড়াদের জন্যই খরচ হয় প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার!আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল
ইসলাম যে চলচ্চিত্র খুব ভালোবাসতেন, তা কী জানো? শুধু তাই নয়, একসময় তিনি রূপালি পর্দার জগতে কাজও করতে শুরু করেছিলেন! ৩টি চলচ্চিত্রের
চিত্রনাট্যের কাজও তিনি করেছিলেন। মানে কাহিনী লিখেছিলেন তিনি। আর ২টি চলচ্চিত্রের গানের কম্পোজিশনও
করেছিলেন । এমনকি নজরুল চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন।
>আরেকটা
মজার কথা কি জানো, তিনি
যে ২টি ছবির গানের কম্পোজিশন করেছিলেন, তার একটি হলো ‘গোরা’। কী নামটা খুব চেনা চেনা লাগছে? হ্যা, এই ‘গোরা’ ছবিটা বানানো হয়েছিলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের ‘গোরা’ উপন্যাসের কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই।মানে, রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর আর কাজী নজরুল ইসলাম একই সঙ্গে, একই ছবিতে!
>বর্তমান
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো সমস্যা কোনটা, তা তো জানোই- পরিবেশ দূষণ। আর এই দূষণের জন্য দায়ী কিন্তু আমরাই। কিন্তু এই দূষণের দিক দিয়ে পৃথিবীর
শীর্ষস্থানীয় দেশ কোনটি জানো? চীন।
>অবশ্য
কিছুদিন আগেও কিন্তু চীন পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয়
দূষণকারী দেশ ছিলো না। আগে সবচেয়ে দূষণকারী দেশ ছিলো আমেরিকা।একবার চিন্তা করো, পৃথিবীর
মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫% লোক ওখানে বাস করে, আর কিনা
পৃথিবীর মোট দূষণের ২৫% দূষণই করে ওই ৫% লোক!
>(আসলে পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের ২৫% আমেরিকায় উৎপন্ন হয়। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে কোন দেশ কতোটা দূষণ করছে তা পরিমাপ করা হয়।)
>(আসলে পৃথিবীর মোট কার্বন ডাই-অক্সাইডের ২৫% আমেরিকায় উৎপন্ন হয়। এই কার্বন ডাই-অক্সাইডের উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে কোন দেশ কতোটা দূষণ করছে তা পরিমাপ করা হয়।)
>রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর প্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল
পুরস্কার পেয়েছিলেন। এটা তো তোমরা সবাই-ই জানো। কিন্তু এটা কি জানো যে,তিনিই প্রথম ইউরোপের বাহিরের কোনো দেশ থেকে
নোবেল পেয়েছিলেন?রবি
ঠাকুর তাঁর কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল
পেয়েছিলেন,বলো
তো? হ্যা, ‘গীতাঞ্জলি’। কিন্তু যারা নোবেল পুরস্কার দেয়, তারা কিভাবে বাংলা কবিতার বইটা পড়লো, সেটা একবার
ভেবে দেখেছো?খুবই
জটিল এক প্রশ্ন! না, আসলে
যারা নোবেল পুরস্কার দেয়, তারা তো আর বাংলা পড়তে পারতো না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই কবিতার বইটা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। আর ওটা পড়ে সবার এতোই ভালো লেগে গেলো, তাঁকে নোবেল
না দিয়ে থাকতেই পারলেন না।
>‘গীতাঞ্জলি’ বইটাতে মোট কয়টা কবিতা ছিলো জানো? বাংলা বইটাতে কবিতা ছিলো ১৫৭টা। আর ইংরেজি বইটাতে ছিলো ১০৩টা।
>‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদ করতে
গিয়ে রবি ঠাকুর কিন্তু পুরো বইটার হুবুহু অনুবাদ করেননি। মোট ১০৩টা কবিতার মধ্যে ৫২টাকবিতা নিয়েছিলেন
বাংলা ‘গীতাঞ্জলি’ থেকে। বাকিগুলো নিয়েছিলেন ‘গীতিমাল্য’, ‘নৈবেদ্য’ আর ‘খেয়া’ বইগুলো থেকে।
>ডলফিন
নিয়ে তো অনেক কিছুই জানলে। একটা মজার বিষয় কি জানো, ডলফিন কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না? হ্যা, সত্যি সত্যিই ওরা কখনোই পুরোপুরি ঘুমায় না। সবারই কিন্তু মস্তিষ্কের দুটো অংশ আছে। এগুলোকে ইংরেজিতে বলে হেমিস্ফেয়ার। একটা হলো ডান হেমিস্ফেয়ার বা ডানার্ধ, আরেকটা বাম হেমিস্ফেয়ার বা বামার্ধ। আর ওরা যখন ঘুমায়, তখন এই দুটোর
একটা ঘুমায় তো আরেকটা জেগে থাকে। ফলে সবসময়ই ওরা একটু হলেও সচেতন থাকে।
>ডলফিন
কেনো লাঁফ দেয়, বলতে
পারো? বিজ্ঞানীরাই যেখানে
এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি, সেখানে
তোমরা না পারলেও কোন দোষ নেই। তাদের ধারণা, ডলফিনরা লাঁফ দিয়ে দেখে নেয়, পানির নিচে তাদের শিকাররা কি করছে। অনেকটা শিকারি পাখিদের মতো। আবার অনেকে বলে এটা তাদের যোগাযোগের একটা উপায়। আবার অনেক বিজ্ঞানী বলেন, ওসব কিছু না। ওরা মজা করার জন্যই এরকমলাফালাফি করে। ওরা বাচ্চাদের মতোই খুব আমুদে কিনা!
>সূর্যকে
একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ১২ সেকেন্ড।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন