বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

হিন্দু ও হিন্দু ধর্ম— সত্য জানুন আর দাওয়াত ছড়িয়ে দিন

ΨΨ নারী শাস্তি ও যৌতুক প্রথা:-

মনুসমৃতি-৮, শ্লোকা-৩৭১-৩৭২U-
‘‘যদি স্ত্রী আত্নীয় সম্পর্কীয় গর্ব করে রাজা তাকে কুকুর দিয়ে ছিড়ে খাওয়াবেন ও উত্তপ্ত লোহার উপর শুইয়ে রাখবেন আমৃত্যু পর্যন্ত।’’
এটা কি অমানবিক নয়? পঞ্চতন্ত্র পৃষ্ঠা-৫৪-
‘‘আরিয়ান তার স্ত্রীদের নাক ও কান কেটে দিয়েছিল বিনা অনুমতিতে ঘর হতে বাইরে যাবার কারনে”
সৃষ্টিকর্তার নিয়ম হিসেবে তা কতটুকু বর্তমান সমাজে যুক্তিপূর্ন? কিন্তু ব্রাহ্মন পুরুষ যখন পতিতার সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে তা পাপ হয়না। রিগবেদ-১০, শ্লোকা-৮৫-
‘‘কাশিনাথ বলেন তিনি ধনী হয়েছেন কারন তারঁ শ্বশুর বিয়য়েতে ১০ টি রথ দিয়েছেন, চাকরানি ও ১০৬০টি গরু।’’
এটি সম্পূর্ন যৌতুক হিন্দুধর্ম হতেই আজ আমাদের এশিয়া মহাদেশে যৌতুক প্রথা দেখা যায় ও তার বলি হতে হয় অনেক হিন্দু ও সেই সাথে তাদের প্রথা অনুসারি বেশিরভাগ মুসলিমদেরও।
Y Y হিন্দুধর্মে নারী:-
ব্রাহ্মন সমাজ বেশ কিছুদিন আগে একটি বড় সমাবেশে ইসলামের বিরুদ্ধে বলেছিলেন যে ইসলাম নারীদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে। আসুন আমরা মিলিয়ে দেখি কোন ধর্মে নারী স্বাধীনতা রয়েছে। মনসমৃতিতে বলা হয়েছে-
‘‘নারীগনকে কখনো বিস্বাস করোনা’’
আরো বলা হয়েছে
‘‘কখনো একজন মহিলার সাথে একাকী বসবেনা যদিও সে তোমার মাতা হয় সে তোমাকে কুপথে নিতে পারে।’’
আরও বলা হয়েছে-
“তোমার বোনের সাথে একাকী বসবেনা সে তোমাকে কুপথে নিতে পারে।’’
কোন কোন মনুসমৃতিতে উল্লেখ রয়েছে-
‘‘নাস্ত্রী স্বদপ্রিয়া মাহারথি’’- সমাজে কোন নারীর স্বাধীনতা নেই।
আসুন আমরা পার্থক্যটা দেখি-
হিন্দু নারী স্বামীকে তালাক দেয়ার কোন অধিকার নেই
মুসলিম পুরুষ ও নারী সম-অধিকার রয়েছে তালাক সহ

হিন্দু নারী সম্পদের উত্তরাধিকারী সে হতে পারবেনা
মুসলিম নারী পিতা হতে সম্পত্তি পায় ও নিজস্ব ব্যবসা চালানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে

হিন্দু নারী শুধু নিজের গোত্রের ভেতরেই বিয়ে করতে পারবে অতএব পছন্দের সীমাবদ্ধতা আছে। এছাড়া জন্মপঞ্জিকা দুজনেরই মিলতে হবে
মুসলিম নারী তার পছন্দমতো যেকোন মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে জাত-গোত্র বা জন্মপঞ্জিকার কোন স্থান নেই

হিন্দু নারী বিশাল অঙ্কের যৌতুক প্রদান করতে হয়
মুসলিম নারীকে যৌতুকতো দিতেই হয়না উল্টো স্বামী স্ত্রীকে মোহরানা দেয়

হিন্দু নারীকে স্বামী মারা গেলে মৃত স্বামীর সাথে সতিদাহ হতে হয় (তবে ইন্ডিয়ার আইন তা রহিত করেছে ধর্ম করেনি)। তবে অন্যভাবে সে শাস্তি পায়।
ইসলাম মুসলিম বিধবাকে পূর্নবিবাহের অনুমতি দিয়েছে ও এটি মুসলমান সমাজের দায়িত্ব।

হিন্দু নারী বিধবা আর বিয়ে করতে পারেনা
ইসলামে মিশ্র বিবাহে উৎসাহ দিয়েছে কারন এতে জাতি বিদ্বেষ রহিত হয়

হিন্দু নারী বিধবাকে অভিশাপরুপে গন্য করা হয় লোকসমাগমে সে আসতে পারবেনা ও তার অলংকার সাজসজ্জা করা নিষিদ্ধ
মুসলিম মাকে উচ্চ সম্মান দেয়া হয়েছে
কখনো শুনেছেন একজন মুসলিম ধর্মীয় অনুশাসন পালনের উদ্দেশ্যে নিজের স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে? হিন্দুদের মধ্যে প্রতিদিন নারী যৌতুক প্রথার বলি হচ্ছে যা স্বামী বা শ্বশুর দ্বারা ঘটছে কারন এটি তাদের ধর্মগ্রন্থে রয়েছে। এটা ধ্রুব সত্য যে উঢ়ুঁ জাতের ব্যক্তিগনই তাদের স্ত্রীদের উপর অত্যাচারের বেশি করেন। ব্রাহ্মনগন বলার চেষ্টা করেন ইসলাম নারীদের অধিকার দেয়নি আমি প্রশ্ন করি-‘হিন্দুগন কি নারীদের সম্মান দিয়েছ?
ΨΨ সতিদাহ:-
ধর্মরীতি অনুযায়ী মৃত স্বামীর সাথে জীবন্ত পুড়ে মরার নামই সতিদাহ। বলা হয়েছে নারীরা সতিদাহ করবে কারন তার স্বামীর সাথে সে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ দেহ পাবে ও অরুনধাতী স্বর্গে বাস করতে পারবে। আরো বলা হয়েছে যে নারী সতিদাহ করলো সে তার চাচাতো মামাতো সকল বংশীয়কে পবিত্র করলো।
‘‘অশ্রুবিহিন, নিঃসঙ্কোচ অবস্থায় নারীগনকে তার স্বামীর চিতায় অগ্রসর হতে দাও’’। রিগবেদ-১০, খন্ড-১৮, শ্লোকা-৭
‘‘এটা সবের্বাচ্চ নারী দায়িত্ব স্বামীর সাথে চিতায় জ্বলা’’ ব্রাহ্মা পুরানা-৮০, খন্ড -৭৫-শ্লোকা-১০৩
ΨΨ ব্রিটিশ সরকারের প্রশংশনীয় উদ্যেগ-
সতিদাহ প্রথা ব্রিটিশ সরকার ১৮২৯ সালে বন্ধ করে দেয় যদিও কিছু গোঁড়া হিন্দু এর প্রতিবাদ করেছিল। এভাবে হাজার বছর ধরে সতিদাহ হিন্দুধর্মে র্চচা হয়ে আসছিল যা বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে যতক্ষননা এই র্চচাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধে পরিনত করা হয়েছে। প্রতিবছর যে পরিমানে সতিদাহ হতো তা ছিল আশঙ্কাজনক এমনকি-
** ১৯ শতকে পশ্চিমবঙ্গেও এই কেসের সংখ্যা ছিল ১২০০র বেশি।
**১৮১৮ সালে এর সংখ্যা কমে দাড়ায় ৮৩৯টি যার মধ্যে খোদ ৫৪৪টি ঘটেছে কলিকাতা শহরে।
S.R. Sharma বলেন-
‘‘এটা দৃশ্যত যে হিন্দু সমাজ সতিদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষনা করাকে সহজভাবে গ্রহন করেনি। বিটিশের ক্ষমতার আগে এর যথেচ্ছা অপব্যবহার হয়েছে।’’ [S.R. Sharma, The Making of Modern India, Bombay, ১৯৫১, p. ৪৭৮.]
১৮৩৯ সালে পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিং-এর শবদেহের সাথে তার ৪ স্ত্রী ও ৭ দাসী সহ সতিদাহ হতে হয়েছিল তাদের জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দৃশ্যত আমরা যদি দেবদাসির পতিতাবৃত্তি দেখি যে কিনা মন্দিরে তথাকথিত সৃষ্টিকর্তা ও ব্রাহ্মনদের লালসা মেটানোর জন্য অপকর্ম করতো ধনী তীর্থযাত্রীদের সাথে অর্থের বিনিময়ে হীন কর্ম করার নিয়ম যেখানে রয়েছে সেখানে সতিদাহের মতো অমানবিক ও নিষ্ঠুর নিয়ম ও পদ্বতি সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় সবার মনে।
ΨΨ শুদ্রের মর্যাদার মাপকাঠি:-
পুরো ভারতে মন্দিরগুলো কারা তৈরি করেছে? উত্তর- শুদ্ররা। ব্রাক্ষনরা একটা ইটও তাদের ঘাড়ে বহন করেনি। মন্দির তৈরির পর ধর্মীয় আইন দেখানো হল শুদ্রদের মন্দিরে প্রবেশ সম্পূর্ন মানা এমনকি মন্দিরের পাশ দিয়ে হেটে গেলে অবধারিত শাস্তি। হিন্দু গোত্রে শুদ্রের স্থান বড়ই শোচনীয়। মনুসমৃতিতে-
** ব্রাক্ষনকে নিষেধ করা হয়েছে শুদ্রকে খাবার দিতে।
**যে ঘি সৃষ্টিকর্তার জন্য পরিবেশন করা হয় শুদ্র তা কখোনই খাবেনা এবং
** ব্রাক্ষন শুদ্রের সাথে আত্নীক উন্নতির কোন আলোচনা করবেনা।
**পাপের বৈধ প্রায়শ্চিত্বের কথা তাকে জানাবেনা। যে ব্রাক্ষন তা করবে সে ও উক্ত ব্যক্তি নরকে জ্বলবে।
**কোন শুদ্রের গুরু ব্রাক্ষন হতে পারবেনা।
**শুদ্র উপস্থিত থাকলে বেদ পাঠ করা যাবেনা। শুদ্রের বেদ শোনার কোন অধিকার নেই।
**শুদ্র কোন উঢ়ুঁ গোত্রের কন্যাকে বিয়ে করতে পারবেনা এমন হলে তবে তার সন্তান নিচু গোত্রে পরিনত হবে।
**শুদ্র কোন ব্রাহ্মনের মৃতদেহ বহন করবেনা।
** ব্রাহ্মন যদি কোন শুদ্রকে হত্যা করে তবে তা বিড়াল বা ব্যাঙ্গের হত্যার সম হবে।
Swami Dharma Theertha বলেন –
‘‘বেদ পড়া ও শোনা শুধু আরিয়ান হিন্দুদের জন্য। শুদ্র যদি সাহস করে বেদ শ্রবন করে তবে গলিত ধুনা বা টিন মুখে ঢেলে দেয়া হবে। যদি এর পুনরাবৃত্তি করে তবে তার জিহবা কেটে ফেলা হবে যদি সে বেদের হিম স্মরন করে তবে তার দেহ খন্ড খন্ড করে কেটে ফেলা হবে।’’[Swami Dharma Theertha, History of Hindu Imperialism, Madras, ১৯৯২, p. ৪২.]
 অর্স্পশ্যতার র্চচা:-
ইন্ডিয়ার সংবিধান প্রনেতা ডঃ বি.আর অম্বিতকার নিজেই ছিলেন একজন অর্স্পশ্য। এই প্রথা তিনি রহিত করেন কৌশলে। কয়েক বছর আগের কিছু অর্স্পশ্যতার ঘটনা যা জাতীয় পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে-
& Financial Times, ৬ October ১৯৮৮-তে খবর এসেছে-
অর্স্পশ্যদের (হরিজন) একটা দল সোমবারে হিন্দুদের মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করে যা ছিল নাথওয়া শহরে রাজস্থান প্রদেশে এলাকাবসীগন ও পুরোহিতরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের বেদম মারধর করে এতে ৬ জন আহত হয়। মহাত্না গান্ধির ১২০তম জন্মবার্ষিকি উপলক্ষে একদল সমাজ সংষ্কারক এই প্রচেষ্টা চালায়। হরিজনদের পক্ষ থেকে বলা হয় বহু সংখ্রক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও সেসময় এই ঘঁনা তাদেও দৃষ্টিগোচর হয়নি।
& The Economist, June ৮th ১৯৯১.-এর খবরে বলা হয়েছে-
দিল্লির ১০০ মাইল দুরে গ্রামবাসিরা দুটি বালক ও একটি বালিকাকে ঝুলিয়ে রাখে ও এরপর আগুনে নিক্ষেপ করে। প্রথমে বালক দুটির উপর অত্যাচার চারানো হয়। তাদের বাবারা অসহায় দর্শক সেজেছিল। যে বালিকাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয় সে আগুন হতে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসে কিন্তু আবারো তাকে আগুনে ছুড়ে ফেলা হয়। মেয়েটি উঢ়ুঁ বংশিয় ছিল যে অর্স্পশ্যতার সাথে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল বালকটির বন্ধু তাদের সাহায্য করছিল।
বিহারে ৪০০ অর্স্পশ্য পরিবারের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে গুন্ডাবাহিনী দ্বারা কারন তারা মজুরি বৃদ্ধির দাবী করেছিল যা ছিল পুরো দিনে ১৬ রুপি (২০ টাকা)।
স্কুলে অনেক হরিজনকে মাটিতে বসানো হত। আবার উঢ়ুঁ বংশিয ব্যক্তির ঘরের পাশ দিয়ে গেলে জুতো খুলে যেতে হত। এলাকার কুয়ার পানি নিষিদ্ধ ছিল দুষিত হবার ভয়ে।
& The Economist June ৮th ১৯৯১-এর সংবাদে বলা হয়েছে-
একজন ব্রাহ্মন বাসভর্তি লোকদের এড়িয়ে না নামতে পারার কারনে ৬ বার স্নান করেছে কারন হয়তো অর্স্পশ্য তার ছায়া মাড়িয়েছিল।
দক্ষিনাঞ্চলে ২০ জন হরিজনকে খন্ড খন্ড করে হত্যা করেছে তথাকথিত উঢ়ুঁ গোত্রের হিন্দুগন। তাদের মৃতদেহ পাশ্ববর্তী খাল হতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যপ্রধান বলেন ঘটনাটি মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের তুসান্দার গ্রামে সংগঠিত হয়। অন্য খবরে বরা হয়েছে একদল হরিজন খালের উপর দিয়ে পালিয়ে যাবার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। ঘটনাটির সূত্রপাত ১ মাস আগে সিনেমা হলে একজন হরিজন বালক সিনেমা দেখার সময় শরীর বাকিয়ে হাই তুলতে গেলে তার পা ইঢ়ুঁ গোত্রের বালকের পায়ে স্পর্শ করে ও কথাকাটাকাটি হয়। হিন্দুগন ব্যাপারটিকে মর্যাদা হানিকর উল্লেখ করে ছেলে ও বাবার বিরুদ্ধে সমন জারি করে যতক্ষননা ছেলেকে পেটানো হয়েছে। এরপর ছোট একটি ব্যাপার নিয়ে বাকবিতন্ডার সূচনা হলে মারামারি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
দক্ষিনাঞ্চলে আরো একটি ঘটনা ঘটেছে বাবা তার ১৫ বছরের মেয়েকে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে প্রহার করেছে কারন মেয়েটির নীচু গোত্রের ছেলের সাথে সর্ম্পক ছিল।
& Arab News, August l০, ১৯৯১-
১৯৮৯ সালে জাতীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী হরিজনদের বিপক্ষে ১৪২৬৯ টি ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে ৪৬৯টি হত্যা ও ৭৬৯টি ধর্ষন হয়েছে। জগজীবন রাম সাবেক মন্ত্রী তিনি মন্দিরে দেবী দর্শনে গেলে মূর্তিকে তিনি ফুল অর্পন করেন পরে জানতে পারলেন তার সম্মান দরিদ্র অশিক্ষত ব্রাহ্মন হতেও নিম্ন প্রকাশ করা হয়েছে যে মূতিকে তিনি মাল্য প্রদান করেছেন তা অপবিত্র হযে যাওয়ার কারনে গঙ্গা জল এনে পবিত্র করা হয়েছে ও মন্ত্র পড়া হয়েছে পবিত্র করার জন্য। কারন মন্ত্রী ছিলেন হরিজন।
ΨΨ দলিত ও হিন্দুধর্ম:-
& Indian Express June ২৪, ১৯৯৫ খবরে বলা হয়েছে-
আরিয়ান হিন্দুদের দ্বারা অত্যন্ত মর্মান্তিভাবে এক হরিজনকে হত্যা হতে হয়েছে-
১) তাকে গ্রামের মন্দিরে ছেচড়েঁ নিয়ে যাওয়া হয়েছে
২) মাথার চুল সব কেটে দেয়া হয়েছে
৩) লাঠিপেটা করা হয়েছে
৪) গোপনাঙ্গে লাঠি প্রবেশ করানো হয়েছে
৫) কালি মাখা হয়েছে মুখমন্ডলে
৬) গাধায় চড়িয়ে বাজারে প্যারেড করানো হয়েছে
৭) মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে পেটানো হয়েছে। যখন মৃত্যুপথযাত্রী নারীটি পানি চাইছিল তার মুখে পানি ও গরম কেরোসিন ঢালা হয়েছে। তার অপরাধ? ১২ বছরের পুত্র সন্তান মন্দিরে প্রবেশ করেছে। পুলিশ থানার অদুরেই ঘটনাটি ঘটেছে। মহিলা অধিকার পরিষদ যখন মন্ত্রিকে ব্যাপারটির অভিযোগ উত্থাপন করলেন তিনি বললেন-‘এটা হত্যা নয় নিম্ন শ্রেনির জনগনের অপকর্ম’।
& The Times of India ১৮ January ১৯৯৭-তে প্রকাশিত হয়েছে-
উত্তর প্রদেশের মুর্দাবাদ এলাকায় নিম্ন শ্রেনির এক ৪১ বছর বয়স্কা নারীকে বাজারে নগ্ন প্যারেড করতে বাধ্য করা হয়েছে। তার দোষ তার পুত্র এক উঢ়ুঁ বংশিয় মেয়েকে বিরক্ত করেছে। মহিলা সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ সাহস করে সাহায্য করতে আসেনি। আরিয়ান হিন্দুদের দ্বারা এই র্ববরোচিত র্চচা আগেও যেমন ছিল বর্তমানে তা ক্ষেত্র বিশেষে পরিলক্ষিত হয়।
অবশেষ নয়তো শেষ-
কথিত গনতান্ত্রিক দেশটিতে এখনো হয়তো কত নাম না জানা খবরের আড়ালে হাজারো মানুষের জীবন বলি দিতে হয় গোত্র-বিভাজ্যতা ও সতিদাহেন নামে আল্লাহই বলতে পারবেন। রাসুল (সাঃ) বিদায় হজ্বের সময় বলেন-
‘কোন আরব অনারবের চাইতে শ্রেষ্ঠ নয় অথবা অ-আরব আরব হতে শ্রেষ্ঠ নয়, কোন শেতাঙ্গ কালো হতে শ্রেষ্ঠ নয়, অথবা কোন কালো শেতাঙ্গ হতে শ্রেষ্ঠ নয়। শুধু ধার্মিকতা ছাড়া’।(আততাবরী, নায়লান আখতার,মুনতাকাল আকবার)

আল্লাহপাক বলেন-

‘‘ আর আমরা তোমাদের বানিয়েছি নানান জাতি ও গোত্র যেন তোমরা চিনতে পার। নিশ্চই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সম্মানিত সেইজন যে তোমাদের মধ্যে সবচাইতে ধর্মভীরু।’’ সুরা আল-হুজরাত-৪৯: আয়াত-১৩

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন