“সময় পাই না” কিংবা “সময় পাচ্ছি না” কথাটা আমরা এখন খুব বেশী বলে এবং শুনে থাকি। সন্দেহ নাই, বিবিধ পাপ ও আলসেমির কারণে আমাদের সময়ের বারাকাহ অনেক কম। কিন্তু তারপরও একটা কথা মাথায় রাখা উচিত- সময় কখনই পাওয়া যায় না, সময় বের করে নিতে হয়। অনেক দ্বীনি ভাইও প্রায়ই বলে থাকেন-কীভাবে যে সময় চলে যাচ্ছে টেরই পাচ্ছেন না অথচ তারা অনেক ভাল ভাল কাজের নিয়্যাত করে থাকেন। তাই দৈনন্দিন জীবনের শত ব্যস্ততা ও কাজের মাঝে থেকেও কীভাবে আমরা সময় বের করে নিতে পারি তার জন্যই এই লিখা। তবে Time Management এর উপর হাজারখানেক বই পড়লেও আর কোর্স করলেও কিছুতেই সফলতা হতে আসবে না যদি আল্লাহর সাহায্য ও সন্তুষ্টি না থাকে। সবসময় মাথায় রাখতে হবে সময় ও কাজের বারাকাহ একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।ত তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের দিকে সবার আগে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। আরেকটি শর্ত হল-তীব্র ইচ্ছাশক্তি নিয়ে শুরু করতে হবে। রুটিন মেনে চলে সময়কে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর জন্য ইচ্ছাশক্তির কোন বিকল্প নাই।
আর কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনায় চলে আসি-
#১ ফযরের পর ঘুমানোর অভ্যাস বন্ধ করুনঃ
শুনে বেশ কঠিন মনে হলেও এটি Time Management এর এক নম্বর শর্ত। নিঃসন্দেহে ফযরের পরের সময়টুকু খুবই বরকতপূর্ণ। এই সময়ে নানাবিধ দূয়া ও যিকর হাদীসে পাওয়া যায় যেগুলোর ফযীলত ও প্রভাব অপরিসীম। দিনের শুরুই যদি হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং অন্তরের প্রশান্তি নিয়ে তবে সারা দিনের সমস্ত কাজ সময়মত গুছিয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরী হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালে ফযরের পর অফিস/স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি টাইমের আগ পর্যন্ত প্রায় ২.৫-৩ ঘণ্টা এবং শীতকালে ১.৫-২ ঘণ্টা সময় পাওয়া যায়। এই বিপুল পরিমাণ সময়কে কাজে না লাগানোর কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না, বিশেষত যখন এই সময়ে আল্লাহর অতিরিক্ত রহমত ও বরকত নেমে আসে। কুরআন-হাদীস পাঠ ছাড়াও দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের কিছু অংশ এই সময়ে করে রাখা গেলে সারাদিনের চাপ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
#২ নির্দিষ্ট একটি Time Frame এর মধ্যে কী কী করতে চান তা সুস্পষ্টভাবে লিখে ফেলুনঃ
ধরুন, নভেম্বরে আপনার সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আপনি এখন প্রস্তুতি শুরু করতে চান। প্রথমেই একটি কাগজে লিখে ফেলুন কোন কোন সাবজেক্টের কতটুকু সিলেবাসের পরীক্ষা। আপনি এই ১.৫ মাস প্রতিটি সপ্তাহে কোন সাবজেক্টের কী কী টপিক পড়তে চান তা সুস্পষ্টভাবে লিখে ফেলুন। আমি শুধু উদাহরণ দিচ্ছি। অন্য যেকোন কাজেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। যদি আপনি চান পরবর্তী ২ মাসে কুরআনের ১ পারা মুখস্থ করবেন তবে লিখে ফেলুন প্রতিদিন কতক্ষণ সময় দিয়ে কয়টি আয়াত মুখস্থ করবেন। তবে এই কাজে দুটি জিনিষ মাথায় রাখবেন-
নিজের উপর সাধ্যের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে প্ল্যান করবেন না, তাহলে শেষমেষ সবই গোল্লায় যাবে
অস্পষ্টভাবে লিখবেন না। যেমন- এই কাজের ৬০% শেষ করতে চাই বা (পড়াশোনার ক্ষেত্রে) অমুক অমুক সাবজেক্ট এগিয়ে রাখতে চাই
Related App for Windows, Android and Iphone: https://calendar.sunrise.am/, https://any.do
#৩ আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখুনঃ
Time Frame এর মধ্যে যা যা করতে চান এবং যে কারণে করতে চান তার কোনটিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। থাকলে এক্ষুণি এবং এক্ষুণি সেটা বাদ দিন। আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল, সালাতের জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট সময় আলাদা রেখেই Daily Schedule তৈরী করুন। এটি এমন হতে পারে- সালাত শুরুর আগে ও পরে ১০ মিনিট করে সময় অতিরিক্ত রেখে দিতে পারেন সুন্নাহ ও আযকারের জন্য। কখনই কাজের জন্য সালাত ছেড়ে দিবেন না।
#৪ প্রতিদিন দূয়া করুন, জানা না থাকলে শিখে নিনঃ
যেহেতু সফলতা আসবে একমাত্র আল্লাহর ইচ্ছায়, তাই প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সময়ের যথার্থ ব্যবহার ও আলসেমি পরিত্যাগের জন্য সাহায্য চেয়ে দূয়া করুন। এই ধরণের অনেক সুন্দর দূয়া হাদীসে রয়েছে। অন্যান্য ইবাদাহ ছাড়াও যে Proper Time Management এর জন্য আল্লাহর কাছে আলাদাভাবে দূয়া করতে হবে সেটা আমরা অনেকে মাথায়ই রাখিনা। নির্ভরযোগ্য দূয়ার বইগুলি থেকে প্রয়োজনীয় দূয়া মুখস্থ করে নিন।
#৫ Self Discipline is The Key
কথাটা শুনে খুব বেশি তাত্ত্বিক মনে হল, তাই না? স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টা একটু অন্যরকমভাবে দেখা যাক-
আপনার Time Frame কে ভেঙ্গে Daily এবং Weekly schedule এ ভাগ করে নিন। এতে ধীরে ধীরে অলসতা চলে আসার সুযোগ কমে যাবে। প্রতিটা দিন এবং সপ্তাহই নতুন নতুন কাজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হবে। যে কোন মূল্যে schedule ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। আজ একটু কম করে কাল পুষিয়ে দিব এমন চিন্তা ঘুণাক্ষরেও করবেন না।
Urgent, Important, Necessary এগুলোর মধ্যে পার্থক্য করুন এবং সময়মত ঠিক কাজটি করুন। যেমন- ধরুন কাল আপনার ফিজিক্স পরীক্ষা। কিন্তু এই মুহুর্তে আপনার একদম পড়তে ভাল লাগছে না বরং কোন লেকচার শুনতে বা বই পড়তে বা ডকুমেন্টারি দেখতে ইচ্ছা করছে। এগুলোর সবগুলি Necessary হলেও কোনটিই আপনার জন্য এই মুহুর্তে Necessary না বরং Urgent এবং Important হচ্ছে জোরপূর্বক ফিজিক্স পড়া। প্রচলিত খুব ফালতু একটা কথা হল- “যা করতে ভাল লাগে সেটাই কর”। আসলে বলা উচিত-“যা করা দরকার ঠিক সেটাই কর”। ক্ষেত্রবিশেষে Urgent এবং Important এর মধ্যে পার্থক্য করুন এবং অধিক প্রয়োজনীয়টি গ্রহণ করুন। যখন যেটা করবেন বলে ঠিক করেছেন তখন দাঁতে দাঁত চিপে সেটাই করুন, যদিও বা সেটা করতে ভাল না লাগে। দরকার হলে রুটিন চেঞ্জ করে সুবিধামত করে নিন কিন্তু “শুধু আজই একটু অন্যথা করি, কাল ঠিক করে নিব”-এভাবে ভাববেন না।
মেইল-ফেসবুক ইত্যাদি চেক করার জন্য প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নিন। পড়তে পড়তে বা অন্য কোন কাজের মাঝে এগুলোতে উঁকিঝুঁকি মারবেন না।
প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় আলাদা করে রাখুন Personal/Spiritual Development নিয়ে পড়াশোনা এবং নিজেকে যাচাই করার জন্য। কতটুকু এগোতে পারলেন, কী কী পারছেন না, কেন পারছেন না এগুলো সুস্পষ্টভাবে লিখুন।
#৬ খুব বেশি কাজ একসাথে করার চেষ্টা করবেন নাঃ
আপনার কাজগুলিকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিদিন যে প্রতিটি কাজ করতে হবে-এমনটা না। একইদিনে খুব বেশি কাজ করবেন না। বরং যেদিন যেটা বেশি দরকার সেদিন সেটাতেই ফোকাস করুন। যেমন- ধরুন আপনার রুটিনের ৪ টি কাজ- ভাল একটি ডকুমেন্টারী দেখা, আরবী ভাষা শেখা, একাডেমিক পড়া(বা অফিসিয়াল কাজ) এবং ইসলামিক হালাকা করা। আপনার হাতে এই ৪ টি কাজের জন্য সময় মোট ৩ ঘণ্টা। প্রতিদিন সবকিছু করতে গেলে প্রতিটি কাজে আপনি দিতে পারবেন ৪৫ মিনিট। অথচ প্রতিদিন কিন্তু সবকিছু করার দরকার নেই। ডকুমেন্টারী দেখা, আরবী পড়া কিংবা হালাকা ছুটির দিনের জন্য রেখে দিন। ক্লাশ/অফিসের দিনগুলিতে একাডেমিক পড়া বা অফিসিয়াল কাজে ১.৫ ঘণ্টা করে সময় দিন। আর তাতে ছুটির দিনেও ডকুমেন্টারী, আরবী কিংবা হালাকার প্রতিটিতে ১ ঘণ্টা করে সময় দিতে পারবেন। এতে আপনি Quality Job করতে পারবেন। সবকিছু একইদিনে রেখে রুটিনকে অনাকাঙ্খিত ভারী করে তুলবেন না।
#৭ ক্রমাগত আত্মশুদ্ধি
যথার্থ Time Management এর অন্যতম একটি শর্ত হল আত্মশুদ্ধির পেছনে ক্রমাগত লেগে থাকা। নিজেকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারলেই আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান ও সময়ের বারাকাহ আসবে। এজন্য আত্মশুদ্ধিমূলক বিভিন্ন বই পড়ে ও লেকচার শুনে নিজের কর্মপদ্ধতি ঠিক করে নিতে হবে। সবার জন্যই যে একই পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে তা নয়। এখানে আমি কিছু বই এর নাম উল্লেখ করছি যেগুলো এই কাজে ইনশাআল্লাহ সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস-
(1) In the Early Hours- Khurram Murad
(2) The Purification of the Soul- Ibn Rajab, Ibn al Qayyim, Al-Ghazali
(3) Purification of the Soul: Concept, Process & Means- Jamaal Zarabozo
(4) The Journey to Allah- Ibn Rajab al Hanbali
(5) Salvation Through Repentance- Dr. Bilal Philips
এছাড়াও ইউটিউবে সহজলভ্য ইংরেজীভাষী ‘আলিমদের মধ্যে Md. Ali Hazratji এর আত্মশুদ্ধির আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হতে পারে। বাংলা ভাষায় উস্তাদ নাসিল শাহরুখ এর “আত্মশুদ্ধি” শিরোনামে ধারাবাহিক আলোচনা ইউটিউবে OIEP এর চ্যানেলে পাওয়া যাবে। আত্মশুদ্ধির জন্য প্রচুর দুয়া, তাওবাহ ও ইস্তিগফারের কোন বিকল্প নাই। তাই প্রয়োজনীয় মাসনূন দুয়াগুলো ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর রাহে বেলায়েত থেকে শিখে নেওয়া হতে পারে একটা ভাল বুদ্ধি।
আত্মশুদ্ধির পথে নিজেকে যাচাই করার জন্য “প্রাত্যহিক কর্মতালিকা” তৈরী করে নেওয়া যেতে পারে। এই তালিকা হতে হবে নিজের ‘লেভেল’ অনুযায়ী। সকল ফরয-ওয়াজিব ইবাদাহ আগে পালন করার চেষ্টা করুন। এরপর সেগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে বেশী বেশী নফল ইবাদাহ পালন করুন। নিজের প্রয়োজনমত ফরয/ওয়াজিব/নফল কাজগুলি তালিকায় স্থান দিন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে তালিকা পূরণ করুন এবং আগের দিনের সাথে মিলিয়ে দেখুন কোনটা কম হয়েছে, কেন হয়েছে, কীভাবে সেটার উন্নতি করা যায়।
#৮ হালাল বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন
রুটিনের একঘেয়েমি কাটাতে হালাল বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। সাপ্তাহিক বা মাসিক বিনোদনের জন্য কিছু সময় নির্দিষ্ট করে নিন। এই সময়টায় বন্ধু-আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে পারেন কিংবা হালাল ডকুমেন্টারি, মুভি, নাশীদ ইত্যাদি দেখতে ও শুনতে পারেন। যদি ঠিকমত রুটিন মেইনটেইন করতে পারেন তবে নিজেই নিজেকে ‘ট্রিট’ দিন! অর্থাৎ পছন্দের কোন জায়গায় পছন্দের খাবার খেতে যান-ভাববেন, রুটিন মেইনটেইন করার পুরষ্কার এটি। আবার রুটিন ভংগ হলে নিজেই নিজেকে শাস্তি দিন। তবে এই শাস্তিও হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এটি হতে পারে সিয়াম রাখা কিংবা নিজের উপার্জিত টাকা থেকে কিছু দান করে দেওয়া। তবে অবশ্যই এই দানের পরিমাণ এমন হতে হবে যে সেই পরিমাণ দান করতে আপনার কিছুটা হলেও অস্বস্তি লাগে, সিয়াম রাখলে অনেকগুলি সিয়াম (আপনার কষ্ট হয় এমন) রাখার ‘শাস্তি’ নির্ধারণ করবেন যেন কিছুতেই রুটিন ভাংতে মন না চায়। প্রথম কাজটি শরীরের জন্য কষ্টকর আর দ্বিতীয়টি নাফসের জন্য। কিন্তু উভয়টিই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করলে ইবাদাহ-র পাশাপাশি নিজের উপর একটু কষ্টও চাপিয়ে নেওয়া হল-রুটিন ভংগ করার শাস্তি হিসেবে এটা মেনে নিন!
#৯ সব কাজ নিজে না করে অন্যকে কাজ ভাগ করে দিন
সবকাজ নিজে করতে যাবেন না। যে কাজ অন্যকে দিয়ে মনমত করিয়ে নিতে পারবেন তা উপযুক্ত কাউকে দিয়ে করিয়ে নিন। এতে নিজের উপর থেকে কাজের চাপ কমে যাবে ও সময়ের পরিমাণ বাড়বে। ধরুন, আপনি নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান। এখন আপনি ওয়েবসাইটের কাজ না জানলেতো বটেই, এমনকি জানলেও নিজে না করে ওয়েবসাইটের কাজ ভাল পারে এমন কাউকে করে দিতে বলুন, দরকার হলে তাকে পারিশ্রমিক দিয়ে করিয়ে নিন। আবার ধরুন, আপনার একটি নোটখাতা টাইপ করতে হবে। কোন দরকার নাই নিজে থেকে টাইপ করার, কম্পোজের দোকান থেকে টাইপ করিয়ে নিন। একইভাবে, যে কাজ অন্যকে দিয়ে মান বজায় রেখেও করতে পারবেন তা নিজে করতে যেয়ে অতিরিক্ত চাপ নিবেন না।
#১০ সব ধরণের Time Waster থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন
হারামতো বটেই, সবধরণের হালাল Time Waster থেকেও দূরে থাকুন। ফালতু আড্ডা পুরোপুরি ছেড়ে দিন, অপ্রয়োজনীয় কথা, কাজ, মুভি-নাটক-কার্টুন (অভ্যাস থাকলে) ইত্যাদি দেখার অভ্যাস বাদ দিন। রুটিন ভংগ করে “শুধু আজই একটু আড্ডা দিই” এমনটা করবেন না। প্রয়োজন না থাকলেও ঘনঘন বাইরে খেতে/ঘুরতে যাওয়া, খাওয়া নিয়ে রসিক আড্ডা ইত্যাদি বাদ দিন। একজন ইসলামী জ্ঞানের ছাত্র হিসেবে বন্ধুদের সাথে খাদ্য ও নারী সংক্রান্ত আলোচনা পুরোপুরি বাদ দিতেই হবেই-এগুলো ফালতু Time Waster ছাড়া কিছুই না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম আরেকটি হালাল Time Waster. এটা থেকেও সাবধান থাকুন।
#১১ শর্টকার্ট শিখুন
অনেক কাজ আছে যেগুলো শর্টকার্ট পদ্ধতিতে করতে পারবেন-এই শর্টকার্টগুলো শিখে নিন। কোন ইসলামিক/অন্যান্য লেকচার শুনতে হলে VLC player এ 2X speed এ শুনুন। এতে অর্ধেক সময় বেঁচে যাবে। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। রুটিনে কিছু flexible সময় রাখুন। এতে কোন একটি কাজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে হলেও রুটিনের অন্য কাজগুলি ঠিক সময়ে করতে পারবেন। বই পড়ার জন্য internet থেকে speed reading শিখে নিতে পারেন। লিখার জন্য করে নিতে পারেন শর্টকার্টে লিখার কোর্স। তবে শর্টকার্ট করতে যেয়ে আবার কাজের মান যেন কমে না যায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
# এগুলোর বাইরেও Effective Time management এর জন্য কিছু Extra Tips:
- একসাথে একাধিক কাজ কেবলমাত্র তখনই করবেন যখন সেটা beneficial হবে। যেমন- প্র্যাক্টিকাল খাতা লিখতে লিখতে কিংবা অফিসের ফাইল সাইন করতে করতে ইয়ারফোনে কোন লেকচার শুনতে পারেন। কিন্তু একাডেমিক স্টাডি করার সময় কখনই এমনটা করবেন না।
- সর্বদা সৎসঙ্গে থাকুন।
- অন্যের উপদেশ ও সংশোধনী খোলা মনে গ্রহণ করুন।
- ভদ্রভাবে ও বিনয়ের সাথে “না” বলতে শিখুন।
- সর্বদা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন।
- প্রতিটি কাজে সর্বোচ্চ পরিশ্রম দিন এবং সাধ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভালভাবে করার চেষ্টা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন