বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

নতুন অধ্যাপক! ( মুফতি আতিকুল্লাহ আতিক )


শায়খ আলী তানতাবীকে বাগদাদে আমন্ত্রণ জানানো হলো। আরবী ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যাপনা করার জন্যে। তিনি সাড়া দিলেন। দিমাশক থেকে এলেন। সরাসরি ভার্সিটিতে এলেন। বেশভূষা মলিন। 
.
অফিস থেকে বলা হলো আজকেই ক্লাশ নেয়া শুরু করতে। তিনি নির্দিষ্ট ক্লাশে গিয়ে দেখলেন, একজন শিক্ষক আগেই সেখানে উপস্থিত। দরজায় গিয়ে দাঁড়ালেন। ভেতর থেকে বাজখাঁই গলায় হাঁক এলো:
-এ্যাই দরজায় দাঁড়িয়ে কী দেখা হচ্ছে? দেরী করে আসা না? প্রথম দিনেই দেরী করে এসেছো? তাড়াতাড়ি ভেতরে গিয়ে বসো!
.
আলি তানতাবী সভয়ে পেছনের বেঞ্চিতে গিয়ে বসলেন। শিক্ষক লেকচার শুরু করেছেন:
-দেখো বাবারা! আজ আমাদের ভার্সিটির সৌভাগ্য! একজন সিরিয়ান অধ্যাপক যোগ দিবেন। শায়খ আলী তানতাবী। আর তোমরাই হবে তার প্রথম ছাত্র। দেখো, আমার আর ভার্সিটির মুখে চুনকালি লেপো না। সুবাধ ভালোটি হয়ে থাকবে!
-জ্বি স্যার!
-আচ্ছা তোমাদেরকে একটু যাচাই করে দেখি!
.
শিক্ষক মহোদয় একজন একজন করে ছাত্রদেরকে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন। সবার শেষে পেছনে বসা ছাত্রটিকে ধরলেন: 
-এই যে, তুমি দাঁড়াও! তুমি কি বুহতরী আর আবু তাম্মামের কবিতার তুলনামূলক আলোচনা পেশ করতে পারবে?
-জ্বি স্যার!
.
ছাত্রটি অসাধারণ ভঙ্গিতে দুই সেরা আরব কবির তুলনামূলক আলোচনা পেশ করলো। বাদবাকী ছাত্ররা তো বটেই, শিক্ষক পর্যন্ত মন্ত্রমুগ্ধ-তন্ময় হয়ে শুনলেন:
-তুমি তো বেশ ভাল ছাত্র দেখছি! নতুন এসেছ মনে হচ্ছে। তোমার নাম কী?
-আলি তানতাবী!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন