এক কনফারেন্সে জড়ো হয়েছে বিভিন্ন দেশের ডাক্তাররা। খাওয়ার টেবিলে একসাথে বসলো তিন ডাক্তার। জাপানি। জার্মানি ও ‘ভিনদেশী’। খেতে খেতে গল্প হচ্ছে। নিজের দক্ষতার কথাও বুক ফুলিয়ে বলছে:
জাপানি: আমার কাছে এক রোগী এলো। মারাত্মক রোড এক্সিডেন্টে একটা চোখ হারিয়েছে। সাথে সাথে ওটিতে নিয়ে গেলাম। সামনে একটা বিড়াল পড়লো। জাপটে ধরলাম ওটাকে। একটা চোখ উপড়ে, মানুষটার অক্ষিগোলকে প্রতিস্থাপন করে দিলাম। সেই বিড়ালাক্ষি রোগী এখন দিনের আলোতে তো দেখেই, ঘুটঘুটে অন্ধকারেও দিব্যি দেখতে পায়!
.
জার্মানি: সেদিন চেম্বারে পেশেন্ট তেমন ছিল না। সন্ধ্যার মুখে ধুঁকতে ধুঁকতে এক রোগী এলো। কলিজায় ক্ষত দেখা দিয়েছে। দেরী না করে শুইয়ে দিলাম। সামনের বাগানে একটা কুকুর ছিলো। ধরে এনে কলিজা বের করলাম। অপারেশন করে রোগীর মধ্যে ‘প্লান্ট’ করে দিলাম।
মানুষটা এখন রীতিমতো হাড্ডি কচকচ করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারে! ভাগ্যিশ কথার আওয়াজটা মানুষের মতোই আছে!
.
ভিনদেশী: আমার কাছে তো তেমন রোগী আসে না। একদম শেষ অবস্থায় দুয়েকজন আসে। কোনও উপায়ান্তর না দেখলে। একজন এল। মস্তিস্কে গড়বড় দেখা দিয়েছে। হাতেপায়ে ধরে বললো: যত টাকা লাগে দিবে।
আমার একটা গাধা ছিলো। দিলেম যবেহ করে। মাথা ভেঙে মগজ বের করে নিলাম। রোগী মাথায় গাধার মগজটা যত্নের সাথে বসিয়ে দিলাম:
-বলেন কি! তাই বলে মাথা ভেঙে গাধার মগজ! এও কি সম্ভব? রোগীটা বেঁচেছিল?
-শুধু কি বাঁচা! সে রোগী এখন আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান! হুঁ হুঁ!!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন