বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

শিক্ষণীয়_গল্পঃ

শিক্ষণীয়_গল্পঃ*এক বাদশাহ ছিলেন। তার ছিল একপরমা সুন্দরী কন্যা।এক চোর সেইকন্যার উপর আশেক ছিল। কিন্তুতাকে পাওয়া বড় কঠিন ব্যাপারছিল।ঘটনাক্রমে একদিন সে চুরি করারউদ্দেশ্যে বাদশাহর ঘরে প্রবেশকরলো।তখন বাদশাহ এবং বেগম তাদেরমেয়েরবিবাহেরব্যাপারে আলোচনা করছিলেন।বাদশাহ বললেন, ‘আমাদের মেয়েরবিবাহ দিব আল্লাহওয়ালা,পরহেজগার লোকের সাথে।’চোর এইকথা শুনে চুরি করা ভুলে গেলএবং বাদশাহর সিদ্ধান্তেরকথাকে একবিরাট গণীমত মনে করলো যে তারপ্রিয়তমাকে পাওয়ারসঠিক ব্যবস্থা জানা হয়ে গেছে।এখনপরহেজগার হয়ে যাওয়াই ভাল।বাদশাহর ঘর থেকে বাহিরহয়ে সে একমসজিদে গিয়ে বসলো এবং রাতদিনআল্লাহর এবাদতে মশগুল হয়ে পড়লো।ফলে তারখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো যে 'একজনখুব বড় দরবেশ এসেছে।এদিকে বাদশাহ তার শাজাদীরবিবাহের পাত্র খোঁজারজন্যে লোক লাগিয়ে দিলেন।পরহেজগার পাত্র খোঁজারজণ্যে চারিদিকে লোক ছুটলো।অনেক খোঁজাখুজির পরঅবশেষে জানা গেল যে,অমুক মসজিদে এমন একআল্লাহওয়ালা আছেন যারচেয়ে অধিকমুত্তাকী সারাদেশে আরএকটিও নাই।সুতরাং বিশেষ ব্যবস্থাপনায়বিবাহেরপয়গাম নিয়ে বাদশাহর দূত তারকাছে গিয়ে হাজির হলো।কিন্তু চোরের কাজততদিনে সারা হয়ে গিয়েছিল।আল্লাহর এবাদতের শান্তিতে তারঅন্তর এত ভরপূর হয়ে উঠেছিল যে,রাজকন্যা এবং সাতরাজার ধনও তার কাছে তখন তুচ্ছমনে হতে লাগলো।সে দূতকে বললো, ‘আপনারা যান,আমারসময় নষ্ট করবেন না।’সে দূতকে ফিরিয়ে দিল।সে ঈমানের স্বাদ অনুভব করতে লাগল।তাই তার নিকটশাহজাদিকে বিয়ে/ক্ষণস্থায়ী সুখকে বিসর্জনদিয়ে আল্লাহর ইবাদতকরে জান্নাতে চীরস্থায়ী সুখউপভোগ করাকে উত্তম মনে করল।আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে দুনিয়াতে শুধুমাত্রআল্লাহর ইবাদত করার জন্যপাঠিয়েছেন, আমাদেরপ্রতিটি কাজ ইবাদত হবে যখনআমরা আল্লাহ হুকুম মেনে রাসূলুল্লাহ[সাঃ] এর তরিকায় করব।তখন আমাদের ঘুম ইবাদত হবে।খাওয়া ইবাদত হবে।আল্লাহ তায়ালা আমাদেকে দ্বীনমোতাবেক জীবন পরিচালিত করারতৌফিক দান করুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন