শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১৬

~ স্বামীর যত্ন ও আনুগত্যেই নারীর ‪#‎জান্নাত‬ ~


প্রচলিত একটি কথা, “স্বামীর পায়ের নিচে জান্নাত” -কথাটি নিয়ে অনেককেই তর্ক করতে দেখা যায় যে, এটা হাদিস নয়। “মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত” এটাই হাদিস! হ্যাঁ এটা সত্য যে এই কথাটি কোন মতেই হাদিস নয় কিন্তু সমস্যাটা হয় যখন এতটুকু জেনে কেউ স্বামীর আনুগত্য কমিয়ে তার উপর “মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত” এই হাদিসের আমলে ব্যস্ত হয়ে যান। অথচ স্বামীর আনুগত্যের বিষয়ে “স্বামীর পায়ের নিচে জান্নাত” - এ মিথ্যা কথাটির বাদ দিলেও যে অনেক গুরুত্বপূর্ন কুরআনের আয়াত বা হাদীস আছে তার গুরুত্ব দেন না বা জানেন না। -এ বিষয়টা আজ অনেক সংসার ভাঙ্গার মূল কারণ। আর তা হচ্ছে নিজের পরিবারে মায়েদের হস্তক্ষেপ।
বর্তমানে পারিবারিক বন্ধন ভেঙ্গে পরার আরেকটি কারণ, পারিবারিক সম্পর্কে একে অপরে গুরুত্ব না দেয়া। ভাল সময়ের সম্পর্কের মিষ্টটায় পরস্পরের দায়িত্ব ও কর্তব্য ভুলে থাকা। বেশির ভাগ নারীগণই স্বামীর সীমাহীন ভালবাসাকে আনুগত্য মনে করে বসে আর সে নিজেই যে স্বামীর অধীন ও তার আনুগত্য করার মাঝেই তার জান্নাত তা ভুলে যান! যা দ্বীনদার বা পুণ্যবতী নারীদের বৈশিষ্ট্য নয়।
আল্লাহ তা’আলা বলেন :
“সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাযতকারীনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন।” নিসা: ৩৪

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ এ আয়াতের তাফসিরে বলেন, ‘সুতরাং নেককার নারী সে, যে আনুগত্যশীল। অর্থাৎ যে নারী সর্বদা স্বামীর আনুগত্য করে… নারীর জন্য আল্লাহ এবং তার রাসূলের হকের পর স্বামীর হকের মত অবশ্য কর্তব্য কোন হক নেই।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি যদি আল্লাহ ব্যতীত কাউকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম, তবে নারীদের আদেশ করতাম স্বামীদের সেজদার করার জন্য। সে আল্লাহর শপথ করে বলছি, যার হাতে আমার জীবন, নারী তার স্বামীর সব হক আদায় করা ব্যতীত, আল্লাহর হক আদায়কারী হিসেবে গণ্য হবে না। এমনকি স্বামী যদি তাকে বাচ্চা প্রসবস্থান থেকে তলব করে, সে তাকে নিষেধ করবে না।’’ - সহিহ আল-জামে আল-সাগির : ৫২৯৫
হে নারীগণ! তোমরা এর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখ। বিশেষ করে সে সকল নারী, যারা সীমালঙ্ঘনে অভ্যস্ত, স্বেচ্ছাচার প্রিয়, স্বামীর অবাধ্য ও পুরুষের আকৃতি ধারণ করে। স্বাধীনতা ও নারী অধিকারের নামে কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, যখন ইচ্ছা বাইরে যাচ্ছে আর ঘরে ফিরছে। যখন যা মন চাচ্ছে তাই করে যাচ্ছে। তারাই দুনিয়া এবং দুনিয়ার চাকচিক্যের বিনিময়ে আখেরাত বিক্রি করে দিয়েছে। 
হে বোন! সতর্ক হও, চৈতন্যতায় ফিরে আস, তাদের পথ ও সঙ্গ ত্যাগ করে। তোমার পশ্চাতে এমন দিন ধাবমান যার বিভীষিকা বাচ্চাদের পৌঁছে দিবে বার্ধক্যে।

এটা ঠিক যে স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির আনুগত্য নেই। আর স্বামীকে যেমন তার দায়িত্ব বুঝতে হবে তেমনি স্ত্রীকেও শরীয়াতের সীমা জানতে হবে। নিজের কাছে উত্তম মনে হলেও শরীয়াতের সীমায় স্বামীর আনুগত্য করার মাঝেই আল্লাহর সন্তুষ্টি।
প্রাসংঙ্গিক বই: নারীর জান্নাত যে পথে

প্রচারে: ‍আন-নূর ইসলামিক ম্যারেজ মিডিয়া

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন