আপনি কি শূকরের মাংশ খাচ্ছেন? কীভাবে জানবেন? জেনে নিন।
=============== =============== ==========
শূকরের মাংস ইউরোপ জুড়ে তাদের প্রোটিন বা আমিষ সরবরাহের অন্যতম একটা মাধ্যম। এক হিসেবে দেখা গেছে যে, একমাত্র ফ্রান্সেই প্রায় বিয়াল্লিশ হাজারেরও বেশী শূকরের খামার রয়েছে। ইংল্যন্ডরও আনাচে কানাচে রয়েছে শূকরের খামার। বাণিজ্যিকভাবে এইসব খামারগুলো পুরো ইংল্যন্ড জুড়েই শূকরের মাংস সরবরাহ করে আসছে। আর ইংল্যন্ডে বসবাস করার কারণে নিত্যদিন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি ইংরেজদের খাদ্য তালিকায় শূকরের মাংস একটি অতি আবশ্যকীয় ও উপাদেয় তালিকা। কেবল ইংল্যন্ডই নয় বরং পুরো ইউরোপ, আমেরিকা আর প্রাচ্য, অর্থাৎ পুরো খৃষ্ট বিশ্বেই প্রকৃত অবস্থাটি এমনই। এমনকি মুসলিম বিশ্বের কোথাও কোথাও, বিশেষ করে, মুসলিম দেশসমুহে বসবাসকারী অমুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে শূকরের মাংস অতি কাংক্ষিত একটি খাদ্য মাধ্যম। এই মাধ্যমটি যে আজ নতুন সৃষ্টি হয়েছে তা নয় বরং সেই মধ্যযুগের কিংবা তারও আগে থেকেই এটি বিদ্যমান। শূকরের দেহে সবচেয়ে বেশী চর্বি থাকে এবং সেই চর্বির মধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর চর্বিও রয়েছে। বস্তুুতান্ত্রিক চিন্তা চেতনায় উজ্জীবিত ইউরোপ জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে এইসব চর্বিকে বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে এ থেকে ব্যবহার্য বা খাদ্য জাতিয় বিভিন্ন প্রকার উপকরণ যেমন উদ্ভাবন করেছে তেমনি তা সারা বিশ্ব জুড়েই বাজারজাতও করেছে। এখনও তারা সে কাজটি করে যাচ্ছে নির্বিঘেœই, নিরুপদ্রবভাবেই। আজকাল পুরো ইউরোপ, আমেরিকা আর পশ্চিমা বিশ্ব, এমনকি সমগ্র বিশ্বব্যাপি স্বাস্থ সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মানুষ খাদ্যে অতিরিক্ত ফ্যাট নিয়ে বড় বেশী চিন্তিত এবং সজাগ। খাদ্যে চর্বির আধিক্যই হৃদরোগের প্রধান কারণ, সেটা বিশ্ববাসী খুব ভালো করেই জেনে গেছে বিজ্ঞানের সুবাদে। শূকরের দেহে সবচেয়ে বেশী চর্বিই কেবল থাকে না বরং সেই চর্বির মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদানটির আধিক্যও সবচেয়ে বেশী। ফলে ইউরোপের সচেতন মানুষ শূকরের মাংস খেলেও এর চর্বিকে সব সময় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে বা চলার চেষ্টা করে। এর ফলে শূকর ব্যবসায়ী ও তার মাংস সরবরাহকারীদের একটা বড় অংশই অপচয় হবার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এইসব অপচয় থেকে বাঁচার জন্যই ইউরোপ শূকরের চর্বির বিকল্প ব্যবহার উদ্ভাবন করেছে। শূকরের চর্বিকে তারা বিভিন্নভাবে বাজারজাত করেছে। এর বহুবিধ ব্যবহারকে নিশ্চিত করেছে প্রসাধনী সামগ্রীর কাঁচামাল, ঔষধের মাধ্যম বা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার, শল্য চিকিৎসায় ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নির্মাণ এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো মনুষ্য ও পশু খাদ্য সামগ্রির বিভিন্ন উপাদান হিসেবে এই ক্ষতিকারক বস্তুটিকে ব্যবহার করছে। আজ থেকে প্রায় ষাট কিংবা সত্তর বৎসর আগে শূকরের অতিরিক্ত চর্বিগুলো পুড়িয়ে ফেলা হতো। কিন্তু এই চর্বির পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় তা অন্য কোনভাবে কাজে লাগানো যায় কি না সে চিন্তা থেকেই শুরু হয় বিকল্প ব্যবহারের সন্ধান। প্রথমে শূকরের চর্বি দিয়ে সাবান বানানো হয় এবং তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর পরে একইভাবে ঐ চর্বিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রকম তরল প্রসাধনী, ক্রিম ইত্যাদি উৎপাদন এবং বাজারজাত করা হয়, এটাও ব্যবসায়িক সফলতা পায়। এই পর্যায়ে এসে সকল শূকর ফার্ম তাদের শূকরের চর্বিকে পোড়ানো বন্ধ করে দেয় বরং তারা সেইসব চর্বিকে প্রসাধনী শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করতে থাকে। বন্দুকের কার্তুজে এই শূকরের চর্বি ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথমে, উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কিংবা তারও আগে। আর ইতিহাসের যে কোন সচেতন পাঠকই জানেন যে, আমাদের পাক ভারতীয় উপমহাদেশে সেই বিখ্যাত সিপাহী বিদ্রোহ শুরুই হয়েছিল ব্রিটিশ ভারতীয় বাহিনীতে কর্মরত মুসলিম সৈন্যদের মাঝে এই শূকরের চর্বিযুক্ত কার্তূজ সরবরাহের ঘটনার মধ্য দিয়ে। যা হোক, ফার্মাসিউটিক্যা ল কোম্পানীগুলোও তাদের উৎপাদিত ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রীতে এর ব্যবহার শুরু করে। সর্বপ্রথমে শরীরের অভ্যন্তরে সেলাই করার জন্য এমন এক ধরনের সুতোর দরকার পড়ে, যা ক্ষত শুকোনোর পরে খূলে ফেলার প্রয়োজন পড়বে না, এবং শরীরের ভেতরে হবার কারণে তা সম্ভবও নয়, বরং সেলাই কাজে ব্যবহৃত এই সুতো আপনা আপনিই মানুষের মাংসের সাথে মিশে যাবে। এইরকম সুতো যদি কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরী করা যায়, তা হলে কেমন হয়? এ চিন্তা থেকেই চিকিৎসকরা বেড়ালের অন্ত্রের চর্বি দিয়ে তৈরী করেন এক বিশেষ ধরনের সুতো, যা দিয়ে মানুষের দেশে অস্ত্রোপচারের সময় আভ্যন্তরীণ ক্ষত জোড়া দিতে ব্যবহার করা যাবে। আজও আমাদের দেশের যে কোন সাধারণ শিক্ষিত মানুষও এটা খুব ভালো করেই জানেন যে, শল্য চিকিৎসক বা সার্জনরা মানুষের শরীরে এরকম যে সুতোর ব্যবহার করেন তাকে ‘ক্যটগাট’ বলা হয়। এই CatGut (ক্যাটগাট) নামটি মুলত দুটো ইংরেজি শব্দের সমন্বয় ক্যাট Cat মানে হলো বেড়াল, আর Gut ‘গাট’ শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় অন্ত্র, বা নাড়ীভূড়ী। বেড়ালের অন্ত্র দিয়ে তৈরী বলেই সেই বিশেষ সুতোর নামকরণ করা হয়েছে CatGut। বেড়ালের চেয়ে শূকরের প্রচলন বেশী এবং শূকরের মাংস ও চর্বি সহজ লভ্য হবার সুবাদে ইউরোপের শূকর খামার ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেন এই সুতো নির্মাণে বেড়ালের পরিবর্তে শূকরের চর্বি ব্যবহারে। এবং তারা তা শুরুও করেন। ষাটের দশকের শেষার্ধে কিংবা সত্তরের দশকের প্রথম দিকে এসে ইউরোপীয় দেশ সমুহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরী হয়। ক্রমাগত সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের কারণে ই্উরোপীয় দেশসমুহের সরকার তাদের দেশে এ ব্যপারে আঈন প্রণয়ন করেন। এই আঈনের ফলে ভোক্তারা তাদের নিত্য প্রয়োজোনীয় যেসব খাদ্য, প্রসাধনী, পথ্য বা ঔষধ কেনেন বাজার থেকে, তারা এটা জানার অধিকার অর্জন করেন যে, সেইসব পণ্যসামগ্রী বা খাদ্যে কোন কোন উপাদান কতটুকু ও কি পরিমাণে রয়েছ্? এই আঈনের কারণেই উৎপাদকরা তাদের উৎপাদিত সামগ্রীর গা‘এ উক্ত বস্তুতে ব্যবহৃত উপাদানের নাম, তার পরিমাণ এবং কোন সম্ভাব্য পার্শপ্রতিক্রিয় া থাকলে সেইসব লিখে দিতে বাধ্য। এই আঈনের ফলে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন দেশের ভোক্তা ইউরোপীয় পণ্যের গা‘এ লিপিবদ্ধ তালিকা দেখে জানতে পারেন, তার ক্রয়কৃত বস্তুতে কোন কোন উপাদান কি কি পরিমাণে ব্যবহার করা হয়েছে। আজ থেকে মাত্র অর্ধশতাব্দীকাল আগেকার কথা যারা স্মরণ করতে পারেন, তারা এটা খুবই ভালো করেই জানেন যে, তখনকার দিনে আমাদের পাকভারতীয় উপমহাদেশে ইউরোপীয় পণ্য সামগ্রী কেবল নতুন যেতে শুরু করেছে। আর ইংল্যন্ড বা আমেরিকার উৎপাদিত কোন পণ্য বস্তু ছিল তার মালিকের কাছে অহংকারের বিষয়, উচ্চ সামাজিক মর্যাদার একটি ব্যাপার। কিন্তু কিছু সচেতন মুসলমান ইউরোপীয় পণ্যসামগ্রীর গা’এ লিপিবব্ধ উপাদানের তালিকায় pig fat শব্দটি দেখে আঁতকে উঠেন। কারণ যে কোন মুসলমানের কাছে এই pig fat বা শূকরের চর্বি, তার মাংস বা রক্ত সকল কিছুই হারাম, এর যে কোন ধরনের পরোক্ষ ব্যবহারও হারাম। তারা তাদের ভাষণে-বিবৃতিতে, লেখা-লেখনীতে এ ব্যপারে জনগণকে যেমন সতর্ক করেন, তেমনি সরকারের কাছেও দাবী জানাতে থাকেন এইসব ইউরোপীয় পণ্য দেশে আমদানী করারা অনুমতি না দেবার। এর ফলে সরকার যেমন সচেতন হয় তেমনি দেশের জনগণও ইউরোপীয়ান এই সব পণ্য সামগ্রী বর্জন করতে শুরু করে। এর ফলে ইউরোপীয়রা তাদের পণ্যতে pig fat শব্দটির পরিবর্তে 'animal fat' শব্দটি ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু এখানেও সেই একই প্রশ্ন আসে, তা হলো 'animal fat' ' বা পশু চর্বি যদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে সেই পশুটি কোন ধরনের পশু? তা জবাই করা হয়েছে কোন পদ্ধতিতে? সেই একই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সচেতন মুসলমানরা নিজেরা যেমন এইসব 'animal fat' সংবলিত সামগ্রী বজর্ন করেন তেমনি জনগণকেও সে ব্যপারে সচেতন করতে থাকেন! ফলে ইউরোপীয়ান বাবস্যায়ীরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার হারাতে বসে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই তারা বিকল্প পন্থা উদ্ভাবন করে। আর এই বিকল্প পন্থাটইি হলো উৎপাদিত কোন বস্তু, তা খাদ্য সামগ্রী হোক বা ঔষধ পথ্য কিংবা প্রসাধনী কিংবা অন্য কিছু, তার গা’এ ইউরোপীয়ান আঈন অনুযায়ী উপাদান সমুহের নাম লেখা হবে বটে তবে সেই সব নামগুলো লেখা থাকবে বৈজ্ঞানিক কোন টার্ম কিংবা সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে যেন সাধারণ জনগণ সেই সব নাম, সেইসব টার্ম পড়ে বুঝে উঠতে না পারে, আসলে এই জিনিসগুলো কী? করপোরেট বাণিজ্যের এই বিশ্বে ব্যবসাীয় মহলের চাপে নতী স্বীকার করে সরকার উৎপাদকদের সাথে আপোষ করে এবং উৎপাদিত পণ্যের গা’এ সাংকেতিক ভাষায় উপাদানসমুহের নাম লিপিবদ্ধ করার অনুমিত দেয়। সেই থেকে শিল্পকারখানায় উৎপাদিত পণ্য, বিশেষ করে, খাদ্য সামগ্রী কিংবা তা প্রস্তুতে ব্যবহৃত উপাদানসমুহে, প্রসাধনী, ঔষধ কিংবা পথ্যের উৎপাদনে সাংকেতিক ভাষায় বিশেষ নাম বা E-Codes ব্যবহার করা হয়, যা আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য একটি বিষয়। এইসব পণ্যের উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদানসমুহের কোনটি কি সাংকেতিক নাম বা E- Codes ব্যবহৃত হবে সেটাও ঠিক করা হয় এইসব দেশের সরকারের Departments of Food Administration নামক বিভাগ ও উৎপাদক শ্রেণীর যৌথ ব্যবস্থাপনায়। এর ফলে এইসব সাংকেতিক উপাদানগুলো কী? তা জানার একমাত্র অধিকার ও সুযোগ রইল উৎপাদক শ্রেণী ও সরকারের অধিনস্থ খাদ্য দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠিত ল্যবরেটরিতে কর্মরত বিজ্ঞানী এবং টেকনিশিয়ানদের। এরকমই একজন মুসলিম টেকনিশিয়ান কাজ করতেন ফ্রান্সের Pegal শহরে অবস্থিত Departments of Food Administration এর মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে বা ল্যবরেটরিতে। তিনি অনূসন্ধিৎষূ মন নিয়ে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বের করেছেন বেশ ক’টি E- Codes যার প্রত্যেকটিই শূকরের চর্বিকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। একটি ওয়েব সাইটে Are we eating Pork? শিরোণামে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে এক পাকিস্থানী বিজ্ঞানী ড: এম আমজাদ খান কর্তৃক প্রচারিত উক্ত তালিকায় শুকরের চর্বি থেকে প্রস্তুত E-Codes এর তালিকা নিম্নরুপ; E100, E110, E120, E 140, E141, E153, E210, E213, E214, E216, E234, E252, E270, E280, E325, E326, E327, E334, E335, E336, E337, E422, E430, E431, E432, E433, E434, E435, E436, E440, E470, E471, E472, E473, E474, E475, E476, E477, E478, E481, E482, E483, E491, E492, E493, E494, E495, E542, E570, E572, E631, E635, E904. I উক্ত তালিকায় উল্লেখিত E-Codes গুলোর বেশ ক’টি আমাদের দেশে প্রাত্যহিক ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জনপ্রিয় খাদ্যতালিকায় উপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। তার দু‘একটা নমুণা দেখুন, যেমন; নিচে উল্লেখিত তালিকায় খাদ্য দ্রব্যের নামের পাশে তাতে ব্যবহৃত E-Codes ও তুলে দেয়া হলো। 1 Cadburrys chocolate - E476 2 Igloo Ice Cream - E471,E433 3 Baskin Robbins Ice Cream E471 4 Foster Clarks Custard Powder-E110 5 Fadeco Ice Cream- E471 6 Nova Chewing Gum - E422 7 Demah Fresh -E422 8 Big Babool Chewing Gum বলা বাহুল্য, উপরের তালিকায় উল্লেখিত প্রায় সবকটিই আমাদের দেশসহ প্রায় সকল মুসলিম দেশে ছেলে বুড়ো'সহ সকলের কাছেই খুবই প্রিয়, অনেকের তো এগুলো না হলে প্রাণটাই বেরিয়ে যায় যায় অবস্থা! আল কুরআনে অন্তত চারটি জায়গায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শূকরের মাংস এবং মৃত জন্তু জানোয়ার আর সেসইসব জানোয়ার যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নাম নিয়ে জবাই করা হয়েছে, মুসলমানদের জন্য হারাম করেছেন। তারই একটি আয়াত দেখুন; তিনি তোমাদের উপরে হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত শূকর মাংশ এবং সেসব জীব জন্তু যা আল্লাহ ব্যতিত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং না- ফরমানী ও সীমালংঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নি:সন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু (সুরা আল বাক্বারা- ১৭৩) এটা মোটমুটি অমুসলিম ব্যবসায়ীরা জানে, অন্তত তাদের সরকার ও জনগোষ্ঠির সচেতন অংশটি খুব ভালো করেই জানে, কিন্তু তারপরেও তারা ভিন্ন কৌশলে মুসলমানদেরকে আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় সেই হারাম বস্তু খাওয়াতে মনে হয় উঠে পড়ে লেগেছে। এর পেছনে কেবল যে তাদের আর্থিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থই আছে তাই নয় বরং এর পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষজনিত এক আগ্রাসী মনোভাব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন