বাবরী মসজিদ ধ্বংসে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শিব সেনা, বজরং দলের সদস্যসহ সকল হিন্দু যদি এটা জানত যে, ইসলাম কী! মুসলমান কাকে বলে? কুরআনুল করীম কী? মসজিদ আসলে কোন বস্তুর নাম, তাহলে তাদের সকলেই মসজিদ নির্মাণের কথা ভাবতে পারত, মসজিদ ভাঙ্গার প্রশ্নই উঠতে পারতোনা। আমি আমার প্রবল প্রত্যয় থেকে বলছি, বালথ্যাকার, উইরে কুঠিয়ার যদি ইসলামের প্রকৃত সত্য ও মর্মবাণী জানতে পারে তাহলে তাদের প্রত্যেকেই নিজ খরচে বাবরী মসজিদ পূণর্বার নির্মাণ করাকে নিজেদের সৌভাগ্য ভাববে।আমার পিতা (কাঁদতে কাঁদতে) কি স্বভাবগতভাবে মুসলমান ছিলেন না? কিন্তু মুসলমানরা তাঁকে দাওয়াত না দেবার কারণে তিনি কুফরী অবস্থায় মারা গেছেন। আমার সঙ্গে, আমার পিতার সঙ্গে মুসলমানদের এ কত বড় জুলুম। এ কথা সত্যি যে, বাবরী মসজিদ যে শহীদ করেছে সেই আমার থেকে বড় জুলুমকারী জালিম আর কে হতে পারে? কিন্তু আমার চেয়েও বড় জালিম তো সেই সব মুসলমান যাদের দাওয়াতের ক্ষেত্রে অলসতা ও অবহেলার দরুন আমার এমন প্রিয় বাবা আজ দোযখে চলে গেছেন। মাওলানা সাহেব সত্য বলেছেন, আমরা যারা বাবরী মসজিদ শহীদ করেছি তারা না জানার কারণে এবং মুসলমানদের না চেনার দরুন এমন জুলুম করেছি। আমরা অজানা ও অজ্ঞতার দরুন এ ধরনের জুলুম করেছি এবং মুসলমানেরা জেনে বুঝে তাদের দোযখে যাবার উপলক্ষে পরিণত হচ্ছে। আমার পিতার কুফরী অবস্থায় মারা যাবার কথা যখন রাত্রে মনে হয় হখন আমার ঘুম পালিয়ে যায়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ আমার ঘুম আসে না। ঘুম আনবার জন্য আমাকে ঘুমের বড়ি খেতে হয়। হায়! মুসলমানদের যদি এই ব্যথার অনুভূতি হতো!"
-- কথাগুলি বলেছেন বাবরী মসজিদ ধ্বংসযজ্ঞে প্রথম কোদাল চালনাকারী যুব শিবসেনার পানিপথ শাখার সহ-সভাপতি বলবীর সিং।বলবীর ১৯৯৩ সালের ২৫ জুন বাদ যোহর ইসলাম গ্রহণ করে। তার নাম রাখা হয় মুহাম্মাদ আমের। পরে তার স্ত্রী ও মা মুসলমান হন।বাবরী মসজিদের ইটের উপর শত শত শিবসেনাকে দিয়ে প্রস্রাব করাতে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী তার সহযোগী যোগীন্দর পালও ইসলাম গ্রহণ করে মুহাম্মাদ ওমর নাম ধারণ করেন।বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার কাফফারা স্বরূপ প্রতিবছর তারা ৬ ডিসেম্বর একটি করে বিরান মসজিদ আবাদ বা নির্মাণ করছে। ২০০৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তারা ১৩টি বিরান ও অধিকৃত মসজিদ আবাদ করেছে।
কার্টেসিঃ ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কাহিনী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন