রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

(কাছে আসার সাহসী গল্প)

গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলগুলোতে “শত ডানার প্রজাপতি” নামক একটা নাটকের ট্রেলার (কাছে আসার সাহসী গল্প) খুব ঘন ঘন দেখানো হচ্ছে। নাটকের একটা দৃশ্যে দেখা যায়- তরুনী মেয়েটার দুই গালে ছেলেটা রং মাখিয়ে দিচ্ছে, আশেপাশে আরো অসংখ্য তরুন-তরুনী প্রায় প্রায় একই কাজে ব্যস্ত…https://goo.gl/6QY6KL
.
রং উড়ছে- রং ভাসছে- রং ছিটানো হচ্ছে- রং মাখানো হচ্ছে- এক কথায় চারিপাশে রঙের মেলা। দৃশ্যটা দেখতে যতই মনোহর লাগুক না কেন- এটা যে হিন্দুদের হোলী উৎসব তা নিশ্চয়ই কাউকে বলে দিতে হবে না?

বাংলার সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম সমাজে এভাবে রং ছিটিয়ে- রং মাখিয়ে উৎসব করার কোন নজীর নেই, বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এধরনের কোন উৎসবের অত্তিত্ত্ব নেই। তবে ভারতে আছে, সেখানকার হিন্দুরা পূজা হিসেবে এধরনের উৎসব করে থাকে। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম সমাজে সরাসরি তো আর হোলি খেলা প্রচলন সম্ভব না, সেজন্যই কি ভালবাসা দিবসের মোড়কে মুসলিমদের মধ্যে এই জিনিস প্রচলন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে? 
.
এমনিতে এই নাটক নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না, কিন্তু এধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দেখার পর চুপ থাকাটা অন্যায়। হিন্দু সংস্কৃতির প্রতি আমাদের অবচেতন মনে একটা আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা হিসেবেই এধরনের দৃশ্যের চিত্রায়ন করা হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তা নাহলে বাংলাদেশের নাটকে এই জিনিস কিভাবে আসে? দেশীয় সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখেও তো নাটক নির্মান করা যেত। ভারতীয় সংস্কৃতি প্রমোট না করলে কি চলছিল না? নাটকটির মূল চরিত্রগুলো যদি অমুসলিম হত হয়তো কাহিনীর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু সেই সুযোগও নেই, কারন গল্পের নায়ক এবং নায়িকা উভয়ই মুসলিম। নাটকটি লিখেছেন চট্টগ্রামের কলেজপড়ুয়া একজন ছাত্র। “কাছে আসার সাহসী গল্প’ হিসেবে অনেকের লেখা গল্প থেকে তারটা পছন্দ করেছে ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষ। কেন পছন্দ করেছে সেটা বুঝার জন্য একটা তথ্য জানিয়ে রাখাই যথেস্ট মনে করছি- ইউনিলিভারের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন সঞ্জীব মেহতা নামক একজন ভারতীয়!
.
আমি উক্ত লেখকের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করে তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন করলেও কোন রেসপন্স পাইনি। যদিও প্রোফাইলে উনি নিজেকে একজন “গর্বিত মুসলিম” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু একজন ‘গর্বিত মুসলিম’ কি করে হিন্দুদের পূজা (হোলি খেলা) মুসলিমদের মধ্যে প্রমোট করতে পারে তা সত্যিই আমার বোধগম্য নয়।

লিখেছেন :- ইনতেহাব হোসাইন জাওয়াদ
Comment : সালাউদ্দিন আইয়্যুবি বলেছিলেন, একটা জাতিকে যদি যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করে দিতে চাও, তাহলে তাদের তরুনদের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দাও। এই কথা আমরা মুসলিমরা জানিনা বুঝিনা কিন্তু মুশরিক ও ইহুদীরা বুঝে।
আর বুঝে তাদের এজেন্টরা।
______________________________________________
মুসলমানদের জন্য হিন্দুদের হোলি উৎসবে অংশগ্রহণের অনুমতি আছে কি?
উত্তর :-
بسم الله الرحمن الرحيم
কিছুতেই জায়েজ নয়। হাদীসে পরিস্কার ভাষায় এসেছে, যে ব্যক্তি যাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।
আর হোলী উৎসব এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। যাতে অংশ গ্রহণ মানেই হল হিন্দুদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় উৎসবকে নিজের উৎসব হিসেবে গ্রহণ করা। যা কিছুতেই বৈধ হতে পারে না। তাই , মুসলিম ছেলেমেয়েরা এই হিন্দুদের হোলি উত্সবে অংশগ্রহন করা স্পষ্টত একটা শিরকের কাজ , এতে ঈমান চলে যাবে ।।
এছাড়াও হোলী উৎসবটির ইতিহাস জানা থাকলে কোন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিই এ নোংরা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে না।
মূলত হোলী উৎসবের সূচনা হয়,
ব্রক্ষ্মার আদেশে প্রথমবারের মতো কৃষ্ণর কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো রাধা। সারারাত কামসূত্রের চৌষট্টি কলা প্রয়োগ করলেন কৃষ্ণ। আবেগাপ্লুত অবস্থায় কৃষ্ণর দাঁত ও নখের আঁচড়ে এবং শ্রী রাধার কুমারিত্ব খণ্ডনে রাধা এমন লালে লাল হলেন যে, সকালে লজ্জায় আর বাইরে বেরোতে পারছিলেন না।
সমস্যার সমাধানকল্পে কৃষ্ণ তার অনুসারীদের রঙ দিয়ে খেলার নির্দেশ দিলেন। সবাই যখন রঙে রঞ্জিত তখনই রাধা রক্তাক্ত কাপড় নিয়ে বাইরে বের হয়ে এলেন এবং বাড়ি ফিরলেন।
এই হলো হোলির ইতিহাস।
এমন নোংরা কর্মের স্মৃতিবাহী একটি বিধর্মী উৎসবে কোন মুসলিমতো দূরে থাক, কোন ভদ্রলোক যেতে পারে বলেও আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। তাই এ উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
লিখাটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন