সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ। শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?

কোরান শরিফের প্রতিটা আয়াতই গুরুত্তপুর্ণ। এই আয়াতগুলাতে বলা হইছে শয়তানের ইবাদাত না করার জন্য।
এখন,
আমরা তো সহজেই বলতে পারি যে আমরা যাই করিনা কেন শয়তানের ইবাদাত তো করিনা। :)

শয়তানের ইবাদাত মানে কি? 
শয়তান কে মেনে চলা। আমরা নিজের অজান্তেই অনেক সময় শয়তান কে মেনে চলি।
 যেমন 
~ আমাদের রাগ উঠলো , আর রাগের মাথায় খারাপ কথা বলে বসলাম , এইটাই শয়তানের কথা অনুযায়ী কাজ করা।

~ হটাৎ একজনের শান্তশিষ্ট চলাফেরা দেখে খারাপ লাগলো , তাকে একটু খোচা দিয়ে অস্থির করে দিলাম, এইটা শয়তানের কথাকেই নিজের অন্তর থেকে বের করলাম।
~ একজন মানুষ রেগে যাচ্ছে, তাকে আরো রাগাই দিলাম, ভাবলাম খুব মজা হয়েছে, এইটা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন।
~ একজন পছন্দ করিনা, তাই প্রতিটা ক্ষেত্রে তাঁর জীবন দুর্বিসহ করে দিলাম, এইটাও শয়তানের ইবাদাত করার সামিল।
~ আর চুরি করা , ঘুষ খাওয়া , সন্ত্রাসি করা, বোমা ফাটান এইগুলা তো আছেই।

যারা এইসব করে তাদের কথায়/কাজে হেসে, বা অন্য কোন ভাবে সমর্থন করা , শয়তানের ইবাদাত কে সমর্থন করার মতই হয়ে যায়।

মনে রাখতে হবে ,

“ ফেতনা ফ্যাসাদ বা অশান্তি বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।”
The Holy Quran , Surah Al Bakara, Part of Verse 191.
  
শুধুমাত্র সঠিক নামাজ ই পারে আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখতে।

আল্লাহ আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন