কোরান শরিফের প্রতিটা আয়াতই গুরুত্তপুর্ণ। এই আয়াতগুলাতে বলা হইছে শয়তানের ইবাদাত না করার জন্য।
এখন,
আমরা তো সহজেই বলতে পারি যে আমরা যাই করিনা কেন শয়তানের ইবাদাত তো করিনা। :)
শয়তানের ইবাদাত মানে কি?
শয়তান কে মেনে চলা। আমরা নিজের অজান্তেই অনেক সময় শয়তান কে মেনে চলি।
যেমন
~ আমাদের রাগ উঠলো , আর রাগের মাথায় খারাপ কথা বলে বসলাম , এইটাই শয়তানের কথা অনুযায়ী কাজ করা।
~ হটাৎ একজনের শান্তশিষ্ট চলাফেরা দেখে খারাপ লাগলো , তাকে একটু খোচা দিয়ে অস্থির করে দিলাম, এইটা শয়তানের কথাকেই নিজের অন্তর থেকে বের করলাম।
~ একজন মানুষ রেগে যাচ্ছে, তাকে আরো রাগাই দিলাম, ভাবলাম খুব মজা হয়েছে, এইটা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন।
~ একজন পছন্দ করিনা, তাই প্রতিটা ক্ষেত্রে তাঁর জীবন দুর্বিসহ করে দিলাম, এইটাও শয়তানের ইবাদাত করার সামিল।
~ আর চুরি করা , ঘুষ খাওয়া , সন্ত্রাসি করা, বোমা ফাটান এইগুলা তো আছেই।
যারা এইসব করে তাদের কথায়/কাজে হেসে, বা অন্য কোন ভাবে সমর্থন করা , শয়তানের ইবাদাত কে সমর্থন করার মতই হয়ে যায়।
মনে রাখতে হবে ,
“ ফেতনা ফ্যাসাদ বা অশান্তি বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ।”
The Holy Quran , Surah Al Bakara, Part of Verse 191.
শুধুমাত্র সঠিক নামাজ ই পারে আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখতে।
আল্লাহ আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন