ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান সাইয়েদা হুসাইন ব্যারোনেস ওয়ার্সি বলেছেন, ব্রিটেনের মুসলিমরা সামাজিক ইস্যুগুলোতে কনজারভেটিভ পার্টি কিংবা চার্চের চাইতেও বেশি এগিয়ে আছে।’
তিনি ‘ব্রিটেনের মুসলিমরা ব্রিটিশ জীবনযাপনের সাথে একাত্ম হতে পারছে না’ এমন অভিযোগও নাকচ করে দিয়েছেন।
এছাড়াও সাইয়েদা ওয়ার্সি সাবেক সমতা কমিশনের প্রধান ট্রেভর ফিলিপসের মন্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ট্রেভর ফিলিপস চলতি সপ্তাহে বলেছেন, ব্রিটেন যেসব কারণে আজকের ব্রিটেন হয়েছে সেসব মুল্যবোধ এবং আচরণ মুসলিমরা গ্রহণ করেনি।’
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যারোনেস ওয়ার্সি ২০১০ সাল থেকে দুবছরের জন্য ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির (টরি পার্টি) প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বলেন, অনেক ধর্মীয় গোষ্ঠীরই রক্ষণশীল বিষয় সমূহ রয়েছে।
ওয়ার্সি বলেন, ‘মুসলিম সমাজ তার দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে রক্ষণশীল, তবে অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর থেকে এটি আলাদা কোনো বিষয় নয়। আপনি যদি খ্রিস্টান অথবা ইহুদি ধর্মের দিকে তাকান দেখবেন তাদের মাঝেও একইরকম রক্ষণশীল বিষয়গুলো রয়েছে।’
‘মুসলিমরা অন্যদের চাইতে একেবারে আলাদা তাই তাদের সাথে আলাদা রকম আচরণ করতে হবে একথা বলার কোনো কারণ নেই।’
ওয়ার্সি আরো বলেন, ‘নারী অধিকার অধিকারের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হচ্ছে। ব্রিটেনে মুসলিম সমাজ ৫০-৬০ বছর আগের এবং এটি আমার দলের চাইতেও বেশি দ্রুত অগ্রসরমান।’
গত সোমবার ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ট্রেভর ফিলিপস সতর্ক করে বলেন, ব্রিটেনে জাতির ভেতর জাতি গড়ে উঠছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিমরা একাত্ম হতে আগ্রহী নয়।
তবে লেডি ওয়ার্সি বলেন, বেশিরভাগ ব্রিটিশ মুসলিমরা মিশ্র গোষ্ঠীর সাথেই বসবাস করে। মূলত অন্যান্য গোষ্ঠীরাই ভিন্নগোষ্ঠীর সাথে মিশতে চান না।
‘ডিউসবেরিতে যখন আমি বেড়ে উঠছিলাম তখন দেখতাম শ্বেত পিতামাতারা তাদের বাচ্চাদেরকে আমার মিডল স্কুল থেকে বের করে নিয়ে যেত কারণ তারা ভাবত এখানে খুব বেশি মুসলিম ছাত্র পড়াশুনা করে।’
ওয়ার্সি বলেন, একাত্মতা হচ্ছে দুই পথ বিশিষ্ট রাস্তা।
সূত্র: ডেইলি মেইল ভাষান্তরে জ়ুবায়ের হুসাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন