বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতে লেখা আছে-
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধরা চারটি মতবাদ দ্বারা উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
১) জাতীয়তাবাদ
২) সমাজতন্ত্র
৩) গণতন্ত্র
৪) ধর্মনিরপেক্ষতা
তাই এই চারটি মতবাদ হবে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি।
সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে যে কথাগুলো লেখা আছে, আমি ১০০% নিশ্চিত এটা পুরোটাই ডাহা মিথ্যা। আমার মনে হয় আপনারাও এতে দ্বিমত করবেন না। কারণ মুক্তিযোদ্ধরা মোটেও এ সকল অদ্ভূত মতবাদ দ্বারা উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে নাই, বরং তারা প্রত্যেকে দেশপ্রেম দ্বারা উব্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। আর আমি যতটুকু জানি, মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থে লেখা আছে - “মাতৃভূমি প্রেম ঈমানের অঙ্গ”। তাই বাংলাদেশের মুসলমানরা মুক্তিযুদ্ধ করলে সেই ধর্মীয় চেতনা তথা মাতৃভূমি প্রেম থেকেই উব্ধুদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, কথিত গণতন্ত্র/জাতীয়তাবাদ/ সমাজতন্ত্র কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতা দ্বারা মোটেও উব্ধুদ্ধ হন নাই, তাই সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে যা লেখা আছে তা ঢাহা মিথ্যা ভিন্ন কিছু নয়।
হ্যা আমার কথা যদি অস্বাভাবিক মনে হয়, তবে এখনও তো বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছে, তাদের সবার থেকে মতামত নিন, সবাইকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ? আপনি কি সমাজতন্ত্র কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতা মতবাদে উদ্ধুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন ??
আমি নিশ্চিত, ৯৯% শতাংশ বলবে- যে চারটি নীতি লেখা আছে তার কোনটাতেই তারা উব্ধুদ্ধ হন নাই, এমনি তারা সমাজতন্ত্র/ ধর্মনিরপেক্ষতার নামও হয়ত শুনেন নাই। তাই সংবিধানের শুরুতেও উক্ত চারটি মূলনীতি রাখার যৌক্তিকতাও থাকতে পারে না।
যেহেতু সংবিধান হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিমালা এবং সেটার আলোকে দেশ পরিচালিত হয়, সেহেতু একরকম একটি মিথ্যাকথা কথা ঐ সর্বোচ্চ নীতিমালার কখনোর মুলনীতি হতে পারে না। কারণ মূলনীতি ভুল থাকলে পুরো সংবিধান ভুল হয়ে যায় এবং সংবিধান ভুল হলে বাংলাদেশ ভুল হয়ে যায়।
তাই সংবিধানের উক্ত মূলনীতি ৪টি পরিবর্তনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন