সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরীর নেতৃত্বে প্রথমবারের মত কোন মুসলিম সেনাবাহিনী ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় সফল হয়। প্রথমে পরাজয়ের পর তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে সুলতানের বাহিনী হিন্দু রাজা পৃথ্বীরাজের শক্তিশালী বাহিনীকে পরাজিত করে। দিল্লী বিজিত হবার পর তিনি তার দাস, জেনারেল কুতুবউদ্দিন আইবেককে দিল্লীতে তার গভর্নর নিযুক্ত করেন। সন্তান না থাকায় তার বিশাল সাম্রাজ্য যা বর্তমানের ইরান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান -ভারত-বাংলাদেশ-তাজিকিস্তান -তুর্কমেনিস্তানের অন্তর্গত, তার দাসদের মাঝে ভাগ হয়ে যায়। আইবেকের হাত ধরে শুরু হয়ে ৩২০ বছর দিল্লী সালতানাত ভারত শাসন করে। আরেক সেনাপতি, ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজি, এ সময় বাংলার হিন্দু রাজা লক্ষ্মণ সেনকে পরাজিত করে বাংলায় মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, ভারত থেকে আফগানিস্তানে ফিরে যাবার সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ঝিলাম শহরের কাছে সুলতানের কাফেলা বিশ্রাম নিতে থামলে সুলতান এশার নামাজে দাড়ান। এসময় ইসমাইলী কারামতী শিয়াদের আততায়ী দল বা খোকার উপজাতীদের ঘাতক দল তাকে আঘাত করে হত্যা করে। এ সময় সুলতানের বয়স ছিল ৫৭ বছর। পাকিস্তান ঘুরি-১, ঘুরি-২, ঘুরি-৩ নামক তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তার সম্মানে নামকরণ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন