বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

* কেয়ামতের প্রাথমিক আলামতসমূহ :


কেয়ামতের প্রাথমিক ও ছোট ছোট আলামত সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছে। তাতে রাসূল সা. ইরশাদ করেন-
‘১. যখন শাসকরা প্রজাদের আদায়কৃত করকে ব্যক্তিগত সম্পদরূপে গ্রহণ করবে; (অর্থাৎ শরীয়ত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে তা ব্যয় করবে না)
২. মানুষ আমানতকে গনিমতের মালের মতো হালাল ও পবিত্র মনে করবে; (যুদ্ধের সময় কাফেরদের থেকে যে সম্পদ করায়ত্ত করা হয় তাকে গনিমত বলে।)
৩. যাকাত আদায় করা হবে জরিমানা হিসেবে;
৪. ইলমে দীন শিক্ষা করা হবে দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে;
৫. স্বামী অনুগত হবে স্ত্রীর;
৬. সন্তান মায়ের অবাধ্যতা করবে,
৭. বন্ধুকে নিকটবর্তী বানাবে এবং
৮. বাবাকে দূরে সরিয়ে দিবে;
৯. মসজিদে চিৎকার-চেঁচামেচি করা হবে;
১০. পাপিষ্ঠ ব্যক্তিরা জাতির নেতৃত্ব দিবে;
১১. প্রতিটি গোত্র ও জাতির মধ্যে ইতর ও অসৎ লোকেরা শাসক হয়ে বসবে;
১২. মানুষকে সম্মান করা হবে ক্ষতির আশঙ্কায়;
১৩. গান-বাজনা ও অনর্থক খেলাধুলার ব্যাপক প্রচলন ঘটবে;
১৪. মদপান করা হবে এবং
১৫. উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদেরকে অভিশাপ দিবে,
তখন তোমরা অপেক্ষা করো লাল বর্ণের ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, ভূমিধস, প্রস্তরবৃষ্টি, মানুষের আকৃতি পরিবর্তনের। আরো অপেক্ষা করো সুতা ছেঁড়া তাসবীহর দানার দ্রুত পতনের মতো লাগাতার বিপদ-আপদের।’
(তিরমিযী : হাদীস নং ২২১১)
.
* অন্যান্য হাদীসে আরো কিছু আলামতের কথা বর্ণিত আছে। যথা-
১৬. বাঁদীদের থেকে সন্তান গ্রহণের আধিক্য।
১৭. মূর্খ, অসভ্য ও নতুন ধনী ব্যক্তিদের ক্ষমতা লাভ।
১৮. সমকামিতা।
১৯. মসজিদে খেলাধুলা।
২০. কারো সাথে সাক্ষাৎ হলে সালামের পরিবর্তে গালি-গালাজ করা।
২১. দীনি ইলম কমে যাওয়া।
২২. মিথ্যা বলাকে শিল্প মনে করা।
২৩. মানুষের অন্তর থেকে বিশ্বস্ততা ও খোদাভীতি বিলুপ্ত হওয়া।
২৪. ফাসেক ও পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের ইলম অর্জন।
২৫. লজ্জা-শরম হারিয়ে যাওয়া।
২৬. কাফেররা সর্বত্র মুসলমানদের উপর প্রবল হওয়া।
২৭. জুলুম-নির্যাতন এত বেড়ে যাওয়া, যার ফলে কোথাও আশ্রয় নেয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
২৮. ভ্রান্ত মতবাদের লোকদের পক্ষ থেকে জাল হাদীস ও বিদআতের প্রসার ঘটানো।
২৯. খ্রিস্টানদের সাম্রাজ্য খায়বার পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া।
[“কেয়ামত” নামক গ্রন্থ থেকে]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন