শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬

ঢাকাস্থ বৌদ্ধ মন্দির থেকে ইফতারি বিতরণ করছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।


গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়ায় একটা চটকদার খবর খুব ফলাউ করে প্রচার করা হচ্ছে। খবরটা হলো- ঢাকাস্থ বৌদ্ধ মন্দির থেকে ইফতারি বিতরণ করছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। স্বাভাবিকভাবে মনে হতে পারে- “আহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা কত ভালো, একইকে বলে অহিংস পরম ধর্ম।” (http://goo.gl/EG0Szm)

অথব বাস্তবটা কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো। আপনারা গত কয়েকদিন ধরে নিশ্চয়ই খবরে দেখেছেন, চীন মুসলমানদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছে। খবরে জানা যাচ্ছে-
চীনের জিনঝিয়াং প্রদেশের কয়েকটি সরকারি অফিসের ওয়েবসাইটে রোজা রাখা ও ধর্মীয় রীতি পালনের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে৷রাজ্যের করলা শহর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও শিশুরা রোজা রাখতে পারবেন না এবং কোনো ধর্মীয় রীতি পালন করতে পারবেন না৷'' এছাড়া রোজার মাসে খাবার ও পানীয়ের দোকানও বন্ধ রাখা যাবে না বলে জানানো হয়েছে৷ শুইমগু জেলার শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে৷ তাতে রোজার মাসে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ (http://goo.gl/MTaYFR)

অর্থাৎ যেই বৌদ্ধরা বাংলাদেশে ভালোমানুষ সেজে ইফতারি বিতারণ করছে, সেই বৌদ্ধরা আবার গায়ের জোর পেয়ে চীনে সংখ্যালঘু মুসলমানদের রোজা রাখা নিষিদ্ধ করেছে। মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে।

শ্রীলঙ্কায়ও একই অবস্থা। সেখানেও এই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সংখ্যালঘু মুসলমানদের হালাল ফুডের বিরদ্ধে আন্দোলন করছে। বলছে- ‘নো- হালাল ফুড’। মানে তাদের দেশে মুসলমানরা কিছুতেই হালাল ফুড খেতে পারবে না। (http://goo.gl/jbc2Og)

আবার মায়ানমারের দিকে তাকান। সেখানে অবস্থা আরো ভয়ানক। মায়ানমারে ডাইরেক্ট সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিরোধী কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিচ্ছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। এদের উস্কানিতেই রোহিঙ্গাদের উপর চলছে জাতিগত নিধন। (http://goo.gl/NbA2og)

থাইল্যান্ডের একই অবস্থা। সেখানে মুসলিম বিরোধী সেন্টিমেন্ট ছড়িয়ে দিচ্ছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। সৃষ্টি করছে সংখ্যালঘু মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার প্লট। (http://goo.gl/Rhyozz)

আসলে সারা বিশ্বে মুসলমানদের উপর জঘন্য নিপীড়ন করার কারণে কথিত অহিংসাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কুৎসিত রূপটা সবাই জেনে ফেলেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তো তারা জনসংখ্যায় সামান্য, তাই সেখানে তো কোনমতে টিকে থাকা প্রয়োজন । তাই বাংলাদেশে গিটিগিটির মত রং পরিবর্তন করে ভালোমানুষি করে ইফতারি বিলি করছে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা, আর সেই ছবি প্রচার করে ঢাকতে চাইছে তাদের কুৎসিত রূপ। বাংলাদেশের এই বৌদ্ধ ভিক্ষুগুলোকে মায়ানমারে ছেড়ে দেন, দেখবেন ঠিক ঠিক রোহিঙ্গাদের রক্ত দিয়ে গোসল শুরু করবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন