বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

হায়! এমন মনযোগী ইলমপিপাসু আজ কোথায়?

পড়ছিলাম লা-মাযহাবী মতবাদের শুরু যুগের একনিষ্ট প্রচারক শায়েখ নওয়াব সিদ্দিক হাসান খানের লিখিত " আলহিত্তা ফী জিকরিস সিহাহ সিত্তাহ" নামক কিতাবটি। 
ইমাম বুখারী রহঃ এর জীবনের আজীব আজীব ঘটনা যা লা-মাযহাবী বন্ধুদের বর্তমান মানসিকতায় শিরক ও উদ্ভট এমন কিছু ঘটনাও সন্বিবেশিত করেছেন খান সাহেব। তাহারা লিখলে তাওহীদ থাকে আমরা লিখলে কিন্তু তাহা শিরক হইয়া যাইবে। এই মূলনীতি সর্বদা মনে রাখিতে হইবে।

যাইহোক পড়ছিলাম ইমাম মুসলিম রহঃ এর জীবনী। নওয়াব সাহেব জীবনী লেখার শেষ প্রান্তে এসে ইমাম মুসলিম রহঃ এর মৃত্যুর কারণ লিখতে গিয়ে একটি ঘটনা এনেছেন। যা আমরা উস্তাদদের মুখে ছাত্র জমানায়ই শুনেছিলাম। আজ আবার পড়ে ভাল লাগল। 
ইমাম মুসলিম রহঃ একদা একটি ইলমী মুজাকারার মজলিসে বসা ছিলেন। ঘটনাক্রমে একজন একটি হাদীস বলল, কিন্তু উক্ত হাদীসটি কোথায় আছে তা হযরতের মনে আসতে ছিল না। তখন তিনি মজলিশ থেকে ঘরে চলে গেলেন। তিনি সে সময় খেজুর খাচ্ছিলেন। খেজুর খেতে খেতেই কিতাবের মাঝে হাদীসটি খুঁজতেছিলেন। মনযোগ সহকারে হাদীস খুজছিলেন। আর অপর হাতে খেজুর একের পর এক মুখে দিচ্ছিলেন। তিনি হাদীস খোঁজায় এতটাই নিমগ্ন ছিলেন যে, খেজুর কতগুলো খাচ্ছেন? পেট ভরে গেছে কি না? এসব কিছুই তার অনুভবে ছিল না। তিনি হাদীস খুঁজতেই আছেন, আর খেজুর খেতেই আছেন। এভাবেই সকাল হয়ে গেল। ভোরের দিকে তিনি হাদীসটিও পেয়ে গেলেন। অপরদিকে তার পাত্রের খেজুরও শেষ হয়ে এল। সেই সাথে অতিরিক্ত খাবার ভক্ষণের কারণে তিনি ইন্তেকাল করলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজেউন। [আলহিত্তাহ ফী জিকরিস সিহাহ সিত্তাহ-৪৪৮]

হে আল্লাহ! আমাদের প্রাণ হয়তো তোমার রাহে কুরবান কর। কিংবা এভাবে ইলম সাগরে সাতার কাটতে কাটতে তোমার দরবারে ডেকে নিও। আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন