ঘাস, লতা, ফুল, পাখি দিয়ে ঘেরা একটি জেলা। সমস্ত জায়গায় প্রায় সমতল। সাইক্লোন, বন্যা, ঝড় কোন কিছুই সেখানে তেমন একটা আঘাত হানে না। অধিবাসীদের ভেতর শান্ত সৌম্যভাব। সবাই যেন কবি। কথায় কথায় কাব্য ঝড়ে পড়ে। এমনিতেই তাদের কথাগুলি দারুণ মিষ্টি। সেই জেলাটির নাম যশোর। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জেলা অর্থাৎ প্রথম জেলা। ১৭৮৬ সালে তৎকালীন ইংরেজ সরকার এই যশোরকে জেলা ঘোষণা করে। তারও আগে যশোর স্বাধীন রাজ্য ছিল। তখন নাম ছিল যশোর রাজ্য বা যশোরাদ্য দেশ। এদেশের শাসনকর্তা ছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য, রাজা সীতারাম রায়, রাজা মুকুট রায়, হযরত বড়খান গাজী, হযরত খান জাহান আলীর মত ব্যক্তিত্বরা। অবশ্য যশোর কবি সাহিত্যিকদের দেশ হিসাবে আবহমান কাল ধরে সকলের নিকট পরিচিত। সেই রূপ সনাতন, শ্রীজীব গোস্বামী হতে শুরু করে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, গোলাম মোস্তফা, ফররুখ আহমদ, ডাঃ লুৎফর রহমান, সৈয়দ আলী আহসান, ড. জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, ড. এম. সমশের আলী, সৈয়দ আলী আশরাফ পর্যন্ত সবাই এ জেলারই সুসন্তান। এজন্য যশোরকে কবি সাহিত্যিকদের তীর্থক্ষেত্র বলা হয়। আজ আমরা সেই যশোরেরই এক কৃতি সন্তান যিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সমাজসেবী ও সংগ্রামী তাঁর কথা বলবো, তাঁর নাম মুনসী মেহেরউল্লা।
মুনসী মেহেরউল্লা ১৮৬১ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমার(বর্তমানে জেলা)অন্তর্গত কালিগঞ্জ থানার ঘোপ গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঘোপ গ্রামটি ঐতিহাসিক বারবাজার সংলগ্ন। এই বারবাজার হতেই সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গে ইসলামের সুমহান বাণী প্রথম প্রচার করেন হযরত বড়খান গাজী(গাজী কালু চম্পাবতী)। এরপর যে মহান মনীষীর আগমনে বারবাজার ধন্য হয় তিনি হযরত খানজাহান আলী। তার বারো জন শিষ্যের নাম অনুসা্রেই এই স্থানের নাম হয়েছে বারবাজার। এখান থেকেই তিনি বাগেরহাট অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। মেহেরউল্লার পৈতৃকবাড়ি চুরামনকাটী(বর্তমানে মেহেরউল্লাহ নগর) সংলগ্ন ছাতিয়ানতলা গ্রামে। তাঁর আব্বা মুন্সী মোহাম্মদ ওয়ারেছ উদ্দীন অত্যন্ত ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন।
অল্পবয়সেই পিতৃহারা হওয়ার কারণে মুন্সী মেহেরউল্লাহ লেখাপড়া বেশিদূর করতে পারেন নি। তাই মায়ের তত্ত্বাবধানে ও নিজের চেষ্টায় তাঁর লেখাপড়া চলতে থাকে। কৈশোর বয়সে তিনি মৌলভী মেসবাহউদ্দীনের কাছে তিন বছর এবং পরে করচিয়া গ্রামের মুহাম্মদ ইসমাঈল সাহেবের কাছে আরো তিন বছর আরবী, ঊর্দূ, ফারসী ভাষা ও সাহিত্য শিখেন। অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি কোরআন ও হাদীসে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করেন এবং শেখ সাদীর গুলিস্তা, বোস্তা ও পান্দেনামা মুখস্ত করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি যশোর জেলা বোর্ডে একটি চাকুরি পান কিন্তু স্বাধীন মনোভাবের কারণে সে চাকুরী ছেড়ে দর্জির কাজ শুরু করেন। দর্জির কাজে তিনি প্রভূত সুনাম অর্জন ও সাফল্য লাভ করেন। সেই সূত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও তাঁর খরিদ্দার ছিলেন এবং তাঁকে দার্জিলিং নিয়ে দোকান করে দেন।
যশোর শহরের কেন্দ্রস্থল দড়াটানায় দর্জির দোকানে কাজ করতে করতে মুন্সী মেহেরউল্লাহ দেখতেন খৃস্টান মিশনারীদের কার্যকলাপ। মিশনারীদের ভয়ভীতি ও প্রলোভনের ফলে প্রচুর নিম্নবর্ণের হিন্দু ও দরিদ্র মুসলমান খৃস্টান ধর্মের দীক্ষিত হয়ে যাচ্ছিল। কোনও রাজনৈতিক নেতাকে এগিয়ে আসতে না দেখে এর বিরুদ্ধে তরুণ দর্জি মুন্সী মেহেরউল্লাহ গর্জে উঠলেন সিংহের মত।
দার্জিলিং অবস্থানকালে তিনি বেদ, উপনিষদ, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক, গ্রন্থসাহেব প্রভৃতি ধর্মগ্রন্থগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়লেন। এ সময় তিনি তোফাজ্জল মুকতাদী নামক একটি ঊর্দূগ্রন্থ হতে বিভিন্ন ধর্মের ত্রুটি বিচ্যূতিগুলি জেনে নিলেন। তাছাড়া হযরত সোলায়মান ওয়ার্সীর লেখা ‘কেন আমার পৈত্রিক ধর্ম ত্যাগ করেছিলাম’, ‘প্রকৃত সত্য কোথায়’ বই দুটি তার জ্ঞানের পরিধিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিল।
তিনি দার্জিলিং হতে ফিরে এলেন যশোরে। খৃস্টানদের মতই তিনি দড়াটানা মোড় হতে বাংলা আসাম ও ত্রিপুরার অলিতে গলিতে সভা সমাবেশ করে খৃস্টান ধর্মের অসারতা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন। এ প্রচারকে বেগবান করার জন্য কোলকাতার নাখোদা মসজিদে বসে মুনসী শেখ আবদুর রহীম ও মুনসী রিয়াজুদ্দীন আহমদ প্রমুখ বিচক্ষণ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গঠন করলেন নিখিল ভারত ইসলাম প্রচার সমিতি। সমিতির পক্ষ হতে বাংলা ও আসামে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দেয়া হয় মুনসী মেহেরউল্লা ওপর।
মুনসী মেহেরউল্লার জ্বালাময়ী ও যুক্তিপূর্ণ বক্তৃতায় মানুষ দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে স্থান নিতে লাগল। যাদের মনে ঘুণ ধরেছিল তারা আবার মনটাকে ঠিক করে নিল। জনমিরুদ্দীনের মত তুখোড় খৃস্টানও কলেমা পড়ে পুনরায় মুসলমান হয়ে গেলেন।
তিনি যে শুধু বক্তৃতা দিতে পারতেন তা নয়, তাঁর কলমের ধারও ছিল দু’ধারী তলোয়ারের মত। জন জমিরুদ্দীন ১৮৯২ খৃস্টাব্দে খৃস্টান বান্ধব পত্রিকায় ‘আসল কোরআন কোথায়’ শিরোনামে একটি উদ্ধত্যপূর্ণ প্রবন্ধ লিখেন। এতে জন সাহেব প্রমাণ করার চেষ্টা করেন আসল কোরআন কোথাও নেই। এহেন অযৌক্তিক প্রবন্ধের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেন মুনসী মেহেরউল্লাহ ‘সুধাকর’ পত্রিকায় ‘ইসায়ী বা খৃস্টানী ধোকা ভঞ্জন’ শিরোনামের এক গবেষণামূলক প্রবন্ধে। এরপর জন জমিরুদ্দীন সুধাকরে অপর একটি ছোট প্রবন্ধ লিখেন। উত্তরে মেহেরউল্লাহ ‘আসল কোরআন সর্বত্র’ শিরোনামের সুধাকরে অন্য একটি সারগর্ভ প্রবন্ধ লেখেন। উক্ত প্রবন্ধ প্রকাশ হওয়ার পর বিরোধী মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এই সময়ে নিকোলাস পাদ্রী অঘোরনাথ বিশ্বাস, রেভারেন্ড আলেকজান্ডার প্রমুখ খৃস্টান ধর্মপ্রচারকগণ মুনসী মেহেরউল্লার সাথে তর্কযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
মুনসী মেহেরউল্লা শুধু খৃস্টানদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন করেন নি, তিনি মুসলমানদের মধ্যে যে সমস্ত কুসংস্কার দেখেছেন তার বিরুদ্ধেও ছিলেন খড়গহস্ত। এ সম্বন্ধে শেথ হবিবুর রহমান সাহিত্যরত্ন তাঁর ‘কর্মবীর মুনসী মেহেরউল্লা’ গ্রন্থের ৮৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, “মুনসী মেহেরউল্লার নানা দিক দিয়ে উৎসাহ ছিল। তিনি মুসলমান সমাজে ব্যবসা বাণিজ্য প্রচলন করার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। উৎসাহ দিতেন কৃষি কাজ করার জন্য। তিনি বলতেন, মুসলমান মিঠাই খাইতে জানে কিন্তু তৈয়ারী করিতে জানে না। পান খাইতে অজস্র পয়সা নষ্ট করে কিন্তু পানের বরজ তৈয়ার করা অপমানজনক মনে করেন। মুনসী মেহেরউল্লা সাহেব মুসলমানগণের মিঠাইয়ের দোকান করিতে, পানের বরজ তৈয়ার করিতে সর্বস্থানে উৎসাহ দিতেন, তাঁহার চেষ্টা বহু স্থানেই ফলবতী হইয়াছিল।”
মুনসী মেহেরউল্লা শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা রাখেন। তিনি নিজেই ১৯০১ সালে নিজ গ্রামের পাশের গ্রাম মনোহরপুরে মাদরাসায়ে কারামাতিয়া নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন যেটা বর্তমানে মুনসী মেহেরউল্লা একাডেমী। তিনি বাংলা আসামের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি মুসলিম সমাজকে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার গুরুত্ব বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।
আমরা এখন সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর জন্য বক্তৃতা বিবৃতি দিই, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের কথা স্মরণ করে ২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস উদযাপন করি। আশ্চর্যের ব্যাপার হল, এরও অনেক আগে অল্প শিক্ষিত মুনসী মেহেরউল্লা মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা কি তা হাড়ে হাড়ে বুঝে ছিলেন। যারা মাতৃভাষাকে ছোট করে দেখতো তাদের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, “মাতৃভাষা বাংলায় লেখাপড়ায় এত ঘৃণা যে, তাহারা তাহা মুখে উচ্চারণ করাই অপমানজনক মনে করেন। এই অদূরদর্শিতার পরিণাম যে কি সর্বনাশা তাহা ভাবিলে শরীর শিহরিয়া ওঠে। যে দেশের বায়ু, জল, অন্ন, ফল, মৎস, মাংস, দুগ্ধ, ঘৃত খাইয়া তাহার শরীর পরিপুষ্ঠ সে দেশের ভাষার প্রতি অনাদর করিয়া তাঁহারা যে কি সর্বনাশের পথ উন্মুক্ত করিতেছে তাহা ভাবিলেও প্রাণে এক ভীষণ আতঙ্ক উপস্থিত হয়।”
উপস্থিত বুদ্ধি মুনসী মেহেরউল্লার এত প্রখর ছিল যে, তৎকালীন সময়ে মুসলমান, হিন্দু ও খৃস্টান সমাজে তাহার সমকক্ষ আর কেউ ছিল না বললেই চলে। উপস্থিত তর্কে তিনি কারো কাছে পরাজিত হয়েছেন এমন কোন তথ্য এ যাবত আমাদের হাতে এসে পৌছেনি। বরং বাংলা আসামের বিভিন্ন অঞ্চলে তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি সম্বন্ধে নানা কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে। তিনি অত্যন্ত রসিক মানুষ ছিলেন। বন্ধুদের রহস্যমূলক প্রশ্নের উত্তর তিনি রহস্য করিয়াই দিতেন।
এই মহান সমাজ সেবক অনেকগুলি বইও লিখেছেন। তার মধ্যে ‘মেহেরুল এছলাম’, ‘হিন্দু ধর্ম রহস্য ও দেবলীলা’, ‘বিধবা গঞ্জনা’, ‘রদ্দে খৃস্টান’ ও ‘দলিলুল এছলাম’ গ্রন্থগুলি খুবই পরিচিত। তাঁর লেখা সাধারণ পাঠকের কাছে খু্বই জনপ্রিয় ছিল। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই লিখেছেন, “যদিও আমি ভালো বাংলা জানি না তথাপি ক্রমে ক্রমে কয়েকখানি পুস্তক পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছি, তদ্বারা সমাজের কতদূর উপকার সাধিত হইয়াছে বলিতে পারি না। তবে এই মাত্র জানি যে, এখন আমি খোদার ফজলে সমুদয় বঙ্গীয় মুসলমানের স্নেহ আকর্ষণ করিয়াছি। আমি দরিদ্র লোকের সন্তান হইলেও আমাকে আর কোন বিষয়ে অভাব অনুভব করিতে হয় না।”
সাহিত্য সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনেকেই তাঁর সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন এবং পরবর্তীকালে তাঁরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে যে নামগুলি উল্লেখযোগ্য তাঁরা হলেন- সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, শেখ হবিবর রহমান সাহিত্যরত্ন, কবি গোলাম হোসেন, মুন্সী শেখ জমিরউদ্দীন বিদ্যাবিনোদ, মওলানা আকরাম খাঁ প্রমুখ।
তিনি বাংলার জনগণের মাঝে এত জনপ্রিয় ছিলেন যে, নোয়াখালির কবি আবদুর রহিম তাঁর আখলাকে আহমদিয়া নামক বইতে লিখেছেন-
মুনসী মেহেরউল্লা নাম যশোর মোকাম।
জাহান ভরিয়া যার আছে খোশ নাম।
আবেদ জাহেদ তিনি বড় গুণাধার।
হেদায়াতের হাদী জানো দ্বীনের হাতিয়ার।
মুনসী মেহেরউল্লা ১৯০৬ সালে তাঁর ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট (চেয়ারম্যান) মনোনীত হন। পরের বছর মাত্র ৪৫ বছর বয়সে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ইসলামী রেনেসাঁর এ অগ্রনায়ক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে সারা বাংলা ও আসাম শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। সেই সময়ের পত্রপত্রিকায় তার মৃত্যু সংবাদসহ সম্পাদকীয় নিবন্ধ প্রকাশ করে। সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী তাঁর শোকোচ্ছ্বাস কবিতায় লিখেছেন-
যার সাধনায় প্রতিভা প্রভায় নতুন জীবন ঊষা
উদিল গগনে মধুর লগণে পরিয়া কুসুম ভূষা।
গেল যে রতন হায় কি কখন মিলিবে সমাজে আর?
মধ্যাহ্ন তপন হইল মগন, বিশ্বময় অন্ধকার।
আজ মুনসী মেহেরউল্লা আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আছে তাঁর কর্মময় জীবন, আছে তাঁর রচিত সাহিত্য। কি করে একজন সামান্য শিক্ষিত এতিম বালক পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসের জোরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠতে পারে, কি করে খৃস্টান মিশনারীদের অপতৎপরতার হাত হতে স্ব-সমাজকে রক্ষা করতে পারে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ মুনসী মেহেরউল্লা। ছোট বড় সবার উচিত তাঁর জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করা। তাঁর কর্মময় জীবনের এবং সাহিত্যের ব্যাপক প্রচারও আমাদের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন