মুহাম্মদ
ইউসুফ : শিক্ষা বিষয়ক পরিচালক - আল ফোরকান ফাউন্ডেশন
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক জাতি পারস্পারিক দেখা
সাক্ষাতের সময় ভালবাসা ও সম্প্রীতি আদান প্রদানে কোন কোন বাক্য ব্যবহার করে থাকে।
ইসলাম পূর্বে আরবরা পরস্পর সাক্ষাতে একে অপরকে ‘আল্লাহ তোমাকে জীবিত রাখুন বা
সুপ্রভাত ইত্যাদি সম্ভাষণ করত। বর্তমান দুনিয়ায় ইসলাম ধর্ম ব্যতীত অন্যান্য ধর্মেও
সুপ্রভাত, গুড মর্নিং গুড নাইট ইত্যাদি প্রচলিত আছে। ইসলাম এ ধরণের
পদ্ধতি পরিবর্তন করে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলার নির্দেশ দিয়েছে। আর এ সালামের অর্থ
হলঃ তুমি সর্ব প্রকার কষ্টও বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাক। ইসলামী সালাম যতটুকু
অর্থবোধক অন্য কোনটা এমন নয়। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ্র যিকর, আল্লাহ্র কথা, দু’আ ইত্যাদি করা হয়। অন্য
ধর্মের স্ম্ভাসনে এসব কিছুই নেই। ইসলামী সালাম মানুষকে একথা শিক্ষা দেয় যে, সব সময় আল্লাহ্র নিকট নিরাপত্তা তলব করা। সর্ববিধ বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার
কথা শেখায়। ইবনুল আরাবি বলেনঃ তুমি কি জান সালাম কি? সালামকারি ব্যক্তি বলে তুমি আমার পক্ষ থেকে বিপদ মুক্ত। সালামকারি যেমন বলে যে
তুমি আমার পক্ষ থেকে নিরাপদ, তেমনি ভাবে সালামের উত্তর
প্রদান কারীকে বলা হয়ছে এর প্রতি উত্তরে যেন একই রকম কথা বলে অথবা এরচেয়ে উত্তম
কথা বলে। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ( আর তোমাদেরকে যদি কেউ দু’আ করে,তাহলে তোমরাও তার জন্য দু’আ কর, তার চেয়ে উত্তম দু’আ অথবা
তারই মত করে বল।) সুরা – নিসা ৮৬।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ( হে মুমিনগন, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করোনা, যে পয্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহ বাসীকে সালাম না কর।) নুর-২৭। অপর আয়াতে
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ (অতপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের সজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহ্র কাছ থেকে কল্যাণময় ও
পবিত্র দু’আ।) নুর- ৬১ ।
বুখারির রেওয়ায়েতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ{ আদম সন্তানকে আল্লাহ তায়ালা
তার যথাযথ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন, তার উচ্চতা ছিল ষাট হাত।
তাকে সৃষ্টি করার পর বললেনঃ তুমি যাও এবং উপবিষ্ট ফিরিশতাদের এই দলকে সালাম করো।
এবং মনযোগ সহকারে শুনবে, তারা তোমার সালামের কি জবাব
দেয়। কেননা এটাই হল তোমার ও তোমার বংশধরদের সম্ভাষণ। তখন আদম আঃ গিয়ে বললেনঃ
‘আসসালামু আলাইকুম’।তারা প্রতি উত্তরে বললেনঃ আসসালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ”।
তারা অতিরিক্ত করলঃ “ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বাক্যটি। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, তারা আদম আঃ এর আকৃতি বিশিষ্ট হবে। তারপর থেকে এ পয্যন্ত মানুষের আকৃতি ক্রমশ
হ্রাস পেয়ে আসছে। এমনি ভাবে আমরা যদি মেরাজের ঘটনা আলোচনা করি তাহলে দেখতে পাব
আল্লাহ ও তার রাসুলের মাঝে যে কথোপকথন হয়, সেখানেও সালাম এর প্রসঙ্গ
রয়েছে। এবং সালাম আল্লাহ তায়ালার অন্যতম একটি নাম। রাসুল সঃ বলেনঃ {আল্লাহ তায়ালা নিজেই সালাম।}
সালামের গুরুত্ত অপরিসীম। বাস্তবিক অর্থে এ সুন্দর সম্ভাষণের
মাধ্যমে সৃষ্টি হয় আন্তরিকতা ও ভালবাসা। হাদিসে বলা হয়েছে- সালামের ব্যাপক
প্রচলনের জন্য। শুধুমাত্র পরিচিত লোকজনদের জন্যই নয়। বরং অপরিচিত লোকদেরকেও সালাম
দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। বুখারি ও মুসলিমের রেওয়ায়েতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত। জনৈক
ব্যক্তি নবী করীম সঃ কে জিজ্ঞেস করলঃ ইসলামের কোন কাজ উত্তম? তিনি বললেনঃ {ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া, পরিচিত অপরিচিতকে সালাম দেয়া। ভালবাসা সৃষ্টির কথাও বলেছেন। তিরমিজির বর্ণনায়
বলা হয়েছে-{ হে লোক সকল, তোমরা সালাম প্রসারিত কর, ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান কর, আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখ। লোকজন যখন নিদ্রামগ্ন থাকে তখন নামাজ পড়। জান্নাতে
নিরাপদে প্রবেশ করবে।}
সালাম সম্প্রসারণের মাধ্যমে মহব্বত সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এ
সালামের মাধ্যমেই জান্নাতে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। পরিচিত হোক অথবা অপরিচিত সকলকে
সালাম দিতে হবে। বরং ইহা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব।
শুধুমাত্র সালাম প্রচলনের জন্য বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো যেতে পারে। সালাম হবে
আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের আদর্শ মোতাবেক। ব্যবসায়িক বা নির্বাচনী সালাম নয়।
কিভাবে সালাম দিবে? সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে
কারো সাথে দেখা হল অথবা রাতেই দেখা হল, হয়ত বলল সুপ্রভাত বা শুভ
রাত্রি ইত্যাদি। ইসলাম এসব কিছু সমর্থন করেনা। কারণ এসবতো মানুষের কোন কল্যাণ বয়ে
আনতে পারেনা। আবার কেউ কেউ সালামের উচ্চারণ করতে পারেননা। স্লামুলাইকুম- বা সালাম
অথবা আস্লামুলাইকুম এধরনের উচ্চারণ করে থাকেন। এসবের কোনটাই শুদ্ধ নয়। শুদ্ধ হল-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ । নাসায়ি ও তিরমিজির বর্ণনায় বলা হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি নবী সঃ এর দরবারে আসল এবং বললঃ আসসালামুয়ালাইকুম। নবী সঃ উত্তর
দিলেন এবং বললেনঃ দশ। (দশ নেকি) অতপর দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তি এসে বললঃ আসসালামু
আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। নবী সঃ তার উত্তর দিলেন এবং বললেনঃ’বিশ’ (বিশ নেকি)
তৃতীয় ব্যক্তি এসে বললঃ –আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”। নবী
সঃ তাঁর প্রতি উত্তর দিলেন এবং বললেনঃ “ত্রিশ” (ত্রিশ নেকি)।
বুখারি ও মুসলিমের রেওয়ায়েতে হযরত আয়েশা রাঃ বলেনঃ নবী সঃ আমাকে
বললেনঃ “জিবরাঈল আঃ তোমাকে সালাম বলেছেন। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ ওয়া আলাইহিস সালাম
ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”। উল্লিখিত হাদিস দ্বারা এটাই প্রমাণিত যে, ইসলাম তথা নবী করীম সঃ আমাদের যা শিখিয়েছেন তাই আমাদের ব্যবহার করতে হবে। আদাব
আর নমস্কার মুসলমানের সম্ভাষণ হতে পারেনা।
সালামের আদবঃ- সালাম কে কাকে দেবে? ছোট বড়কে, পদচারি উপবিষ্ট লোককে, অল্প সংখ্যক বেশী সংখ্যক লোককে, আরোহী পদচারিকে। বুখারির
রেওয়ায়েতে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত যে, নবী সঃ বলেছেনঃ { ছোট বড়কে, পথচারী উপবিষ্ট লোককে এবং অল্প সংখ্যক লোক
বেশী সংখ্যক লোককে সালাম দিবে।} বুখারির রেওয়ায়েতে বলা
হয়েছে (আরোহী ব্যক্তি পদচারিকে সালাম করবে।) উল্লিখিত নিয়ম হল সালামের নিয়ম। কারণ
পদচারি উপবিষ্ট লোককেই দেয়া সমীচীন। ছোটরা বড়দের সম্মান করবে। আর সালাম হল সম্মান
করার একটি পদ্দতি। এমনিভাবে আরোহী ব্যক্তি পদচারিকে এজন্য দিবে যে, তার মধ্যে যেন অহংকার না আসে। তাছাড়া সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি হল যে সর্ব প্রথম
সালাম দেয়। নবী সঃ যখন কোন কওমের নিকট যেতেন তখন তাদের সালাম দিতেন। আবার তাদের
কাছ থেকে ফেরার পথেও সালাম দিতেন।
আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছে- নবী সঃ বলেনঃ ( কেউ যদি তার
সাথীর সাথে দেখা হয়, সে যেন তাকে সালাম দেয়। যদি
উভয়ের মাঝে দেয়াল অথবা গাছ প্রতিবন্ধক হয় এবং পুনরায় দেখা হয়, তাহলে যেন আবার সালাম দেয়।
তিরমিজির বর্ণনায় বলা হয়েছে – হযরত আনাস রাঃ বলেনঃ রাসুল সঃ
আমাকে বলেছেনঃ (হে বৎস! যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে, তখন সালাম কর। কারণ এতে তোমার ও তোমার ঘরে বরকত হবে।) ঘরের মধ্যে কেউ না
থাকলেও বলাটা উত্তম। কারণ ইহাতো আল্লাহ্র যিকর। যিকরতো আর বিফল হতে পারেনা। এতে
অবশ্যই বরকত আছে। আর ঘরে যদি কেউ না থাকে তাহলে বলতে হবে “আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা
ইবাদিল্লাহিস সালেহিন”।
সালাম সব সময় ছোটরাই বড়দের দিতে হবে এমন নয়। বরং বড়রাও মাঝে
মধ্যে ছোটদের দিতে হয়। এমন অনেক লোক আছেন যারা সালাম খুঁজে বেড়ান। মনে করেন আমি
কেন সালাম দেব? উস্তাদ মনে করেন আমি কেন দেব, ছাত্ররাই আমাকে দেবে। অথবা উপরস্ত অফিসার মনে করেন তার অধিনস্তরা তাকে সালাম
করবে। এ ধারণা করাটাই উচিত নয়। বড়রাও ছোটদের সালাম দিতে পারেন। এমনকি ছোট
বাচ্চাদেরও সালাম দেয়া যেতে পারে। এতে কর্তা ব্যক্তির সম্মানে সামান্যতম ব্যাঘাত
ঘটবেনা। বরং এর মাধ্যমে তাদেরকে সালাম শিক্ষা দেয়া হবে।
বুখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছে রাসুলে কারিম সঃ একবার
একদল শিশুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদেরকে সালাম
করলেন”। কারো ঘরে যদি সন্তানাদি থাকে আর বাবা মা যদি প্রত্যেকদিন আসা যাওয়ার সময়
এভাবে সালাম করে, তাহলে দু’দিন পর সন্তানরাও
তাই করবে। শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত আগামী প্রজন্মকে
সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা।
পুরুষে পুরুষে যেমন সালাম বিনিময় করা যায়, তেমনি ভাবে মহিলারাও নিজেদের মধ্যে সালাম বিনিময় করতে পারে। পুরুষ মহিলাও
সালাম বিনিময় হতে পারে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও সালাম বিনিময় হতে পারে। যদিও অজ্ঞতা
বশত অনেকে স্বামী স্ত্রীর সালাম বিনিময় নিয়ে হাসি তামাসা করেন। অথচ স্বামী স্ত্রীর
সালাম দ্বারা উভয়ের মাঝে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। দাম্পত্য জীবনেও শান্তি নেমে আসে।
এমনিভাবে কোন ফিতনার ভয় না থাকলে অপরিচিতা মহিলাকেও সালাম দেয়া যাবে।
তিরমিজির রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে, “রাসুল সঃ একদিন মসজিদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, সেখানে কিছু সংখ্যক মহিলা বসা ছিল। তখন তিনি তাদেরকে সালাম করলেন এবং হাত দিয়ে
ইশারা করলেন”।
অনেকে শুধু হাত দিয়ে ইশারা করেন, এতে সালাম আদায় হবেনা। বরং সালাম দিতে হবে। অবশ্য দূরে থাকলে সালাম বূঝানোর
জন্য হাত উঠিয়ে ইশারা করা যেতে পারে। মাথা নত করা যাবেনা।
একাকী কোন যুবতী মেয়ে কোন পুরুষকে সালাম দেয়া জায়েজ নয়। এতে
ফিতনা হতে পারে। বৃদ্ধা, বয়স্কা মহিলাকে সালাম দেয়া
যাবে। কোন একাকী পুরুষ কোন যুবতী মেয়েকেও সালাম দেয়া মাকরুহ।
একে অপরের সাথে যখন দেখা সাক্ষাৎ হয় তখনতো সালাম বিনিময় হয়।
কিন্তু যখন একজন আরেকজনকে দূর থেকে সালাম পোছায় তখন কি করতে হবে? নিয়ম হল, যিনি খবর নিয়ে এলেন তার এবং সালাম দাতারও
উত্তর দিবে। আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছে জনৈক ব্যক্তি নবি সঃ কে বললেনঃ আমার
পিতা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। তিনি প্রতি উত্তরে বললেনঃ (তোমাকে এবং তোমার পিতাকেও
সালাম।)
মুসলিম ও মুশরিকদের মিশ্রিত মজলিসে সালাম দেয়াঃ-
বুখারির রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে নবী করীম সঃ একবার এমন একটি মজলিস
অতিক্রম করছিলেন, যেখানে মুসলমান, মুশরিক ও ইয়ুদী ছিল। নবী সঃ তাদেরকে সালাম করলেন এবং তাদেরকে আল্লাহ্র প্রতি
আহবান করলেন।
বুখারির অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে- নবী সঃ যখন হেরাকল এর নিকট
চিঠি লিখলেন, তখন লিখলেন( আসসালামু আলা মানিত তাবায়াল
হুদা)
মুসলিমের অন্য রেওয়ায়েতে বলা হয়েছে যে, তোমরা ইহুদী খ্রিষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবেনা। বরং বুখারি ও মুসলিমের অন্য
খানে বলা হয়েছে, আহলে কিতাবরা যখন তোমাদের সালাম করবে তখন
ইহুদী গন আসসালাম শব্দ উচ্চারণ করেনা। তারা বলে আসসামু আলাইক, যার অর্থ হল তোমার ্মুত্যু হোক । এজন্যই বলা হয়েছে তাদের সালামের প্রতি উত্তরে
শুধুমাত্র ওয়া আলাইকুম বলবে।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে সালাম অর্থ শান্তি, নিরাপত্তা। একজনকে সালাম দিয়ে একথাই জানিয়ে দেয়া হয় যে, তুমি আমার কাছ থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি পাচ্ছ। এজন্য বলা হয়েছে যার জিহ্বা
এবং হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ সেই প্রকৃত মুসলমান। এসব নিরাপত্তা ছাড়াও রয়েছে
অনেক উপকার।
- মুসলমান ভাইয়ের প্রতি
ভালবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশ পায়।
- মুসলমান ভাইয়ের সাথে এ
চুক্তি যে, আমার দ্বারা কোন ক্ষতি হবেনা।
- এর দ্বারা আল্লাহ্র কথা
মনে করিয়ে দেয়া হয়।
- এর দ্বারা একে অপরের প্রতি
দু;আ করা হয়।
আসুন! আমরা সালামের ব্যাপক প্রচলন করি ।এর মাধ্যমে নিজেদের
মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তুলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন