বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বাধীন নারীর গল্প


পুঁজিবাদী ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একজন ক্ষমতায়িত, স্বাবলম্বী ও স্বাধীন নারীর গল্প তার নিজের মুখে শুনুন.....পৃথিবীব্যাপী নষ্টভ্রষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোক বিতরণকারী হলুদ মিডিয়াতে যে সব নারীদের গল্প এ জীবনব্যবস্থার সফলতার স্মারক হিসাবে উপস্থাপন করা হয়, যাদের দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় এ ব্যবস্থায় নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কত উদার, কত আধুনিক, কতই না মহৎ....আমাদের বোঝানো হয়, এ ব্যবস্থায় নারীরা আজ ঘরে-বাইরে কত সফল.....আর সেই সাথে ইনিয়ে বিনিয়ে ইসলামপন্থীদের ব্যাকডেটেড ঘোষণা করা হয়....... 


“গত ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইকুয়াল টাইমস ডট অর্গে আইদান ম্যাকোয়েদ এক ‘অজন্তা’র কাহিনী প্রকাশ করেছিলেন। অজন্তা ( প্রকৃত নাম নয়) বাংলাদেশের এক গরিব ঘরের মেয়ে। তিনি লেবাননে চাকরি নিয়ে আসেন। কারণ তিনি তার ছেলের স্কুল খরচ চালাতে চেয়েছিলেন। ছেলেকে আইনজীবী করবেন। 

অজন্তা’র ভাষ্য: ““আমি কাজ পেয়েছিলাম বৈরুতের এক সচ্ছল নারী ডাক্তার পরিবারে। প্রথম দিনেই ম্যাডাম ডাক্তার আমার পাসপোর্ট ও চুক্তিপত্র কেড়ে নেন। আমার মনে হলো আমাকে যেন বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। থালাবাসন মাজা থেকে রাজ্যের সব কাজ আমাকে করতে হতো। আর দিন দিন তা বাড়ছিল। প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। এটা আমাকে দুর্বল ও রুগ্‌ণ করে তোলে। আমাকে মৌখিক রূঢ় আচরণ ও মাঝে মধ্যে দৈহিক নির্যাতন সইতে হতো। যেদিন কফি দিতে দেরি হতো, সেদিন আমাকে থাপ্পড় মারা হতো। একদিন এত জোরে আমার কানে থাপ্পড় দেয়া হলো যে, প্রায় ২০ মিনিট লাগলো স্বাভাবিক হতে। রাতে ডাক্তারের ছোট ভাই আমার ঘরে আসতেন এবং নিপীড়ন চালাতেন। তিন বছর পরে আমি পালালাম।” 


বৈরুতের শাবারায় এখন অজন্তা একটি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দিনে গৃহপরিচারিকা, রাতে যৌনকর্মী........।” 

নারীর ক্ষমতায়ণ, স্বাধীনতা, উদার মূল্যবোধের কি চমৎকার উদাহরণ! 

আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন, “আল্লাহ’কে বাদ দিয়ে এই সমস্ত লোকেরা আর যে সব শক্তিকে ডাকে তারা তাদের আহবানে কোন সাড়া দিতে পারে না। তাদের ডাকা তো এমন ব্যাপার যে, কেউ পানির দিকে হাত প্রসারিত করে তার নিকট আবেদন জানায় যে, পানি যেন তার মুখের মধ্যে পৌঁছে যায়। অথচ, তা কখনও পৌঁছাবে না। ঠিক এমনি ভাবে কাফেরদের সাহায্যের আহবান তো তাৎপর্যহীন। বস্তত: তা ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।” [সুরা রা’দ: ১৪] 

ঈমানদার ভাই-বোনেরা, এরপরেও কি আপনারা জীবনের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য “আল্লাহ’কে বাদ দিয়ে কাফির সম্প্রদায় প্রদত্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কাছেই সাহায্য চাইবেন? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন