বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

মফস্বল থেকে আসা নারীদের শহুরে জীবন - দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস/

মফস্বল থেকে আসা নারীদের শহুরে জীবন - দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস/ফ্যাক্টরিতে কাজ করা, ক্লান্ত হয়ে বাসায় যাওয়া, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানো, রান্নাবান্না শেষ করে সবার পরে ঘুমাতে যাওয়া আর সেই ভোর বেলা টেম্পু/বাস করে ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থায় অফিস যাওয়া জীবিকার জন্য। খুব কষ্টের এই দৃশ্যটা প্রতিদিন দেখা লাগে আমাদের। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা 'নারী ক্ষমতায়নের' নামে মেয়েদের রাস্তায় একা ছেড়ে দিয়েছে ছেলেদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য। চটকদার বুলির মাধ্যমে কোন পরিবেশের ভেতর নারীদের বর্তমান সমাজ এই প্রতিযোগিতায় নামাচ্ছে? এ বছর প্রথম ছয় মাসে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৭৮ জন নারী ও শিশু, আর ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে ৪৪ জনকে। কোন সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারছে না রাষ্ট্র, এটা জানা সত্ত্বেও আমাদের বিশিষ্ট সিভিল সোসাইটি ও বুদ্ধিজীবীরা নারীদের অনুপ্রাণিত করেই যাচ্ছেন ছেলেদের সাথে টেক্কা দিতে। কর্মক্ষেত্রে নারীরা ধর্ষিত হোক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহকর্মীদের দ্বারা) অথবা রাস্তায় ছিনতাই এর মুখে পরুক, নারীদের রাস্তায় নামাতেই হবে। অন্যদিকে, ক্যারিয়ারের স্বার্থে আপন ছেলে মেয়েদের কাজের মেয়েদের হাতে বড় হতে দেয়া হোক অথবা ক্যারিয়ারিস্ট হতে গিয়ে সহকর্মীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে নিজের সাজানো সংসার ভেঙ্গে গেলেও, পুঁজিবাদী ভোগ সর্বস্ব জীবনাদর্শের দিকে আঙ্গুল তোলা যাবে না। সব মেনে নিতে হবে তথাকথিত 'নারী ক্ষমতায়নের' খাতিরে। নারীদের 'বলীর পাঠা' বানিয়ে হলেও পুঁজিপতিরা নিজেদের ব্যবসা ও মুনাফা টিকিয়ে রাখবে।
বিষাক্ত পুঁজিবাদ (যেটার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হল গণতন্ত্র) এর চরম মুল্য দিচ্ছে মেয়েরা, আর তাদের এই করুন অবস্থার জন্য *অন্যতম* দায়ী শ্রেণীটি হল আমাদের বুদ্ধিজীবী, যারা এখনো নারাজ পুঁজিবাদী গণতন্ত্রের ভুল মেনে নিতে। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চিন্তায় পরেছেন কেন "শান্তিপ্রিয়, সংগীতপ্রিয় বাঙালির" চরিত্রে অপরাধ প্রবনতা বেড়ে যাচ্ছে। কেন বাড়ছে সেটা বলছে না। সুলতানা কামাল মনে করছেন বিচারহীনতার কারণেই অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। আমেরিকার Houston-এ পাঁচ দিন আগে ডেভিড কনলি নামে এক ব্যক্তি একই পরিবারের ৮ জনকে মাথায় গুলি করে মেরেছে। কোনলি এর আগে প্রতিবার তাঁর প্রতিটা অপরাধের জন্য সাজা খেটে এসেছিল। আমেরিকাতে তো বিচারহিনতা নর্ম না। তাহলে সেখানে কেন বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থা? গতকাল পিনাকী ভট্টাচার্যের স্ট্যাটাসে সলিমুল্লাহ খানের এই বিষয়ে লেখা একটি আর্টিকেল পড়ে দেখলাম টিপিকাল একাডেমিক আতলামি ছাড়া সেসব লেখায় কিছু নাই। মৌলিক আলোচনা নেই লেখাটিতে।
দাসত্বমনা's photo.
ইসলামী শরিয়ায় 'নারী' হল অতি সম্মানের এবং মুল্যবান একটি সত্তা, যার ভরন পোষণের ফরয দায়িত্ব হল পুরুষদের। জান্নাত হারাতে হতে পারে এই দায়িত্বে অবহেলার কারনে। পুরুষ সক্ষম না হলে সেই দায়িত্ব নেবে খিলাফত রাষ্ট্র। নারীদের "সামাজিক মুল্য" অপরিসীম। "নারী ক্ষমতায়নের" নামে কিছু Masculine Standard কে মিট করতে গিয়ে পারিবারিক বন্ধন দুর্বল ও ধ্বংস হতে ইসলাম দেয় না। রাসুলুল্লাহর (সা) প্রিয় চাচা হামযাকে (রা) যিনি খুন করেছিলেন সেই হিন্দ বিনত 'উতবা (যিনি পরবর্তীতে মুসলিম হয়েছিলেন) একদিন রাসুলের কাছে তাঁর স্বামী আবু সুফিয়ানের ব্যাপারে বিচার নিয়ে এসেছিলেন। বলেছিলেন আবু সুফিয়ান খুবই কৃপণ স্বভাবের যে ঠিকমতো ভরন পোষণ দেয় না। রাসুলুল্লাহ বলেন নি "তোমাদের নিজেদের ক্যারিয়ার নিজেদের গড়তে হবে, পুরুষদের দেখিয়ে দিতে হবে তোমারাও পার", বরং বলেছিলেনঃ আবু সুফিয়ানের অনুমতি না নিয়েই যে টাকা প্রয়োজন তা তার সিন্দুক থেকে নিয়ে ফেলতে। [বুখারি]।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন