বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

পীরকে কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক মনে করা, তার কাছে গিয়ে সন্তান চাওয়া

পীরকে কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক মনে করা, তার কাছে গিয়ে সন্তান চাওয়া, বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি কামনা করা ইত্যাদি কাজের হুকুম কী? কিছু লোক মাজারে গিয়ে এসব চায়। আবার জিন্দা পীরকেও এসব বিষয়ে ক্ষমতাবান মনে করে। এমন ধারণা করা ঠিক নয়?
___________________
কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। 
রিযিকদাতা,সন্তানদাতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতিদানকারী এবং 
মনোবাঞ্ছা পূরণকারী একমাত্র আল্লাহ। 
কোনো পীর, তিনি জীবিত হোন বা মৃত এসব কাজের ক্ষমতা রাখেন না।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, -
বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ তাআলা আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সেই অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁর উপরই নির্ভর করে।’ (সূরা যুমার : ৩৮)
বোঝা গেল, কল্যাণ-অকল্যাণএবং উপকার-অপকারের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
অন্যত্র এসেছে, - ‘আল্লাহ ব্যতীত এমন কোনো স্রষ্টা আছে কি যে তোমাদেরকে আসমান ও জমিন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। অতএব তোমরা কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছ।’
(সূরা ফাতির : ৩)
রিযিকের বরকত একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে। সন্তানসন্ততিও আল্লাহই দান করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।
এ মর্মে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, - আসমান ও জমিনের রাজত্ব আল্লারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল।’
(সূরা শুরা : ৪৯-৫০)
অতএব বোঝা গেল আল্লাহ তাআলা ব্যতীত কারো কাছে সন্তান চাওয়া,
কাউকে লাভক্ষতির মালিক মনে করা,
আয়-উপার্জনে উন্নতিদানকারী মনে করা সম্পূর্ণ শিরক ও ঈমান পরিপন্থী আকীদা।
কেউ যদি কখনো এমন কাজ করে থাকে তাহলে তাকে খাঁটি অন্তরে তওবা করে নতুনভাবে ঈমান আনয়ন করতে হবে এবং এগুলো যে একমাত্র আল্লাহ তাআলারই ক্ষমতা এ ব্যাপারে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন