বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫

নারীদের সাজ-সজ্জা,

নারীদের সাজ-সজ্জা, সুগন্ধি ব্যবহার করে বাড়ী থেকে বের হওয়া নিষেধ। যদি একান্ত বের হতেই হয় তাহলে বেশী সাজ-সজ্জা করে বের হওয়া যাবে না। যাতে করে কোন পর পুরুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হতে না পারে এবং তাদের দেখে বখাটেরা তৃপ্তি অনুভব না করে। তাদের প্রতি যেনো কুদৃষ্টিতে না তাকায়, কটুক্তিমূলক হাসি-ঠাট্টা না করতে পারে।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।"
[সূরাঃ নূর-৩১]
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, "হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়, এতে তাদেরকে চেনা অধিক সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।"
[সূরাঃ আহযাব-৫৯]
এ ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) বলেন," মহিলারা হলো গোপনে থাকার সত্তা। সে যদি ঘর থেকে বের হয় তাহলে শয়তান তার প্রতি দৃষ্টি উচুঁ করে তাকাতে থাকে।"
[তিরমিযী শরীফ]
নারীদের মূল্য অনেক অনেক বেশি কিন্ত নারীরা তা বুঝে না। তারা নিজেরাই নিজেদের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। পর্দা ছেড়ে আজ তারা রাস্তায় নেমে এসেছে। আর সেজন্যই তারা ভোগের পণ্য হয়ে গেছে।
আজ তারা এতোটাই নিচে নেমে এসেছে যে, যার কারণে তারা হয়ে পড়েছে একেবারেই মূল্যহীন। আর সেজন্যই আজকের বর্তমান সমাজ তাদের গুরুত্ব, মর্যাদা আঁচ করতে পারছে না বরং তাদেরকে মনে করা হয় অতি সাধারণ ও নিম্ন মানের এক জাতী।
নারীদের যেখানে সেখানে পাওয়া যায়। যেকোন কাজে তাদের ব্যাবহার করা যায়। আজ প্রতিটা টিভি চ্যানেলে প্রতিটা এডে নারীদেরই ব্যাবহার করেছে। আর নারীরাও নিজেদের শরীর দেখানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। ধিক্কার এই নারী জাতীকে। তাদের দ্বারা কি এই কাম্য ছিলো?
নারীরা যদি পর্দার বিধান মেনে চলে তাহলে তাদের মূল্য বহুগুণে বেড়ে যাবে। পুরুষেরা তাদের সম্মান দেখাতে অবশ্যই বাধ্য হবে। সারা পৃথিবী তাদের পিছনে ঘুরবে কারণ, নারী জাতী ছাড়া শুধু পুরুষ জাতী নয় বরং সারা পৃথিবীই অচল।আর পর্দাই হলো নারীরদের সতীত্ব রক্ষার একমাত্র রক্ষাকবচ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মা-বোনদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক তারা যেনো সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে।আমীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন