বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

যৌতুক চাওয়ায় কি কি অপকারিতা

১,,,যৌতুক চাওয়া মানে ভিক্ষা করা যা নিকৃষ্ট কাজ
২,,,,যৌতুক চাওয়া মানে নিজেকে গরুর মত বিক্রি করে দেওয়া।
৩,,,যৌতুক চাওয়া মানে আল্লাহর আদেশের বিপরীত কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
বর্তমান বিবাহের মূল স্তম্ভ! বউ কেমন হবে না হবে,
তার দ্বীন ও চরিত্র কেমন সে তো গৌণ বিষয়।
মুখ্য বিষয় হল, ‘কত কি দিতে পারবে?’ তাই তো নতুন জামাই শবশুর বাড়ি গেলে ‘জামাইটা কার?’
প্রশ্নের উত্তরে একই কথা বলা হয় ‘জামাই টাকার!’
যৌতুক এক আশ্চর্য যাদু! পণের ‘সোনার কাঠি’ ও যৌতুকের ‘রূপার কাঠি’ দ্বারা মেয়ে শবশুরবাড়িতে ইচ্ছাসুখ পেতে পারে।
৪,,,, জাহান্নামকে জান্নাত এবং জান্নাতকে জাহান্নাম বানাতে পারে!
৫,,,,পণ; নারীর অবমাননা, নারীর মর্যাদায় কুঠারাখাত, তার অধিকার হরণ।
৬,,,, যুবজীবনের অভিশাপ। অশান্তির বিষাক্ত দাবানল।
৭,,,,স্ত্রীর নিকট ব্যক্তিত্ব বিক্রয়ের মূল্য।
৮,,,,ইসলামী বিধানের নির্লজ্জ বিরুদ্ধাচরণ।
৯,,,অর্থ-লোলুপতা, শোষণ ও পীড়ন।
পণ; এক প্রকার ঘুষ। আর প্রিয় নবী (সাঃ) ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই অভিশাপ করেছেন।
((( ইরওয়াউল গালীল ২৬২১))
১০,,,, অসৎ উপায়ে অন্যের অর্থ আত্মসাৎ।
আর আল্লাহ বলেন,
﴿وَلاَ تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُوا بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُوا فَرِيقاً مِنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالأ<ِثْمِ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ﴾
‘‘তোমরা অন্যায় ভাবে একে অপরের সম্পদ গ্রাস করো না এবং জেনে-শুনে লোকেদের ধন সম্পদের কিয়দংশ অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে উৎকোচ দিও না।
((( সুরা বাকারা ১৮৮)))
বরপণের মাল হারামের মাল। কন্যাপক্ষের কথায় ‘হারামের মাল হারামে যাক।’
কারণ, সাধারণতঃ তা হয়, পূর্ব থেকেই ‘ফিক্স্ড ডিপোজিট’ করা সূদের অর্থ অথবা চুরি বা হরফ করা অথবা ভিক্ষা করা যাকাতের টাকা।
পণে দেওয়া হালাল টাকা খুব কমই হয়।
হালাল হলেও পণের নর্দমায় পড়ে তা হারামে পরিণত হয়ে যায়।★★★★
======================
হে আল্লাহ তোমি আমাদের
যৌতুক চাওয়া হতে হেফাযত করো।( আমিন) 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন