‘‘আমি ইমাম ওয়াকী’ (রহ.)'র মতো কাউকে দেখি নি। তিনি ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)'র মত অনুযায়ী ফাতাওয়া দিতেন।’’
.
[আলইনতিকা, ইবনে আব্দিল বার মালিকী; পৃ. ১৩৬]
.
এত বড় ইমাম যদি ইমাম আবূ হানীফার অনুসরণ করেন, তাহলে আমার মতো মূর্খ আবূ হানীফার মত অনুযায়ী আমল করলে অসুবিধা কোথায়?
.
মূল আরবীঃ
.
نَا حَكَمُ بْنُ مُنْذِرِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ نَا يُوسُفُ بْنُ أَحْمَدَ بِمَكَّةَ قَالَ نَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الأَعْرَابِيِّ قَالَ نَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ وَكِيعٍ وَكَانَ يُفْتى برأى ابى حنيفَة
.
ইমাম হাফিয, মুহাদ্দিসুল ইরাক ওয়াকী’ ইবনুল জাররাহ (রহ.) ছিলেন মুসলিম উম্মাহ’র একজন অনেক বড় ইমাম।
.
ওয়াকী’ (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন- তাঁরই অন্যতম উস্তাদ আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস ইমাম সুফইয়ান ছাওরী (রহ.); আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহ.); ইমাম ফযল ইবনে মূসা (রহ.) [এঁনারা দুইজনই ওয়াকী’ (রহ.) থেকে বড় ছিলেন]; ইয়াহইয়া বিন আদম; আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী; আহমাদ বিন হাম্বল; ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন; ইবনে আবী শাইবা (রহ.) সহ প্রমুখ মহান মহান মুহাদ্দিসগণ।
.
[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ইমাম যাহাবী; ৮ম খণ্ড; পৃ. ১৪২]
.
তাঁর সম্পর্কে ইমামদের মতামতঃ
.
ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.) বলেন,
.
ﻗﺎﻝ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﻣﻌﻴﻦ : ﻭﻛﻴﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻪ ﻛﺎﻷﻭﺯﺍﻋﻲ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻪ
.
অর্থাৎ ‘‘ওয়াকী (রহ.) তাঁর সময়ের ইমাম আওযায়ী (রহ.)।’’
.
আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেন,
.
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ : ﻣﺎ ﺭﺃﻳﺖ ﺃﺣﺪﺍ ﺃﻭﻋﻰ ﻟﻠﻌﻠﻢ ﻭﻻ ﺃﺣﻔﻆ ﻣﻦ ﻭﻛﻴﻊ
.
অর্থাৎ ‘‘আমি ওয়াকী’ (রহ.)'র চেয়ে বড় আলেম এবং হাদীসের হাফেয দেখি নি।’’
.
[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ইমাম যাহাবী; ৮ম খণ্ড; পৃ. ১৪৪]
.
উক্ত বর্ণনার সনদ পর্যালচনাঃ
.
১ম রাবীঃ হাকাম ইবনু মুনযির ইবনু সাঈদ (রহ.)। তিনি আল্লামা ইবনে আব্দিল বার মালিকী (রহ.)'র উস্তাদ ছিলেন। বিস্তারিত জানুনঃ কমেন্টে।
.
২য় রাবীঃ ইউসুফ বিন আহমাদ (রহ.)। তিনি অনেক বড় মুহাদ্দিস ইমাম ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইমাম যাহাবী’র সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-র ২১ নং খণ্ডের ২২১ পৃ. দেখুন।
.
৩য় রাবীঃ আবূ সাঈদ ইবনুল আ’রাবী (রহ.)। তিনি বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী এবং হাফেযে হাদীস ছিলেন। ইমাম যাহাবী তাঁকে ‘শায়খুল ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেছেন। বিস্তারিত দেখুন- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা’র ১৫ নং খণ্ডের ৪০৭ পৃ. থেকে তাঁর আলোচনা শুরু।
.
৪র্থ রাবীঃ আব্বাস আদ্দূরী (রহ.)। তিনি ২১৭ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তিনি হাফেযে হাদীস ছিলেন। ‘‘ছিকাহ’’ তথা নির্ভরযোগ্য।
.
[আলইনতিকা, ইবনে আব্দিল বার মালিকী; পৃ. ১৩৬]
.
এত বড় ইমাম যদি ইমাম আবূ হানীফার অনুসরণ করেন, তাহলে আমার মতো মূর্খ আবূ হানীফার মত অনুযায়ী আমল করলে অসুবিধা কোথায়?
.
মূল আরবীঃ
.
نَا حَكَمُ بْنُ مُنْذِرِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ نَا يُوسُفُ بْنُ أَحْمَدَ بِمَكَّةَ قَالَ نَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ الأَعْرَابِيِّ قَالَ نَا عَبَّاسٌ الدُّورِيُّ قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ وَكِيعٍ وَكَانَ يُفْتى برأى ابى حنيفَة
.
ইমাম হাফিয, মুহাদ্দিসুল ইরাক ওয়াকী’ ইবনুল জাররাহ (রহ.) ছিলেন মুসলিম উম্মাহ’র একজন অনেক বড় ইমাম।
.
ওয়াকী’ (রহ.) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন- তাঁরই অন্যতম উস্তাদ আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস ইমাম সুফইয়ান ছাওরী (রহ.); আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীস ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহ.); ইমাম ফযল ইবনে মূসা (রহ.) [এঁনারা দুইজনই ওয়াকী’ (রহ.) থেকে বড় ছিলেন]; ইয়াহইয়া বিন আদম; আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী; আহমাদ বিন হাম্বল; ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন; ইবনে আবী শাইবা (রহ.) সহ প্রমুখ মহান মহান মুহাদ্দিসগণ।
.
[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ইমাম যাহাবী; ৮ম খণ্ড; পৃ. ১৪২]
.
তাঁর সম্পর্কে ইমামদের মতামতঃ
.
ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রহ.) বলেন,
.
ﻗﺎﻝ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﻣﻌﻴﻦ : ﻭﻛﻴﻊ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻪ ﻛﺎﻷﻭﺯﺍﻋﻲ ﻓﻲ ﺯﻣﺎﻧﻪ
.
অর্থাৎ ‘‘ওয়াকী (রহ.) তাঁর সময়ের ইমাম আওযায়ী (রহ.)।’’
.
আহমাদ বিন হাম্বল (রহ.) বলেন,
.
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ : ﻣﺎ ﺭﺃﻳﺖ ﺃﺣﺪﺍ ﺃﻭﻋﻰ ﻟﻠﻌﻠﻢ ﻭﻻ ﺃﺣﻔﻆ ﻣﻦ ﻭﻛﻴﻊ
.
অর্থাৎ ‘‘আমি ওয়াকী’ (রহ.)'র চেয়ে বড় আলেম এবং হাদীসের হাফেয দেখি নি।’’
.
[সিয়ারু আ’লামিন নুবালা, ইমাম যাহাবী; ৮ম খণ্ড; পৃ. ১৪৪]
.
উক্ত বর্ণনার সনদ পর্যালচনাঃ
.
১ম রাবীঃ হাকাম ইবনু মুনযির ইবনু সাঈদ (রহ.)। তিনি আল্লামা ইবনে আব্দিল বার মালিকী (রহ.)'র উস্তাদ ছিলেন। বিস্তারিত জানুনঃ কমেন্টে।
.
২য় রাবীঃ ইউসুফ বিন আহমাদ (রহ.)। তিনি অনেক বড় মুহাদ্দিস ইমাম ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইমাম যাহাবী’র সিয়ারু আ’লামিন নুবালা-র ২১ নং খণ্ডের ২২১ পৃ. দেখুন।
.
৩য় রাবীঃ আবূ সাঈদ ইবনুল আ’রাবী (রহ.)। তিনি বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী এবং হাফেযে হাদীস ছিলেন। ইমাম যাহাবী তাঁকে ‘শায়খুল ইসলাম’ বলে উল্লেখ করেছেন। বিস্তারিত দেখুন- সিয়ারু আ’লামিন নুবালা’র ১৫ নং খণ্ডের ৪০৭ পৃ. থেকে তাঁর আলোচনা শুরু।
.
৪র্থ রাবীঃ আব্বাস আদ্দূরী (রহ.)। তিনি ২১৭ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তিনি হাফেযে হাদীস ছিলেন। ‘‘ছিকাহ’’ তথা নির্ভরযোগ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন