—সামীউর রহমান শামীম
.
আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনেকেই মূল কিতাবাদী পড়াশোনা না করেই, কারো লেখা অথবা ফিকহ বিদ্বেষী মহাপণ্ডিত (!) শায়খদের কথা আর রেফারেন্স কপি-পেস্ট করে উম্মাতে মুসলিমা’র মহান ব্যক্তিত্বদের ইমাম, যিনি উম্মাতের মাঝে ইমামে আ’যম এবং ইমামুল আইম্মা হিসেবে খ্যাত, তাঁর ব্যাপারে অপপ্রচারে লিপ্ত হন।
.
আমার প্রশ্ন, ভাই! একটি বারও কি আপনি মূল কিতাব পড়ে দেখেছেন যে, উক্ত কিতাবে আবূ হানীফার ব্যাপারে উক্ত কথা বলা হয়েছে কি-না??
.
সহীহ মুসলিমের হাদীস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আল্লাহ’র হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট যে, সে যা শুনলো (যাচাই বাছাই ছাড়াই) তাই প্রচার করে বেড়ায়।’’
.
আমি কাউকে মিথ্যাবাদী বলছি না, সাবধান করে দিচ্ছি, উম্মাতের এই মহান ইমাম আবূ হানীফা নু’মান বিন ছাবিত বিন যওতা আল কূফী (রহ.)'র ব্যাপারে অপপ্রচার করবেন না।
.
আবূ হানীফা তাবেয়ী ছিলেন। সর্বনিম্ন সংখ্যা যা বর্ণিত হয়েছে, তা অনুযায়ী আবূ হানীফা ৮ জন সাহাবী-কে নিজ চোখে দেখে ধন্য হয়েছেন।
.
আবূ হানীফা-কে যে চোখ আল্লাহ তা‘আলা দান করেছিলেন আমি আপনি কিয়ামত পর্যন্ত হাজারো চেষ্টা করলেও আমাদের চোখকে তেমন করতে পারবো না। তাই তাঁর ব্যাপারে কথা বলতে, সাবধানতা অবলম্বন করুন।
.
প্রসিদ্ধ বুযুর্গ শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-কে সবাই চেনেন। তিনি ৪৭১ হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫৬১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তিনি #হাম্বলীমাযহাবী ছিলেন।
.
যাহোক, তিনি তাঁর বিখ্যাত কিতাব, ‘‘গুনিয়াতুত ত্বালিবীন’’ এ #মুরজিয়া ফিরকার আলোচনা করতে গিয়ে মুরজিয়া ফিরকার ১২ টি দলের মধ্যে একটি দল উল্লেখ করেছেন, তাদের নাম #হানাফিয়্যাহ।
.
এই হানাফিয়্যাহ ফিরকার বিষয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন,
.
وأما حنفية فهم أصحاب أبي حنيفة نعمان بن ثابت زعوا أن الإيمان هو المعرفة والإقرار بالله ورسوله وبما جاء عنده جملة على ما ذكره البرهوتي في كتاب الشجرة
.
অর্থাৎ ‘‘হানাফিয়্যাহরা হলো, আবূ হানীফা নু‘মান বিন ছাবিতের অনুসারী। তারা মনে করে যে, আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর নিকট থেকে যা কিছু এসেছে তা শুধু জানার নামই ঈমান এবং মুখে স্বীকার করাই ঈমান (অর্থাৎ মুখে স্বীকার করাই ঈমান, আমল করা ঈমানের অংশ নয়)। যেমনটি বারহূতী তার কিতাবুশ শাজারাহ তে বর্ণনা করেছেন।’’
.
এটাই গুনিয়াতুত ত্বালিবীন কিতাবের ইবারত।
.
এবার আমার প্রশ্ন, কোথায়, কোন জায়গায় আমাদের ইমাম, ইমামদের ইমাম আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলা হইছে ???
.
কোথাও না। এখানে স্পষ্ট বলা হইছে, ‘‘ফাহুম আসহাবু আবী হানীফা…’’ ‘‘তারা আবূ হানীফার অনুসারী।’’
.
মানে আবূ হানীফার কিছু অনুসারীরা মুরজিয়া। আরে বেরেলভী, রেজভী, বেদআতী, মাযারপূজারীরা, মীলাদ-কিয়ামপন্থীরা নিজেদের হানাফী তথা আবূ হানীফার অনুসারী দাবী করে।
.
তারা কি আসলেই আবূ হানীফার অনুসারী??
.
জবাব, কখনই না।
.
তেমনি এরকম আরো অনেক দল রয়েছে, যারা বলে, ফুরূয়ী মাসাইল তথা শাখাগত মাসায়েলের ক্ষেত্রে আমরা আবূ হানীফার আসহাব বা অনুসারী। কিন্তু কখনই তারা আবূ হানীফার অনুসারী নয়। তাদের আকীদা খারাপ, পঁচা, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র বিরোধী তারা।
.
যেমনটি বেদআতীরা নিজেদের আশেকে রাসূল দাবী করে কিন্তু ওরা আশেকে রাসূল নয়। তেমনি দাবী করলেই আবূ হানীফার অনুসারী হওয়া যায় না।
.
দ্বিতীয় কথা, আবূ হানীফা’র আকীদা কি এমনটিই যা মুরজিয়াদের আকীদা??
.
কখনই না। আবূ হানীফা’র আকীদাগুলো আমাদের সামনে স্পষ্ট ও পরিষ্কার। তাঁর নিজের কিতাব ‘‘আল ফিকহুল আকবার’’ এছাড়াও ’‘আল ফিকহুল আবসাত’’ রয়েছে। যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র আকীদার প্রধান কিতাব। সালাফী, দেওবন্দী, মাতুরিদী, আশআরী সকলের নিকট তা সমাদৃত।
.
এছাড়াও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ এর আকীদার সেরা কিতাব ‘‘বায়ানু আকীদাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ’’ যা ইমাম ত্বাহাবী (রহ.) কর্তৃক লিখিত। কিতাবের শুরুতে স্পষ্ট বলা হয়েছে,
.
‘‘হাযা বায়ানু আকীদাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআতি আলা মাযহাবিল আবী হানীফাতান নু’মান ইবনু ছাবিত আল কূফী ওয়া আবী ইউসুফ ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম আল আনসারী ওয়া মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ শায়বানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম…।’'
.
অর্থাৎ ‘‘এটা (আকীদাতুত ত্বাহাবী) আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহর আকীদার বর্ণনা, ইমাম আবূ হানীফা এবং তাঁর প্রধান দুই শাগরিদ আবূ ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রহ.)'র মাযহাবের উপর রচিত।’'
.
সুতরাং ইমাম আবূ হানীফা যেসকল ভ্রান্ত আকীদার খণ্ডণ নিজে করেছেন। সেই সকল ভ্রান্ত আকীদার ধারক আবূ হানীফাকে বলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
.
.
আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনেকেই মূল কিতাবাদী পড়াশোনা না করেই, কারো লেখা অথবা ফিকহ বিদ্বেষী মহাপণ্ডিত (!) শায়খদের কথা আর রেফারেন্স কপি-পেস্ট করে উম্মাতে মুসলিমা’র মহান ব্যক্তিত্বদের ইমাম, যিনি উম্মাতের মাঝে ইমামে আ’যম এবং ইমামুল আইম্মা হিসেবে খ্যাত, তাঁর ব্যাপারে অপপ্রচারে লিপ্ত হন।
.
আমার প্রশ্ন, ভাই! একটি বারও কি আপনি মূল কিতাব পড়ে দেখেছেন যে, উক্ত কিতাবে আবূ হানীফার ব্যাপারে উক্ত কথা বলা হয়েছে কি-না??
.
সহীহ মুসলিমের হাদীস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আল্লাহ’র হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট যে, সে যা শুনলো (যাচাই বাছাই ছাড়াই) তাই প্রচার করে বেড়ায়।’’
.
আমি কাউকে মিথ্যাবাদী বলছি না, সাবধান করে দিচ্ছি, উম্মাতের এই মহান ইমাম আবূ হানীফা নু’মান বিন ছাবিত বিন যওতা আল কূফী (রহ.)'র ব্যাপারে অপপ্রচার করবেন না।
.
আবূ হানীফা তাবেয়ী ছিলেন। সর্বনিম্ন সংখ্যা যা বর্ণিত হয়েছে, তা অনুযায়ী আবূ হানীফা ৮ জন সাহাবী-কে নিজ চোখে দেখে ধন্য হয়েছেন।
.
আবূ হানীফা-কে যে চোখ আল্লাহ তা‘আলা দান করেছিলেন আমি আপনি কিয়ামত পর্যন্ত হাজারো চেষ্টা করলেও আমাদের চোখকে তেমন করতে পারবো না। তাই তাঁর ব্যাপারে কথা বলতে, সাবধানতা অবলম্বন করুন।
.
প্রসিদ্ধ বুযুর্গ শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-কে সবাই চেনেন। তিনি ৪৭১ হিজরী সনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫৬১ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তিনি #হাম্বলীমাযহাবী ছিলেন।
.
যাহোক, তিনি তাঁর বিখ্যাত কিতাব, ‘‘গুনিয়াতুত ত্বালিবীন’’ এ #মুরজিয়া ফিরকার আলোচনা করতে গিয়ে মুরজিয়া ফিরকার ১২ টি দলের মধ্যে একটি দল উল্লেখ করেছেন, তাদের নাম #হানাফিয়্যাহ।
.
এই হানাফিয়্যাহ ফিরকার বিষয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন,
.
وأما حنفية فهم أصحاب أبي حنيفة نعمان بن ثابت زعوا أن الإيمان هو المعرفة والإقرار بالله ورسوله وبما جاء عنده جملة على ما ذكره البرهوتي في كتاب الشجرة
.
অর্থাৎ ‘‘হানাফিয়্যাহরা হলো, আবূ হানীফা নু‘মান বিন ছাবিতের অনুসারী। তারা মনে করে যে, আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর নিকট থেকে যা কিছু এসেছে তা শুধু জানার নামই ঈমান এবং মুখে স্বীকার করাই ঈমান (অর্থাৎ মুখে স্বীকার করাই ঈমান, আমল করা ঈমানের অংশ নয়)। যেমনটি বারহূতী তার কিতাবুশ শাজারাহ তে বর্ণনা করেছেন।’’
.
এটাই গুনিয়াতুত ত্বালিবীন কিতাবের ইবারত।
.
এবার আমার প্রশ্ন, কোথায়, কোন জায়গায় আমাদের ইমাম, ইমামদের ইমাম আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলা হইছে ???
.
কোথাও না। এখানে স্পষ্ট বলা হইছে, ‘‘ফাহুম আসহাবু আবী হানীফা…’’ ‘‘তারা আবূ হানীফার অনুসারী।’’
.
মানে আবূ হানীফার কিছু অনুসারীরা মুরজিয়া। আরে বেরেলভী, রেজভী, বেদআতী, মাযারপূজারীরা, মীলাদ-কিয়ামপন্থীরা নিজেদের হানাফী তথা আবূ হানীফার অনুসারী দাবী করে।
.
তারা কি আসলেই আবূ হানীফার অনুসারী??
.
জবাব, কখনই না।
.
তেমনি এরকম আরো অনেক দল রয়েছে, যারা বলে, ফুরূয়ী মাসাইল তথা শাখাগত মাসায়েলের ক্ষেত্রে আমরা আবূ হানীফার আসহাব বা অনুসারী। কিন্তু কখনই তারা আবূ হানীফার অনুসারী নয়। তাদের আকীদা খারাপ, পঁচা, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র বিরোধী তারা।
.
যেমনটি বেদআতীরা নিজেদের আশেকে রাসূল দাবী করে কিন্তু ওরা আশেকে রাসূল নয়। তেমনি দাবী করলেই আবূ হানীফার অনুসারী হওয়া যায় না।
.
দ্বিতীয় কথা, আবূ হানীফা’র আকীদা কি এমনটিই যা মুরজিয়াদের আকীদা??
.
কখনই না। আবূ হানীফা’র আকীদাগুলো আমাদের সামনে স্পষ্ট ও পরিষ্কার। তাঁর নিজের কিতাব ‘‘আল ফিকহুল আকবার’’ এছাড়াও ’‘আল ফিকহুল আবসাত’’ রয়েছে। যা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র আকীদার প্রধান কিতাব। সালাফী, দেওবন্দী, মাতুরিদী, আশআরী সকলের নিকট তা সমাদৃত।
.
এছাড়াও আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ এর আকীদার সেরা কিতাব ‘‘বায়ানু আকীদাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামা‘আহ’’ যা ইমাম ত্বাহাবী (রহ.) কর্তৃক লিখিত। কিতাবের শুরুতে স্পষ্ট বলা হয়েছে,
.
‘‘হাযা বায়ানু আকীদাতি আহলিস সুন্নাতি ওয়াল জামাআতি আলা মাযহাবিল আবী হানীফাতান নু’মান ইবনু ছাবিত আল কূফী ওয়া আবী ইউসুফ ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম আল আনসারী ওয়া মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ শায়বানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম…।’'
.
অর্থাৎ ‘‘এটা (আকীদাতুত ত্বাহাবী) আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহর আকীদার বর্ণনা, ইমাম আবূ হানীফা এবং তাঁর প্রধান দুই শাগরিদ আবূ ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রহ.)'র মাযহাবের উপর রচিত।’'
.
সুতরাং ইমাম আবূ হানীফা যেসকল ভ্রান্ত আকীদার খণ্ডণ নিজে করেছেন। সেই সকল ভ্রান্ত আকীদার ধারক আবূ হানীফাকে বলার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
.
সর্বশেষ কথা গুনিয়াতুত ত্বালিবীন কিতাবে অনেক জায়গায় শায়খ জিলানী (রহ.) আবূ হানীফা-কে #ইমাম বলেছেন। তাঁর ফিকহ বর্ণনা করেছেন। যেমন—
.
وقال إمام أبو حنيفة الإسفار أفضل
.
অর্থাৎ ‘‘ইমাম আবূ হানীফা বলেছেন, ফজরের উত্তম ওয়াক্ত ইসফার।’’
.
এছাড়াও এই কিতাবে আরো অনেক জায়গায় শায়খ জিলানী ইমাম আবূ হানীফাকে ইমাম বলেছেন ও তাঁর মাযহাব বর্ণনা করেছেন।
.
আচ্ছা, আমাকে বলুন, শায়খ জিলানী যদি আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলেন, তাহলে এক মুরজী ব্যক্তিকে কেন তিনি ইমাম বলবেন?? আর কেনই বা ইমাম বলে তাঁর মত উল্লেখ করবেন ??
.
সুতরাং প্রমাণিত, শায়খ জিলানী কোথাও আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলেন নি, বলেন নি, বলেন নি।
.
আর ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর যোগ্য উত্তরসূরিরা মুরজিয়া নামক ভ্রান্তদের ভ্রান্ত আকীদার খণ্ডণ করেছেন।
.
আর শায়খ জিলানী আবূ হানীফাকে সর্বোচ্চ সম্মাণ ও শ্রদ্ধা করতেন এবং তাঁকে ইমাম মানতেন।
.
আশা করি সকলের নিকট বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। কাতো আপত্তি থাকলে শুধুমাত্র প্রসঙ্গ অনুসারে কমেন্ট করবেন। প্রসঙ্গের বাইরে একটাও কমেন্ট করবেন না। করলে তা রিমুভ করা হবে।
.
আল্লাহ তা‘আলাই উত্তম জানেন।
.
সহায়তা নেয়া হয়েছে, যে কিতাব থেকেঃ
.
দারুল উলূম দেওবন্দের মুহাদ্দিস, হযরত মাওলানা নিআমতুল্লাহ আ‘জমী সাহেব লিখিত ‘‘হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) পার ইরজা কী তুহমত’’ কিতাবের ৩১—৩২ নং পৃ. হতে।
.
وقال إمام أبو حنيفة الإسفار أفضل
.
অর্থাৎ ‘‘ইমাম আবূ হানীফা বলেছেন, ফজরের উত্তম ওয়াক্ত ইসফার।’’
.
এছাড়াও এই কিতাবে আরো অনেক জায়গায় শায়খ জিলানী ইমাম আবূ হানীফাকে ইমাম বলেছেন ও তাঁর মাযহাব বর্ণনা করেছেন।
.
আচ্ছা, আমাকে বলুন, শায়খ জিলানী যদি আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলেন, তাহলে এক মুরজী ব্যক্তিকে কেন তিনি ইমাম বলবেন?? আর কেনই বা ইমাম বলে তাঁর মত উল্লেখ করবেন ??
.
সুতরাং প্রমাণিত, শায়খ জিলানী কোথাও আবূ হানীফাকে মুরজিয়া বলেন নি, বলেন নি, বলেন নি।
.
আর ইমাম আবূ হানীফা ও তাঁর যোগ্য উত্তরসূরিরা মুরজিয়া নামক ভ্রান্তদের ভ্রান্ত আকীদার খণ্ডণ করেছেন।
.
আর শায়খ জিলানী আবূ হানীফাকে সর্বোচ্চ সম্মাণ ও শ্রদ্ধা করতেন এবং তাঁকে ইমাম মানতেন।
.
আশা করি সকলের নিকট বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। কাতো আপত্তি থাকলে শুধুমাত্র প্রসঙ্গ অনুসারে কমেন্ট করবেন। প্রসঙ্গের বাইরে একটাও কমেন্ট করবেন না। করলে তা রিমুভ করা হবে।
.
আল্লাহ তা‘আলাই উত্তম জানেন।
.
সহায়তা নেয়া হয়েছে, যে কিতাব থেকেঃ
.
দারুল উলূম দেওবন্দের মুহাদ্দিস, হযরত মাওলানা নিআমতুল্লাহ আ‘জমী সাহেব লিখিত ‘‘হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) পার ইরজা কী তুহমত’’ কিতাবের ৩১—৩২ নং পৃ. হতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন