ইসলাম মজলুমের পক্ষাবলম্বন করেছে। মজলুম যদি অমুসলিমও
হয়, তবুও তাকে সাহায্য করতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে
রাসূলুুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমার ভাইকে সাহায্য করো।
চাই সে জালিম হোক বা মজলুম। জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! মজলুমের সাহায্যের বিষয়টি তো স্পষ্ট। কিন্তু জালেমকে কীভাবে
সাহায্য করব? তিনি বলেন, তাকে জুলুম থেকে বিরত রাখ। এটাই তার প্রতি তোমার সাহায্য’। (বুখারি শরিফ )
মজলুম মুসলমানদের সাহায্য করা আল্লাহর নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক কুরআনেুল কারীমে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর রাস্তায় অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করছো না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতিত হয়ে ফরিয়াদ করে বলছে, হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালিম এবং তোমার থেকে আমাদের জন্য কোন বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠাও’। (সুরা নিসা:৭৫-৭৬)
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। বিশ্বের যে কোনো স্থানে কোনো মুসলমান আক্রান্ত হলে তার সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা অপর মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। হজরত নোমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনÑ ‘সব মুমিন একই ব্যক্তিসত্তার মতো। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয় তখন তার গোটা শরীরই তা অনুভব করে। যদি তার মাথাব্যথা হয় তাতে তার গোটা শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে। (-মিশকাত শরীফ
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, মুমিনরা পারস্পরিক ভালবাসা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দেহের ন্যায়। দেহের কোনো অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হলে পুরো দেহ সে ব্যথা অনুভব করে। (বুখারি)
একজন মুমিন-মুসলমান আহত হলে তার খোঁজ-খবর ও সহযোগীতা করা অপর মুসলমানের অন্যতমও কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহপাক বান্দার সাহায্যে ততক্ষণ থাকেন, যতক্ষণ সে অপর ভাইয়ের সাহায্যে থাকে। মুমিন মাত্রই একে অন্যের ভাই। এক মুমিন অপর মুমিনের মাঝে এমন ভালবাসা ও আন্তরিকতা থাকবে যে পরস্পর একটি দেহের মতো মনে হবে। একজনের ক্ষতি আরেক জনকে ততটাই আহত করবে যতটা মাথা আঘাত পেলে তার সারা শরীর আহত হয়। বিপদ মুসিবতের সময় একে অন্যের প্রতি আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে। কোন ভাই অসুস্থ বা আহত হলে কিংবা কোন ক্ষতি বা বিপদের সম্মুখীন হলে তাহলে অপর ভাই তার সাহায্যে এগিয়ে আসা। কেউ কারো ইজ্জতহানী করতে চাইলে কেউ তাকে অন্যায়ভাবে পরাজিত করতে চাইলে তার আশু সমাধান বা তার পক্ষাবলম্বন করা মুমিনের অপরিহার্য দায়িত্ব। মিল্লাতে মুসলিমা একটি দেহের মত। দেহের কোন অঙ্গ জখম হলে যেমন শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। কোথায়ও কোন ঈমানদার ভাই আহত-নিহত হলে বা বিপদ-মুসিবতে পড়লে সামর্থ্যরে সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে এক মুমিন অপর মুমিন মুসলমানের সহযোগীতায় এগিয়ে আসা নবীর শিক্ষা।
লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক
মজলুম মুসলমানদের সাহায্য করা আল্লাহর নির্দেশ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহপাক কুরআনেুল কারীমে ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর রাস্তায় অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্য লড়াই করছো না, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতিত হয়ে ফরিয়াদ করে বলছে, হে আমাদের রব! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালিম এবং তোমার থেকে আমাদের জন্য কোন বন্ধু, অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠাও’। (সুরা নিসা:৭৫-৭৬)
এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। বিশ্বের যে কোনো স্থানে কোনো মুসলমান আক্রান্ত হলে তার সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা অপর মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। হজরত নোমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেনÑ ‘সব মুমিন একই ব্যক্তিসত্তার মতো। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয় তখন তার গোটা শরীরই তা অনুভব করে। যদি তার মাথাব্যথা হয় তাতে তার গোটা শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে। (-মিশকাত শরীফ
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, মুমিনরা পারস্পরিক ভালবাসা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দেহের ন্যায়। দেহের কোনো অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হলে পুরো দেহ সে ব্যথা অনুভব করে। (বুখারি)
একজন মুমিন-মুসলমান আহত হলে তার খোঁজ-খবর ও সহযোগীতা করা অপর মুসলমানের অন্যতমও কর্তব্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহপাক বান্দার সাহায্যে ততক্ষণ থাকেন, যতক্ষণ সে অপর ভাইয়ের সাহায্যে থাকে। মুমিন মাত্রই একে অন্যের ভাই। এক মুমিন অপর মুমিনের মাঝে এমন ভালবাসা ও আন্তরিকতা থাকবে যে পরস্পর একটি দেহের মতো মনে হবে। একজনের ক্ষতি আরেক জনকে ততটাই আহত করবে যতটা মাথা আঘাত পেলে তার সারা শরীর আহত হয়। বিপদ মুসিবতের সময় একে অন্যের প্রতি আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে। কোন ভাই অসুস্থ বা আহত হলে কিংবা কোন ক্ষতি বা বিপদের সম্মুখীন হলে তাহলে অপর ভাই তার সাহায্যে এগিয়ে আসা। কেউ কারো ইজ্জতহানী করতে চাইলে কেউ তাকে অন্যায়ভাবে পরাজিত করতে চাইলে তার আশু সমাধান বা তার পক্ষাবলম্বন করা মুমিনের অপরিহার্য দায়িত্ব। মিল্লাতে মুসলিমা একটি দেহের মত। দেহের কোন অঙ্গ জখম হলে যেমন শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। কোথায়ও কোন ঈমানদার ভাই আহত-নিহত হলে বা বিপদ-মুসিবতে পড়লে সামর্থ্যরে সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে এক মুমিন অপর মুমিন মুসলমানের সহযোগীতায় এগিয়ে আসা নবীর শিক্ষা।
লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন