বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৫

রাতের পর দিন আসে, দিনের পর রাত- এ আল্লাহ তাআলার কুদরতের এক নিদর্শন।

রাতের পর দিন আসে, দিনের পর রাত- এ আল্লাহ তাআলার কুদরতের এক নিদর্শন। আল্লাহ তাআলার মহা কুদরতের এই নিদর্শন মানুষমাত্রই প্রত্যক্ষ করে। কিন্তু প্রাত্যহিকতার কারণে দিন-রাতের আবর্তন আমাদের কাছে অতি স্বাভাবিক। অথচ কেউ যদি দিন-রাতের এই আবর্তন নিয়ে চিমত্মা করে তাহলে উপলব্ধি করতে পারবে, আল্লাহ তাআলা কত বড় শক্তিমান!
তিনি কত নিপুণ, কত কুশল! তো সৃষ্টিজগতের এসকল বিষয় থেকে যারা আল্লাহর পরিচয় লাভ করে, কুরআনের দৃষ্টিতে তারা ‘উলুল আলবাব’ বুদ্ধিমান।
تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُنِيرًوَهُوَ الَّذِي جَعَلَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُورًا
অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা বলেন, বরকতময় সেই সত্তা যিনি আসমানে তারকারাজি সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে দিয়েছেন একটি প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ। এবং তিনিই সেই সত্তা যিনি রাত ও দিনকে আবর্তনশীল বানিয়েছেন ঐ সকল লোকের উপকারের জন্যে যারা আল্লাহকে স্মরণ করতে চায় বা তাঁর শোকর আদায় করতে চায়। -সূরা ফুরকান ২৫ : ৬১-৬২
কেউ মহাকাশ সম্পর্কে অনেক জানল, সূর্য ও চন্দ্রের গতি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করল, কিন্তু এ সকল কিছুর যিনি স্রষ্টা তাঁর পরিচয় পেল না, তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই। কুরআনের দৃষ্টিতে মূর্খ তারাই যারা তাদের জ্ঞানের দাবি পূরণ করে না। যারা জ্ঞানের দাবি পূরণ করে কুরআনের দৃষ্টিতে তারা জ্ঞানী। দ্বীনী জ্ঞান ও জাগতিক জ্ঞান উভয় ক্ষেত্রে এ কথা সত্য। সুতরাং যারা দ্বীনী ইলম শিক্ষা করে, কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন করে এবং সে অনুযায়ী জীবনকে পরিচালিত করে, কুরআনের দৃষ্টিতে তারা জ্ঞানী। তদ্রূপ যারা জাগতিক শিক্ষা অর্জন করে এবং সৃষ্টির মাধ্যমে স্রষ্টার পরিচয় লাভ করে, কুরআনের দৃষ্টিতে তারাও জ্ঞানী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন