বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৫

ওযুর ফযিলত সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) এর কতিপয় বাণীঃ

১| হযরত আমর ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমি রাসূল (সাঃ) কে বললাম, হে রাসূল (সাঃ) আমাকে ওযূ সম্পর্কে বলুন! তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন পানি সংগ্রহ করে কুলি করে এবং নাকে পানি দেয় অতঃপর নাক ঝাড়ে, নিশ্চয়ই তখন তার মুখমন্ডল, মুখের ভিতরের ও নাকের ভিতরের গোনাহ সমূহ ঝরে যায়।
অতঃপর সে যখন চেহারা ধৌত করে যেরূপ আল্লাহ নির্দেশ দান করেছেন, তখন তার মুখমন্ডলের পানির সাথে পাপগুলো দাড়ির কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে।
অতঃপর যখন সে দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করে তখন তার দুই হাতের পাপ সমূহ আঙ্গুলের ধার দিয়ে পানির সাথে ঝরে যায়।
অতঃপর যখন সে মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথার পাপসমূহ চুলের পাশ দিয়ে ঝরে পড়ে। অবশেষে যখন সে দুই পা ধৌত করে দুই গিরা পর্যন্ত তখন তার গোনাহ সমূহ তার আঙ্গুল সমূহের কিনারা দিয়ে ঝরে পড়ে।
অতঃপর সে যখন ছালাতের জন্য দাঁড়ায় এবং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে এবং তাঁর মর্যাদা বর্ণনা করে তিনি যেমন মর্যাদার অধিকারী। সেই সাথে নিজের অন্তরকে আল্লাহর জন্য নিবিষ্ট করে, তখন সে তার পাপ হতে অনুরূপ মুক্ত হয়ে যায় যেন তার মা তাকে সেদিন জন্ম দিয়েছে।"
[সহীহ মুসলিম, মিশকাত শরীফ]
২| উসমান ইবন আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অযু করে এবং খুব সুন্দর করে অযু করে, সেই ব্যক্তির শরীর থেকে তার গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের নীচ থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।”
[মুসলিম শরীফ]
৩| আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যখন মুসলিম বা মুমিন বান্দা অযু করে এবং তার মুখমণ্ডল ধুয়ে ফেলে, তখন পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে তার চেহারা থেকে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যেগুলোর দিকে সে তার চোখ দু’টির সাহায্যে দৃষ্টিপাত করেছিল।
তারপর যখন সে তার হাত দু’টি ধুয়ে ফেলে, তখন পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে তার হাত দু’টি থেকে সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যা তার হাত দু’টি ধরেছিল।
এরপর যখন সে তার পা দু’টি ধুয়ে ফেলে, তখন পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুটির সাথে (তার পা দু’টি থেকে) সমস্ত গুনাহ বের হয়ে যায়, যার দিকে তার পা দু’টি এগিয়ে গিয়েছিল, এমনকি সে গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ পাক- পবিত্র হয়ে যায়।”
[মুসলিম শরীফ]
৪| আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অযু করে এবং খুব ভালভাবে ও সুন্দর করে অযু করে, অতঃপর (মাসজিদের উদ্দেশ্যে) বের হয় এবং জনগণকে এমন অবস্থায় পায় যে তারা সালাত আদায় করে ফেলেছে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ঐ ব্যক্তির মত প্রতিদান দিবেন, যে সালাত আদায় করেছে ও জামায়াতে হাযির হয়েছে, অথচ তাদের সাওয়াব থেকে কিছুই কমতি বা ঘাটতি হবে না।”
[আবূ দাউদ, নাসায়ী]
৫| উকবা ইবন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অযু করে এবং খুব ভালভাবে ও সুন্দর করে অযু করে, অতঃপর আন্তরিকতা ও মনোযোগ সহকারে দুই রাকাত সালাত আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।”
[নাসায়ী]
৬| হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি “যে ব্যক্তি অযু করল যেমনভাবে অযু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সালাত আদায় করল যেমনভাবে সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার পূর্বের কৃতকর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।”
[নাসায়ী]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন