কেজরিওয়াল আরও বলেন তিনি উমরের জীবনী নিয়ে পুরো বই অধ্যয়ন করবেন এবং কর্মক্ষেত্রে উমরের শাসনব্যবস্থাকে মডেল হিসাবে গ্রহণ করবেন।
ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টার এবং নোবেল এডুকেশন ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপ’ প্রোগ্রামে কেজরিওয়াল বলেন এ ধরণের প্রোগ্রাম সমগ্র ইন্ডিয়াতে হওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেজরিওয়াল বলেন,”আমি এখানে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দিবনা।দিল্লীর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন কাজের চাপে এক মুহূর্তও আমার কার্যালয়ের বাইরে থাকার সুযোগ নেই কিন্তু এরপরেও আমি এই অনুষ্ঠানে এসেছি বাক্তিত্ব বিকাশের এই সুন্দর প্রোগ্রাম দেখার এবং জানার জন্য।”
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের এই অনুষ্ঠান দেখার আগে আমার ধারণা ছিল এটা দিল্লীতে অনুষ্ঠিত অন্যসব পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপের মতই চিরাচরিত অনুষ্ঠান।কিন্তু এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে।এখন আমি উপলব্ধি করছি এই প্রোগ্রামটি অন্যান্য প্রোগ্রাম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।আমার শত ব্যস্ততার কারণে যদি এত সুন্দর একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হতাম তাহলে সেটা আমার জন্য বড় ধরণের ক্ষতি হিসাবেই বিবেচিত হত।
এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য কেজরিওয়াল আইআইসিসি এবং এর প্রধান সিরাজউদ্দিন কোরাইশীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এই ধরণের কাজে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের পারফর্মেন্স দেখে কেজরিওয়াল অভিভূত হয়েছেন। অংশগ্রহণকারীদের গোছানো বক্তৃতা শুনে কেজরিওয়াল বলেন,আমি এই ধরণের অসাধারণ বক্তব্য এর আগে কখনও শুনিনি’।
অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল সেন্টার এবং নোবেল এডুকেশন ফাউন্ডেশনের কাজক্রম তুলে ধরে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজউদ্দিন কোরাইশী বলেন,আইআইসিসি আয়োজিত পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপে প্রায় দশ হাজারেরও উপর শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।এর মধ্যে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীই তাদের বাক্তিত্ব আর মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য,উমরের জীবনী যেসব ইন্ডিয়ান রাজনীতিবিদদের অনুপ্রাণিত করেছে তাদের মধ্যে কেজরিওয়ালই প্রথম নয়।এর আগেও মহাত্মা গান্ধী উমরের শাসনব্যবস্থা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বলেছিলেন,’ভারতে যদি ওমরের মত কোন নেতা খুঁজে পায়, তাহলে ভারতের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে|’
মহাত্মা গান্ধী প্রবর্তিত সাপ্তাহিক ‘হরিজন’ (সংখ্যাঃ ২৭-০৭-১৯৩৭) পত্রিকায় এক নিবন্ধে তার সহকর্মী কংগ্রেসম্যানদের আবুবকর ও উমরের মত সাধারণ জীবন যাপনের উৎসাহ দিয়েছিলেন।ইসলামের এই দুই খলীফা সম্পর্কে মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন,তারা বিশাল রাজত্বের অধিকারী হয়েও খুবই সাধারণ জীবনযাপন করত।”
উমর ইবনুল খাত্তাব (৫৮০ – নভেম্বর ৩, ৬৪৪) যিনি সচরাচর হযরত উমর নামে অভিহিত, ইসলাম ধর্মের মহানবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ঘনিষ্ঠ সাহাবী। তিনি ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি উমর আল ফারুক (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) নামেও পরিচিত।
সুত্রঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন