এক যুবক বলছে যে, একবার আমার আব্বাজানের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়ে গেল। এমনকি গলার আওয়াজ পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেল! আমার হাতে ক্লাসের কিছু কাগজ-পত্র ছিল, তা আমি তাঁর সামনেই টেবিলে ছুঁড়ে মারলাম। রাগে গটগট করে নিজ রুমে চলে এলাম।
এসে ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। বালিশে মাথা রেখে চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়লাম। কসম আল্লাহর! আমার মস্তিষ্ক ও মন চিন্তায় ছেয়ে গেল। চিন্তায় ধরলে আমি এরকমই করি। এরকম পরিস্থিতির শিকার হলে ঘুম-ই আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগে।
পরদিন ভার্সিটি থেকে বেরোবার সময় ভার্সিটির গেইটে যখন পা রাখলাম, পকেট থেকে মোবাইলটা টেনে টেনে বের করলাম। স্নেহময় আব্বাজানের মন ভুলাতে তার কাছে একটি ক্ষুদেবার্তা লিখলাম-
"আব্বাজান! শুনেছি, পায়ের নিম্নাংশটা নাকি উপরাংশ থেকে নরোম। কোমল। আমি যাচাই করে দেখতে চাই কথাটার সত্যতা কতটুকু! আপনার পা কি আমাকে এই অনুমতিটা দিবে?"
আমি বাড়ি পৌঁছলাম। ঘরের ভেতর প্রবেশ করে দেখলাম আব্বাজান ঘরের মেঝে বসে আমার অপেক্ষা করছেন আর তাঁর গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ছে!
আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, না! আমি কখনও তোমাকে আমার পায়ে চুমো খাওয়ার অনুমতি দেবনা। তবে কথাটা ঠিক আছে। তোমার ছোটকালে তোমার শুধু পায়ের নিম্নাংশ নয়, উপরাংশেও চুমো খেয়ে কথাটার সত্যতা যাচাই করতে পেরেছি!!!
কথাটা শুনে আমার দু'গাল বেয়ে ঝরে পড়ল ক'ফোটা তপ্ত অশ্রু......
(কথাগুলো শাইখ আলী তানতাবী কোন এক বইয়ে লিখেছেন)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন