আপনি আমেরিকার গুয়ান্তানামো বে- কারাগার, ইরাকের আবু গারীব কারাগার ও আফগানিস্থানের বাগরাম কারাগারের কথা ও সেখানকার নির্যাতনের কথা শুনেছেন, কিন্তু সৌদির কারাগার ও সেখানকার অবর্ণনীয় নির্যাতনের কথা কি কখনও শুনেছেন? সৌদির কারাগার যে কোন অংশেই ঐসব কারাগার থেকে কম নয়, তা কি জানেন?
.
প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার রাজনৈতিক ব্যক্তিকে সৌদি কারাবদ্ধ করে নির্যাতন করে চলছে। এঁদের মধ্যে আছেন বেশ কিছু খ্যাতিমান আলেম ও দাঈ। একমাত্র সত্য বলার অপরাধেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এমনও অনেক আছেন, যাঁদেরকে দশ থেকে বাইশ বছর ধরে বিনা বিচারেই অন্ধকার প্রকোষ্ঠের ভেতর নির্যাতন করা হচ্ছে। তন্মধ্যে কেউ কেউ আছেন বয়োবৃদ্ধ। নিচে প্রসিদ্ধ কতিপয় বন্দী আলেম ও দাঈদের নাম উল্লেখ করলাম। এঁদের মধ্যে যথাক্রমে প্রথমোল্লেখিত তিনজনের বয়স ৮৫, ৭০ ও ৬৫! আরও অনেকেই পঞ্চাশোর্ধ্ব পৌঢ়।
.
.
(১) শাইখ আল্লামা মুহাম্মদ আস-সাক্বআব।
(২) শাইখ আল্লামা আব্দুল করীম আল-হামীদ।
(৩) শাইখ আল্লামা আহমদ আস-সিনানি।
(৪) শাইখ আল্লামা ওয়ালীদ আস-সিনানি।
(৫) শাইখ আল্লামা সুলাইমান আল-উলওয়ান।
(৬) শাইখ আল্লামা আব্দুল্লাহ আর-রীস।
(৭) শাইখ আব্দুর রহমান বিন আব্দুল আজীজ আস-সুদাইস। (শাইখ সুদাইসের চাচাতো ভাই)
(৮) শাইখ আল্লামা ইব্রাহীম আর-রীস।
(৯) শাইখ আল্লামা আলী আল-খুযাইর।
(১০) শাইখ আল্লামা নাসির আল- ফাহদ।
(১১) শাইখ আল্লামা সাঈদ আয-যাঈর।
(১২) শাইখ আল্লামা আহমদ আল-খালিদি।
(১৩) শাইখ খালিদ আর-রাশিদি।
(১৪) শাইখ আল্লামা ফারিস আয-যাহরানি।
(১৫) শাইখ আব্দুল আজীজ আল-কামিল।
(১৭) শাইখ আল্লামা মূসা আল-ক্বারনি।
(১৮) শাইখ আব্দুল আজীজ আল- বারিদি।
(১৯) শাইখ আল্লামা ইব্রাহিম আন-নাসির।
(২০) শাইখ হুসাইন বিন আলী আত-তামিমি।
(২১) শাইখ খালিদ বিন আব্দুল্লাহ আল-হামলান।
(২২) শাইখ আব্দুল আজীজ আল-জলীল।
(২৩) শাইখ ফাহদ আল-আসাকির।
(২৪) শাইখ আল্লামা সালিম আদ-দাওসারি।
(২৫) শাইখ আব্দুল্লাহ আর-রশীদ।
(২৬) শাইখ সাঊদ আদ-দারবিশ।
(২৭) শাইখ ফাহদ আদ-দারবিশ।
(২৮) শাইখ খালিদ আল-উলওয়ান।
(২৯) শাইখ সালিহ আল-উলওয়ান।
(৩০) ড. শাইখ আল্লামা আব্দুল করীম।
(৩১) শাইখ ইউসুফ আল-আহমাদ।
(৩২) শাইখ ইব্রাহীম আল-ফারিস।
(৩৩) ড. ইব্রাহীম আন-নাসির।
(৩৪) শাইখ মুহাম্মাদ আল-হাবদান।
(৩৫) শাইখ গারাম আল-বাইশি।
(৩৬) শাইখ মুহাম্মদ বিন আং আজিজ খুযাইর
(৩৭) শাইখ সালমান আল-আওদা।
(৩৮) শাইখ আওয আল-ক্বরনি।
(৩৯) শাইখ নাসর আল-উমর।
(৪০) শাইখ খালিদ আল-আজিমি।
(৪১) শাইখ মুহাম্মাদ আশ-শানার
(৪২) শাইখ আলী বাদাহদা।
(৪৩) শাইখ আব্দুল্লাহ্ আশ-শুয়াইলিম।
(৪৪) শাইখ আদিল বানা'মা।
(৪৫) শাইখ ড. মুস্তাফা আল-হাসসান
(৪৬) শাইখ আল্লামা সালিহ আল-মুনাজ্জিদ।
(৪৭) শাইখ নায়েফ আস-সাহাফি।
(৪৮) শাইখ ইদ্রিস আল-আবকার।
(৪৯) শাইখ মূসা আশ-শরীফ।
(৫০) শাইখ আব্দুল আজীজ আত-ত্বারিফি।
.
এছাড়া আরও অনেকে......
এগুলো কতিপয় উল্লেখযোগ্য আলেম ও দাঈদের নাম। মোট গ্রেফতারকৃত আলেম ও দাঈদের ২০% এরও কম। আর আফসোসের বিষয় হল যে, গতবছর শাইখ ফারিস আয-যাহরানি ও আরও বেশ কতজন আলেমকে হত্যা করে দেয়া হয়েছে!
ওয়া ইলাল্লাহিল মুশতাকা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন