শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৭

আলেম তিন প্রকার।


(১) আলেমে হক্ব 
(২) আলেমে ছু 
(৩) দরবারী আলেম।
.
ইমাম রাফেয়ী (রহঃ) বলেন, হে আমার সন্তান! আলেমে হক্ব আর আলেমে ছু'র মধ্যে পার্থক্য কী - জানো তুমি? 
.
আলেমে হক্ব হোক বা আলেমে ছু, প্রত্যেকেই কিন্তু এক অভিন্ন নূর হাসিল করেছে। কিন্তু আলেমে ছু তার চরিত্র হিসেবে স্ফটিকের মতো। আর আলেমে হক্ব তাঁর চরিত্র হিসেবে লাকড়ির মতো। 
.
আলেমে ছু চিন্তা-ফিকির করে কিভাবে শরী'আহর কোন দলীলকে অপব্যাখ্যা করা যায়, চক্রান্ত করা যায়, পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যায়। কিভাবে প্রকাশ করা যায়, কিভাবে লোকানো যায়। তার একমাত্র উদ্দেশ্য হল কিভাবে পকেট ও পেট ভরা যায়! 
.
আর আলেমে হক্ব হল, যে কুরআন, সুন্নাহ ও খুলাফায়ে রাশেদীনের বাতানো পথে অটল-অবিচল থাকে। তাঁর উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হয়ে থাকে। যদি শাসক সঠিক কাজ করে থাকে, তাহলে সাহায্য করবে আর ভুল করলে শুধরিয়ে দেবে।
.
আর দরবারী আলেম হল, যে দ্বীনকে কোন ভ্রান্ত, রাজনৈতিক নীতির জন্য ব্যবহার করে। 
.
দরবারী আলেমরা হল এমন এক সম্প্রদায়, যাদের খিদমত করা হয় দ্বীন দ্বারা, তারা দ্বীনের খিদমত করেনা। তারা ফতোয়া দিয়ে থাকে শাসকের প্রকৃত চরিত্র ও ভ্রান্তিকে ঢেকে রাখার জন্য। এ ক্ষেত্রে তরা কতশত অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে, যেমনি একজন দর্জি কাপড় সেলাই করার ক্ষেত্রে কতশত অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে। 
.
এদের অনিষ্টতা সবচেয়ে মারাত্নক ও ক্ষতিকারক। কারণ, এই অনিষ্টতা সব মানুষের উপর গিয়ে প্রভাব ফেলে। আর যখন কোন ফতোয়া শাসকের মনের চাহিদার অনুকূল হয়ে যায়, তখন সমাজের জন্য ভ্রান্ত, জালিম নীতি প্রসব করিয়ে দেয়।
.
.
সূত্র: ওয়াহয়ুল ক্বালাম। ইমাম আবুল ক্বাসিম রাফেয়ী (রহঃ)।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন